জামা কাপড় বা শপিং ব্যাগের উপর লেখার যন্ত্রsteemCreated with Sketch.

in hive-131369 •  2 years ago 

আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777

আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।

জামা কাপড় বা শপিং ব্যাগের উপর লেখার যন্ত্র

আমাদের সৈয়দপুর শহরে অনেক গুলো মার্কেট রয়েছে৷ এখানে খুচরা ও পাইকারি উভয় মার্কেট ই আছে৷ দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এখানে এসে কাপড় নিয়ে যান৷ আমাদের এখানে প্রায় ১০-১২০০০ দোকান আছে। প্রত্যেকটি দোকানের মালিকই তাদের নিজস্ব দোকানের নামে শপিং ব্যাগ তৈরি করেন৷ যেটায় তাদের দোকানের নাম লেখা থাকে। যখন ক্রেতা একটি দোকানে যেয়ে কিছু পণ্য কিনেন৷ আর পণ্য ক্রয় করার পর তাকে যদি একটি সুন্দর শপিং ব্যাগ দেওয়া হয়৷ সে খুশি হয়ে যায়৷ আর যদি শুধু পলিথিন ব্যাগে ঢুকায় দেন৷ তাহলে অতটা খুশি হয় না৷ সবাই চায ব্রান্ডের দোকানে যেতে। কারণ তারা ভালো কাপড় না দিলেও ভালো শপিং ব্যাগ ঠিকি দেয়৷ আর শপিং ব্যাগের নাম দেখে মানুষ পাগল৷ কারণ মানুষ জানে ঐ দোকানটি নাম কড়া দোকান। তাই এখন সব ছোট খাটো দোকান গুলোতেই শপিং ব্যাগের ব্যবস্থা করেছেন দোকান মালিকরা।

20230724_180348.jpg20230724_180351.jpg

এই সব শপিং ব্যাগ তৈরি করা হয় গার্মেন্টসে। আমাদের এখানে বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস আছে যেখানে শপিংব্যাগ তৈরি করা হয়৷ গার্মেন্টস থেকে শপিং ব্যাগ গুলো নিয়ে এসে নিদিষ্ট দোকানের নাম লেখা হয়৷ এই নাম লেখার জন্য রয়েছে আলাদা দোকান। সৈয়দপুর প্লাজার পিছনে আরেকটি মার্কেট রয়েছে৷ সেখানে বেশ কয়েকটি নাম লেখার দোকান রয়েছে৷ এই দোকান গুলোতে একটি করে মেশিন রয়েছে৷ আর সেখানে দুই তিন কর্মচারী কাজ করেন৷ এখানে জামার উপরে নাম লেখায় নেওয়া যায়৷ তবে এখানে শুধু কালো রং এর লেখাই লিখে দিতে পারেন তারা। আমি একবার গিয়ে ঘুরে আসছিলাম৷ তারা দোকানের শপিং ব্যাগের এর নাম লেখার কাজই বেশি করেন। এই ব্যবসাটি প্রচুর লাভ জনক। দোকান অল্প সংখ্যক থাকায়৷ তারা প্রতিদিন ব্যস্তময় দিন অতিবাহিত করেন।

20230724_180340.jpg

image.png


Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ
@toufiq777

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সৈয়দপুর কে বাণিজ্যিক শহর বলা হয়ে থাকে।এখানে সবধরনের খুচরা ও পাইকারী দোকান রয়েছে। আমার মামার কাপড়ের দোকান আছে। উনি সৈয়দপুর থেকেই শপিং ব্যাগ নিয়ে আসেন।জামা কাপড় ও শপিং ব্যাগের ওপর নাম লেখা যন্ত্র নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া

ধন্যবাদ

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Thank you

image.png

Thank you

একদম সত্যি কথা বলেছেন ভাইয়া, পলিথিনের ব্যাগে কাপড় দিলে একটু ভালো লাগে না, কিন্তু কাপড় অল্প দামি হলেও শপিং ব্যাগে দিলে শরীরে একটা ভাব আসে, তাই এখন সবাই শপিং ব্যাগ ব্যবহার করে, যাইহোক আপনার পোস্টি পরে খুবই ভালো লাগলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।

ধন্যবাদ

জি ভাই ঠিক বলেছেন, ব্যবসায়িক নগরী হল সৈয়দপুর। ব্যবসায়ের দিক দিয়ে অনেক উন্নত। এমন কোনো জিনিস নাই যে সৈয়দপুর শহরে পাওয়া যায় না। কাপড় প্রিন্ট করার জন্য সৈয়দপুর অনেক উন্নত। সাদা কালো এবং কালার দুই ধরনের প্রিন্ট করা হয়। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ

ধন্যবাদ

আমার জানামতে উত্তরবঙ্গের ভেতর নাম লেখার কাজগুলো সব থেকে বেশি সৈয়দপুরে হয়ে থাকে।শিল্প কারখানাতে ভরপুর সৈয়দপুর শহর।আমার এক আত্মীয় তিনিও সৈয়দপুর থেকে অনেক ব্যাগ নিয়ে আসেন নাম লেখা। খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনি দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

ধন্যবাদ

সৈয়দপুর শহরটি কারখানায় ভরা । এজন্য আমাদের এলাকায় এই জায়গাটিকে কারখানা সৈয়দপুর বলা হয়। সৈয়দপুরে অনেক দোকান রয়েছে। বহু দূরদূরান্ত থেকে লোক এসে এখানে কাপড় কিনে নিয়ে যায়।বর্তমানে ছোট বড় সব দোকানে শপিং ব্যাগ দেওয়া হয়।এটা বর্তমানে একটা নতুন ট্রেন্ড এসে গেছে। অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ

প্রতিটি দোকান তাদের নিজস্ব নামের শপিং ব্যাগ তৈরি করে থাকেন। এটা এক ধরনের পাবলিসিট। কেননা এই ব্যাগটা তে নিয়ে যখন মানুষ অন্য কোথাও যাবে তখন অনেকেই এই ব্যক্তি থেকে তার দোকানের নাম জানতে পারবে এবং ভালো লাগলে আবার সেই দোকানটিতে গিয়ে ঘুরে আসবে। এই শপিং ব্যাগগুলো কোথায় বানানো হয় সেটি আমি জানলেও এটির ভেতরে কখনো প্রবেশ করা হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে

ধন্যবাদ

বর্তমান সৈয়দপুর একটি ব্যবসায় নগরী। কমবেশি সব ধরনের পণ্যই সৈয়দপুরে তৈরি করা হয়। আর এখন প্রতিটি দোকানের নিজস্ব শপিং ব্যাগ ব্যবসায় একটি নতুন ধারা তৈরি করেছে। যন্ত্রটির আগে কখনো দেখা হয়নি ভাইয়া আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখা হল। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ

সৈয়দপুরের অলিতে গলিতে অনেক প্রকারের দোকান রয়েছে যেগুলোতে উন্নত প্রযুক্তির মেশিন রয়েছে। আমরা জানি অনেক প্রকারের নকল জিনিস সৈয়দপুরে তৈরি হয় তবে কিছু কিছু জিনিস খাঁটি। আপনি মেশিনটি সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। আমরাও সৈয়দপুর প্লাজার ভিতরে একটি দোকানে পোস্টার ছাপিয়েছিলাম তখন আমরা এই মেশিনগুলো দেখি। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

ধন্যবাদ

সৈয়দপুরে এগুলোর অনেক কয়েকটি দোকান রয়েছে।আমি যখন পার্বতীপুর ছিলাম তখন গেঞ্জিতে অনেক নাম লিখিয়েছি এসব দোকান থেকে। নির্বাচনের সময় এদের ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যায়।চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন।শুভকামনা রইল

ধন্যবাদ

শপিং ব্যাগের মধ্যে যাবতীয় জিনিস লেখা মেশিন আমি এখনো দেখি নাই।আমরা যেই দোকানে কিছু কিনে না কেনো তার সাথে শপিং ব্যাগ অবশ্যই দিবে।ছোট খাটো দোকান হলেও তারা শপিং ব্যাগ দেয়।আপনি দারুণ একটা বিষয় নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ

শৌখিনতাফ একটি প্রতীক হলো এই শপিং ব্যাগ৷ অনেক টাকা দিয়ে কেনাকাটা করল কিন্তু তাকে ব্যাগ না দিয়ে পলিতিন দিলে তো মন খারাপ করবেই। সৈয়দপুরে অনেক অল্প টাকাই এই ব্যাগ গুলো বানানো হয় থাকে। ব্যাতিক্রমধর্মী একটি পোস্ট করেছেন ভাই।

ধন্যবাদ

এ ধরণের যন্ত্র খুবই দরকারি। সৈয়দপুরে এরকম অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির দোকান আছে। এই মেশিনগুলোর মাধ্যমেই শপিং ব্যাগে খুব কম সহজে নাম লেখা যায়। অথচ হাতে লেখলে অনেক সময় লাগত।

এই যন্ত্র দিয়ে জার্সিতে বেশি লেখা হয়। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।