প্রফেসর ড. ফরিদ উল ইসলাম
একজন সফল প্রক্টর ও অভিভাবক ছিলেন। দুই বছর যে মানুষটা শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেননি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে দেননি। সেই মানুষটাকে এভাবে অব্যহতি দেওয়া অনুচিত। উচিত বা অনুচিত শব্দটি একজন ছাত্র বা ছাত্রী হিসেবে আমাদেরও ভাবনার বিষয়, এ বিষয়ে আমাদের মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে। এটি কোন বিভাগীয় বিষয় নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়, কারণ প্রক্টর শুধুমাত্র কোন বিভাগের নয়, সেশনের নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি পদ।
প্রক্টর একটি বৃহৎ টার্ম কিংবা শৃঙ্খলার পরিপূরক। নিঃসন্দেহে এই মানুষটি সততার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। কে দোষী বা কে নির্দোষ সেটা নিয়ে কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি করা একজন শিক্ষার্থীর মানায় না, তাই পর্দার অন্তরালে কলকাঠির মাধ্যমে তাকে সরিয়ে দেওয়ার গল্পটা অপ্রকাশিতই থাকলো। শুধু এটুকুই বলতে পারি, যোগ্যতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করা মানুষটিকে সরানোর সুনির্দিষ্ট কারণটা কি? এটা একধরনের জিজ্ঞাসাও বলতে পারেন।
আপাতদৃষ্টিতে বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে, যৌক্তিক আন্দোলনরত কর্মচারীদের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার চেস্টা ও আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করায় প্রক্টর প্রফেসর ড. ফরিদ উল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নতুন প্রক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অধ্যাপক ফরিদ স্যার বেরোবির স্মরণকালের সবচেয়ে যোগ্য প্রক্টর ছিলেন। তাকে এভাবে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে যথাযথ কারণটা কি বলবেন? যদি সুযোগ থাকে, সময় থাকে জানাবেন আমাদের।
একটি বিশ্ববিদ্যালয় গরীব-ধনী দিনমজুর সকলের টাকায় পরিচালিত হয়।অনুরোধ, খোলামনে করা জিজ্ঞাসার সদুত্তর দিবেন।
আন্দোলন কিংবা বিদ্রোহ কখনোই কোন সমাধান হতে পারে না। গঠনমূলক সমালোচনা ও আলোচনাই পারে উত্তরণের পথ দেখাতে। মেসেজটি আচার্য, উপাচার্য তথা বর্তমান প্রশাসনের নিকট পৌছিয়ে দিতে শেয়ার ও পোস্ট করুন। আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কিংবা রংপুরের সাধারণ মানুষ, যেই হয়ে থাকেন না কেনো; সঠিক উত্তর ও প্রকৃত কারণ জানার অধিকার আপনার আমার সকলেরই রয়েছে। মুক্তকথন ও জবাবদিহিতায় পারে আমাদের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়কে বেগবান ও গতিশীল করতে। আলো আসবেই।