হারিয়ে যাচ্ছে শত শত বছরের পুরানো শিল্প "মুচি শিল্প"steemCreated with Sketch.

in hive-131369 •  2 years ago 

আচ্ছালামু আলাইকুম, আমি @toufiq777

আশা করি সবাই ভালো আছেন৷ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি।

হারিয়ে যাচ্ছে শত শত বছরের পুরানো শিল্প "মুচি শিল্প"

প্রাচীণ কাল থেকেই এই মুচি শিল্প পৃথিবীতে রয়েছে৷ মুচিদের বংশ পরম্পরায় তাদের এই পেশা চলে আসতেছে৷ এখন আধুনিক যুগে এসে এই বংশ পরম্পরার অতটা মূল্যায়ন হয় না৷ তবে আগের যুগের মানুষ তাদের বংশ পরম্পরার পেশাকে ধরে রাখার চেষ্টা করতেন৷ এখনও অনেক জায়গায় অনেক মুচি রয়েছে৷ তাদের সাথে কথা বললে বোঝা যায়৷ তারা অন্য পেশায় না যেয়ে তাদের পারিবারিক পেশা ধরে রেখেছেন৷ তাদের ছেলে-মেয়েরা হয়তো এই পেশা ধরে রাখতেও পারেন আবার নাও রাখতে পারেন।

20230516_155107.jpg

এখন আধুনিক যুগ চলে এসেছে৷ এখন যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে৷ মুচি'রা জুতা কালি করা, জুতা সেলাই ও জুতা ও সেন্ডেল তৈরিও করতেন৷ নিজের হাতে তৈরিকৃত জুতা টেকসই ও মজবুত হইতো৷ আমাদের সৈয়দপুরে প্লাজার পিছনে একটি জুতা ও সেন্ডেল এর দোকান আছে৷ তারা নিজের হাতে জুতা ও সেন্ডেল তৈরি করেন৷ আমার মামা সেখান থেকে নাকি মাঝে মাঝে সেন্ডেল বানিয়ে নিতেন৷ ঐখানে নিজের ইচ্ছে মত বিভিন্ন সাইজ ও স্টাইলের সেন্ডেল বানিয়ে নেওয়া যায়। এতে একটু সময় বেশি লাগে। একটি সেন্ডেল মেনুয়ালি বানাতে ১ দিন সময় লাগলে যন্ত্র দিয়ে বানাতে ১-২ ঘন্টা সময় লাগবে৷

20230516_155046.jpg

মানুষ এখন যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে৷ সবাই চায় কম সময়ে অধিক মুনাফা। যন্ত্রের ব্যবহার করলে সময় কম লাগে। পরিশ্রম কম করতে হয়। মানুষজন অল্প সময়ে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস হাতে পায়৷ সবাই সময়ের মূল্য খুঁজে। ১ মিনিট বাচানোর চেষ্টা করে থাকে। তারা প্রাচীন পেশাকে ধরে রাখার চেষ্টা করতেছেন না৷ তারা সময়ের দিকে দেখতে গিয়ে প্রাণীণ পেশা গুলো এখন বিলুপ্ত প্রায়।

20230516_155046(0).jpg

যে সব মুচি এখনও জুতা সেলাই, জুতা কালি করার কাজ করতেছেন৷ তাদের অধিকাংশ দেখা যায় বৃদ্ধ। এদের সন্তানরা হয়তো এই পেশার সাথে জড়িত হতে চাইতেছেন না৷ একসময় হয়তো আর মুচি শিল্প আমরা দেখতে পারবো না৷ রাস্তার ধারে, মোড়ে আর মুচি থাকবে না৷ আমাদের জুতা ছিড়ে গেলে আমাদের হয়তো দোকানে যেতে হবে৷ প্রত্যেকটি শ্রেণিপেশার লোকের প্রয়োজন আছে৷ এই পেশা হয়তো থেকে যাবে কিন্তু আগের মত করে আর থাকবে না৷ সব যান্ত্রিক হয়ে যাবে৷

20230516_155104.jpg

image.png


Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ
@toufiq777

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বর্তমানে তেমন মুচি দেখা যায় না। আগে আমাদের জমির হাটে প্রতিদিন মুচি আসতো। কিন্তু এখন হাটের দিন ছাড়া তাদের দেখা পাওয়া যায় না। তবে পার্বতীপুর শহীদ মিনারে এখনও মুচিদের দেখা যায়। তারা জুতা সেলাইয়ের পাশাপাশি জুতায় বানায়। মুচিদেরকে নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।

ধন্যবাদ

এখনো রাস্তায় বের হলে মুচিদের দেখা যায়। মুচিরা সবচেয়ে বেশী জুতা কালি করার কাজ করে থাকে। গত বছর একজন মুচিওয়ালার কাছে আমি আমার জুতায় আঠা লাগতে বলেছিলাম একজন মুচিকে কিন্তু উনি আমার জুতা সুতা দিয়ে সেলাই করে দিয়েছিল😥। ফলাফল আমার প্রিয় জুতাগুলো নষ্ট 😪

😥

গ্রামের হাঁট-বাজারে গেলে মুচিদের দেখতে পাওয়া যায়। তারা অন্যের জুতা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। এছাড়াও মুচিদের মধ্যে অনেক কারিগর আছে তারা নতুন নতুন জুতা বানিয়ে তা বাজারজাত করার চেষ্টা করেন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ

পার্বতীপুর স্টেশন এর পাশে অনেক মুচি রয়েছে। ছোটবেলা থেকে এসব মুচিদের দেখে আসতেছি। এসব মুচিদের পরের প্রজন্ম এই পেশার প্রতি খুব একটা আগ্রহী নয়। অসাধারণ একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন ভাই।চমৎকার লিখেছেন শুভকামনা রইল

ধন্যবাদ

মুচি শিল্প নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করেছেন। আমাদের এলাকায় এখনো মুচি রয়েছে। আবার অনেকে গ্রামে গ্রামেও জুতা সেলাই করে বেড়ান। অনেক ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ

মুচি শিল্প নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই।কিছু কিছু মুচি শিল্পরা তাদের বংশ পরিচয়ের জন্য এই পেশা টিকেয়ে রাখছে।মুচি শিল্প হলো আমাদের প্রাচীনকালের একটি শিল্প। আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ

মুচি শিল্প নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই, মানুষ এখন সৌখিনতার ছোঁয়া পেয়েছে, এখন আর সেলাই করে জুতা পড়তে চায় না। তাই মুচিদের আয় রোজগার কমে গেছে। মুচির সন্তানেরাও এই পেশার সাথে যুক্ত হতে চায় না। এক সময় হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাবে এসব মুচি শিল্প। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ

ভাতিজ জুতা কিনলু নাকি মুচির দোকান হতে। ভাতিজা ডালাতে কিন্তু সেই জুতা আছে। কিনবু নাকি তোরা? হামাকও কিনি দেন।

😀, পাইসার অভাবে কি করিম বোঝোছো না, আর জুতা কিনিবে 😏

কম টাকায় নতুন জুতা কিনতে চাইলে এখনো এই সকল মুচির দোকানে যেতে হয়। তারা অনেক যত্ন করে হাতে জুতা বানিয়ে দেয়। আমিও অনেক দেখছি ভাই বাবা মুচি হলেও ছেলেরা এই পেশায় নিয়জিত নাই। হয়ত একটা সময় অর্থাৎ ৫ বছর পরেই এই পেশার লোক দেখতে পাওয়া প্রায় দুষ্কর হয়ে যাবে।

হুম।

Nice post

Nice photography. Any work is very honorable.