জীবনের শুরুর দিকের সময় থেকেই আমি বাহিরে পড়াশোনা করেছি৷
তাই গ্রামের স্বাদটা ঠিক পেয়ে উঠিনি৷
তবে শহর কি সেটা আমি জানি।
মাঝেমাঝে ছুটিতে এসে অনেকবার চেষ্টা করেছি গ্রামের স্বাদ পাওয়ার।
কিন্তু গ্রাম ব্যাপারটা ছোট মনে হলেও এতোই বিস্তার যে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়।
তাই কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার চেষ্টা থাকলেও শেষ হয়ে যায় ছুটি।
তবে এবার করোনার শুরু থেকে বাড়িতে থেকে প্রথম দিকে মনে হচ্ছিল সাগরের মাছকে হঠাৎ একুরিয়ামে বন্দী রাখা হয়েছে।
খুব অস্থির লাগছিলো।
বারবার মনে হচ্ছিল কবে পৃথিবী সুস্থ হবে আর কবে আমরা আবার ব্যস্ত হয়ে পড়বো সবকিছু নিয়ে।
অথচ আমরাই এই করোনার সময় বাদে পুরোটা সময় শুধু একটু বিশ্রাম চেয়েছি, চেয়েছি একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবো।
কি অদ্ভুত প্রাণী আমরা।
যাইহোক তারপর একদিন হঠাৎ ভাবলাম এইসময় সাঁতারটা তো শিখে ফেলা যায়।
তারপর বের হয়ে পড়লাম।
চলে গেলাম নদীতে।
সাঁতার শিখে উঠতে পারিনি কিন্তু অল্প পানিতে লাফালাফি করে নাকে,মুখে,কানে পানি ঢুকিয়ে মজা করেছি অনেক।
তারপর এখন প্রায়ই কোথাও না কোথাও যাই ঘুরতে।
গ্রাম দেখতে, বুঝতে,অনুভব করতে।
কখনো হেটে, কখন একদম খালি পায়ে আবার কখনো বাইক নিয়ে।
আবার কখনো কখনো ঘুরতে ঘুরতে অনেক হাসিখুশি চঞ্চল পিচ্চিদের সঙ্গে হয়েছে পরিচয়।
যাদের সঙ্গে আগে কখনোই পরিচয় হয়নি কিন্তু সেদিনের পর থেকে তাদের দেখলে তারাই দৌড়ে আমার কাছে চলে আসে।
যেটা আমার মনে পড়লেই ভালো লাগে।
এমন আরো অনেক কিছুই আমার স্মৃতির পাতা ভাড়িয়ে দিয়েছে।
এখন হঠাৎ আবার ঢাকায় চলে যাওয়ার কথা মনে হলো এসব ভেবে মনে হয় ঢাকায় যেয়ে থাকতে পারবো তো??
আজ এটুকুই।
আবার কথা হবে!!