Source
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো স্টিমিটের সকল সম্মানিত সদস্যগণ। আশা করি ভালো আছেন।
প্রতিবারের মতো আজকেও আপনাদের সামনে হাজির হলাম দিরিলিস আরতুগ্রুল সিজন ১ এর ৩য় এপিসোড নিয়ে।সময় নষ্ট না করে চলুন শুরু করা যাক
আআরতুগ্রুল আলেপ্পো থেকে সুখবর নিয়ে ফিরে এসে দেখলো তার বাবা বন্দি হয়েছে।তখন সে একটা উপায় বের করলো।আফসিন বে জিনি রাষ্ট্রের জন্য বিশাল দায়িত্ব পালন করেন গুপ্তচরের মতো করে তার সাথে আরতুগ্রুল দেখা করলো আর সেই মোতাবেক প্লেন বানালো। প্লেনটা ছিল তারা মানে আরতুগ্রুল আফসিন বে কে সাথে নিয়ে হালিমা ও তার পরিবারকে একটা পাহাডের কাছে কারাতোয়াগারের হাতে ছেড়ে দিবে। আর সোলেমান শাহকে মুক্ত করে আনবে।কিন্তু যখনই সুলেমান শাহ মুক্ত হবে তখনই তারা কারাতোয়াগারকে আক্রমণ করবে। এইজন্য আরতুগ্রুল তার সাথিদের পাহাডের বিভিন্ন পাশে লুকিয়ে থাকতে বলে।আর এই কাজে সাহায্য করবে কারাতোয়াগারের এক সৈন্য যিনি আফসিন বে এর অধীনে কাজ করে থাকেন।
Source
তো যেই কথা সেই কাজ,এভাবেই মুক্ত করা হলো।আরতুগ্রুল ও তার পরিবারসহ সুলেমান শাহকে।এবং বসতিতে ফিরে এলো।সেই সাথে কারাতোয়াগারকেও বন্দি করে আনলো।
এরপর বসতিতে এসে আরতুগ্রুল সবাইকে আলেপ্পোর জমি পাওয়ার ব্যাপারে জানালো।তবে এতো সুখের মাঝেও দুঃসংবাদ এইযে,হালিমাকে তার পরিবার সহ সেলজুক রাজ্য ছেড়ে যেতে হবে দূরে কোথাও আর এটা হালিমার বাবা শাহাজাদা নোমান নিজেই ইচ্ছা করেছেন। এটা শুনে আরতুগ্রুলের অনেক মন খারাপ হলো। কিন্তু তখন অব্ধিও আরতুগ্রুল হালিমাকে কিছুই বলতে পারনি।আলেপ্পো যাওয়ার সময় আরতুগ্রুলকে হালিমা কয়েকটি কথা বলেছে
Source
সেটাই প্রতিনিয়ত আরতুগ্রুলকে ভাবাচ্ছিল
- রোদে যেন পুড়তে না হয়
- বৃষ্টিতে যেন ভিজতে না হয়
- মাটিতে যেন পা ফেলতে না হয়
- দ্রুত গিয়ে দ্রুত ফিরে আসুন আরতুগ্রুল বিন
তো এরপর হালিমাদেরকে নিরাপদে ছেড়ে আসার দায়িত্ব পরলো গোন্দারোর উপর যার ফলে শেষ দেখাও আরতুগ্রুল দেখতে পারবে না একসাথে পথ হেটে।কিন্তু বড় ভাই গোন্দারো সেই বিষয়টা ভেবে আরতুগ্রুলের উপর কাজটা ছেড়ে দেয়৷ আর তারপর সবাই মিলে রৌনা শুরু করে দেয়। কারন আরতুগ্রুল গিয়ে বসতির স্থাপনের কাগজ নিয়ে আমিরের কাছে জমা দিবে। আর সেই সাথে হালিমাকেও ছেড়ে আসবে। তাই তাড়া তাড়াতাড়ি যাত্রা শুরু করে দেয়।
কিন্তু এদিকে আরেক বিপদ শুরু হয়ে যায়৷ তুরগুতকে ভালোবেসে বছরের পর বছর বিয়ের জন্য অপেক্ষা করা আইকিজ এবারো বিয়ে করতে পারলো না।কথা ছিল শীত শেষ হলে আইকিস আর তুরগুতের বিয়ে হবে।কিন্তু তা এবারো হলো না।ওরা 2 জন 2 জনকে ছোট বেলা থেকেই ভালোবাসতো।
অন্যদিকে ওস্তাদ পেত্রিসিওর থেকে এক ধরনের বিষ নিয়ে কিছু লোক। সেই লোক ওই বিষ নিয়ে ভেড়ার খাবারে মিশিয়ে দেয়। এবং এতে করে মহামারি ছড়িয়ে পরে পুরো কায়ি বসতিতে। কিন্তু এই খবর আরতুগ্রুল শুনে নি।এদিকে ওই মহামারিতে অনেকেই মারা যায় আর আমির এই খবর জানার পর তাদের জমি দিতে অস্বীকার জানায়।
Source
আরতুগ্রুল হালিমাকে নিয়ে একটা স্থানে বসে বিশ্রাম নেয় আর তখনই তাকে প্রপোজ করে
যার কথা গুলোও ছিল অসাধারণ
- যেয়ো না হালিমা
- না গেলে হয় না
- থেকে যাওনা আমার বাচ্চার মা হয়ে
- আমার মনের সুলতানা হয়ে থেকে যাও না
এরপর হালিমা তাকে না করে দেয়
ঠিক এরপরই তিতুশ আরতুগ্রুলকে লুকিয়ে তীর মারতে নেয় এবং তখনই হালিমা নিজে সামনে দাড়িয়ে যায় যার ফলে তীর গিয়ে হালিনা আঘাত করে আর হালিমা সেখানেই পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
আজকে আপাতত এই অব্ধিই
আগামি পর্বে আরো মজার ও চাঞ্চল্যকর এপিসোড নিয়ে আবারো হাজির হবো ইনশাআল্লাহ। সে পর্যন্ত সবাই নিজেরা ভালো থাকবেন,সবাইকে ভালো রাখবেন