Source
তো গতকাল আপনাদের সাথে দিরিলিস ওয়েব সিরিজের ১ এপিসোড নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এখন আজকে ২য় এপিসোড এর সম্পর্কে বিস্তারিত শেয়ার করবো। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক
আরতুগ্রুল ও তার বন্ধুরা যখন ইবনে আরাবির সাথে আলেপ্লোতে পৌছালো তখন তাদের সাথে আলেপ্পোতে এক আলেমের দেখা হলো।আলেমটি ছিল মুলত ইবনে আরাবির লাইব্রেরির খাদেম। ইবনে আরাবি সব আরতুগ্রুল ও তার সাথিদেরকে তিনি লাইব্রেরিতে নিয়ে গেলেন।সেখানে মুলত থাকার জায়গাও রয়েছে।তারা সেখানে কিচ্ছুক্ষণ বিশ্রাম নিলো।
এদিকে ওস্তাদ পেত্রিসিওর একটা বইয়ের দরকার ছিল। যা মূলত ইবনে আরাবীর কাছে রয়েছে। তো সে তাদেরকে চোখে চোখ রাখতেছিল।আর ঐদিকে তিতুশ তার গুপ্তচর দিয়ে আলেপ্পোর আমিরের সেনাপতির কাছে সংবাদ পাঠালো আরতুগ্রুলকে সেখানে হত্যা করার জন্য যখন আরতুগ্রুল ও তার সাথীরা আলেপ্পোর প্রাসাদে প্রবেশ করবে। এরপর আরতুগ্রুল লাইব্রেরি থেকে বের হলো প্রাসাদের উদ্দেশ্য নিয়ে।আলেপ্পোর প্রাসাদের দারোয়ান তাকে জিজ্ঞাসা করলো কি জন্য তারা এখানে এসেছে।সে তাকে বল্লো আমির সাথে কথা ও দেখা করতে এসেছে। তখন দারোয়ান তাকে বল্লো আজকেই শেষ দিন। এরপর এক মাস পর আর আপনারা সঠিক সময়েই এসেছেন।তো তারপর আরতুগ্রুল ও তার সাথিরা আমিরের কাছে গেলো।আমির এল আজিজ সেখানে ছিল না।সে প্রাসাদের অন্য রোমে ছিল। আরতুগ্রুল আমিরকে কখনো দেখেনি।সে আমিরের চাচাকেই আমির মনে করলো।আর তাকে সালাম দিলো। আমিরের চাচা অন্য দিকে তাকিয়ে সালামের জবাব আর কি জন্য এসেছে তা জিজ্ঞাসা করলো।আরতুগ্রুল তখন বল্লো প্রকৃত মানুষ চোখে চোখ রেখে কথা বলেএরপর আমিরের চাচা তার দিকে তাকালো এবং বল্লো তুমি ঠিকই বলেছে।আমিরের চাচা ছিল আলেপ্পোর একজন ভালো ও জ্ঞানী ব্যাক্তি। এরপর আরতুগ্রুল সব খুলে বল্লো সেই সাথে জমির বিনিময়ে কায়ি সৈন্য আর কিছু ভেড়া দিতে চায়লো।কিন্তু আমিরের চাচা জমি দিতে রাজি হলো না সেই সাথে বল্লো আমাদের প্রাসাদের সৈন্য সংখ্যাও এর থেকে বহু বেশি,,,তুমি চলে যাও
Source
তখন আরতুগ্রুল ৪/৫টা প্রহরীকে কিছুটা আঘাত করলো একাই আর সে এটা বুঝালো যে,তারা অনেক শক্তিশালী সৈন্য। ঠিক এই মুহুর্তে আমির এল আজিজ বেরিয়ে এলো এবং বল্লো বাহ খুবই চমৎকার এর আগে এমমটা কখনো দেখিনিতারপর তাদেরকে প্রাসাদে দাওয়াত করা হলো জমির ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য।
ঐদিকে গোন্দারোকে নতুন কাজ দেয়া হয়েছে কায়ি বসতির সব বিক্রির জিনিশ বিক্রি করে টাকা আনার জন্য কিন্তু পথিমধ্যে কারাতোয়াগার তাদেরকে আক্রমণ করে এবং বন্দি করে ফেলে। সেই সাথে বসতির বিক্রির সব জিনিশ সে নিজের করে নেয়।সুলেমান শাহ তাকে ছাড়াতে গেলে পুত্রের বিনিময়ে তিনি নিজেই কারাতোয়াগারের কারাগারে বন্দি থাকেন। আর কারাতোয়াগারের চাহিদা হলো হালিমা ও তার পরিবারের বদলে সুলেমান শাহকে মুক্তি দিবে৷
Source
ঐদিকে আরতুগ্রুল জমির ব্যাবস্থা করে ফেলে আমিরের সাথে কথা বলে।আমির এল আজিজ তাদের কথায় মুগ্ধ হয়ে জমি দান করেন৷ জমিটি মূলত ছিল সেলজুক রাজ্যের এমন এক অবস্থানে যেখানে হর হামেশাই নাইটরা আক্রমণ করে ও মাঝে মাঝে মংগোল সৈন্যরা হানা দেয়। তবুও আরতুগ্রুল সেই জমিই পছন্দ করে নেয়। এবং বসতিতে সুখবর নিয়ে আসে।কিন্তু এসে জানতে পারে বসতির নেতা অর্থাৎ আরতুগ্রুলের বাবাকে কারাতোয়াগার বন্দি করেছে।
আজ আপাতত এই পর্যন্ত ইনশাআল্লাহ আগামি দিন আবারো নতুন পর্ব নিয়ে হাজির হবো।সবাই ভালো থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ