Source
আসসালামু আলাইকুম
গতকাল দিরিলিস আরতুগ্রুল সিজন ১ এর ৩য় এপিসোড নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। তো আজকে ৪ নম্বর এপিসোড নিয়ে হাজির হলাম।গতপর্বে শেষ করেছিলাম হালিমার তীর লাগা সম্পর্কে। তো এই পর্বে আরো মজাদার ও আকর্ষণীয় কিছু রয়েছে।
কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক
Source
আরতুগ্রুল আর হালিমা যখন কথা বলছিল আডালে থেকে তিতুশ তখন তীর ছুডলে যা হালিমার গায়ে গিয়ে বিদ্ধ করলো।হালিমা সেখানেই বেহুশ হয়ে গেলো।আর সবাই সতর্ক হয়ে গেলো।তিতুসব তার সেনাবাহিনী নিয়ে তাদেরকে আক্রমণ করতে গেলো।যেহেতু হালিমা আহত সেহেতু তাকে বাচানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য। তাই শাহাজাদা নোমানকে সাথে নিয়ে আরতুগ্রুল হালিমাকে ঘোড়ার পিঠে করে আলেপ্পোর উদ্দেশ্যে রৌনা দিলো এক পথ দিয়ে।আর বামসি দোগানকে বল্লো আরেক পথ দিয়ে যেতে।এবং তুরগুত আর শাহাজাদা ইগিতকে(নোমানের পুত্র) নিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে আলেপ্পোতে এসে দেখা করতে।কিন্তু ইগিতের কারনে তুরগুতকে বন্দি করে ফেলে তিতুশ ও তার বাহিনি।যেহেতু আরতুগ্রুল 3ভাগে ভাগ হয়ে যায়।তাই বাকিদের পিছু করা অসম্ভব হয়ে যায় তিতুশের সৈনদের জন।কিন্তু আরতুগ্রুল জানতেও পারে না তুরগুতকে বন্দি করা হয়েছে।
Source
কথা মতো সবাই আলেপ্পোতে গিয়ে দেখা করে।আর হালিমার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল তখন।অনেক রক্ত পড়ার কারনে মৃত্যুর মুখে চলে গিয়েছিল। পরে আমির এল আজিজের দাই মা সেটা দেখার পর প্রাসাদে নিয়ে যান। সেই সাথে আমিরের বোন লাইলার ঘরে রাখেন।কারন লায়লারো কোনো বন্ধু ছিল না প্রাসাদে।লাইলা ও দাই মায়ের সেবাতে হালিমা সুস্থ হয়ে উঠে। কিন্তু তুরগুতকে তারা আর ফিরে না পাওয়ার জন্য চিন্তায় পরে যায়।
এদিকে তুরগুতকে নিয়ে তারা অসহ্য যন্ত্রণা ও নির্যাতন করতে থাকে।এক ধরনের শরাব খাওয়ানো হয়।যাতে করে তুরগুতের জ্ঞান লোপ পেয়ে সব ভুলে যায় আর নাইটদের দলে যোগদেয়।কারন তুরগু ছিল এমন এক যোদ্ধা, যার চোখে কাপড বেধে দিলেও তাকে কেউ আঘাত করতে পারতো না।কারন তুরগুত লডাই করার সময় তার ইন্দ্রিয়ের শক্তি ব্যাবহার করে শত্রুর আক্রমণের দিক বুঝে যেতো।আর তারা ইগিতকে পরম যত্নে লালন পালন করতে থাকলো।কারন ইগিত ছিল সেলজুক রাজ্যের রাজ বংশধর আর তারা তাকে ভবিষ্যৎ এক বীর নাইট বানাতে চেয়েছিল।
Source
ঐদিকে বসতিতে মহামারি লেগে যায় আর অনেক লোক মারা যায়।তো সুলেমান শাহ সুস্থ লোকদের নিয়ে নতুন বসতি গডার উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেন বাকিদের থেকে বিদায় নিয়ে।কিন্তু এই খবর আলেপ্পোর প্রাসাদেও চলে আসে।আরতুগ্রুল যখন পত্র দিতে যান তখন আমির তাকে না করে দেয়।সেই সাথে আমিরের সেনাপতির নতুন কৌশলের আমিরের চাচাকে বন্দি করা হয়।এতে করে আরতুগ্রুলকে সাহায্য করার কেউ থাকে না।তখন আরতুগ্রুল তাকে ছাড়ানোর পরিকল্পনা করে কারন ইতোমধ্যে আমির তার চাচাকে বিশ্বাসঘাতক বলে মৃত্যু দন্ড প্রদান করে। আর সেই সাথে সুলেমান শাহ আলেপ্পোতে আসলে তাদেরকে সেখানে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।আমির চাচাকে অন্য একটা কারনে সেনাপতি নাসের বন্দি করে বিশ্বাস ঘতক প্রমান করার জন্য।কারন নাসের ভালো করেই জানতো যে,আমিরের একমাত্র ক্ষমতা হলো তার চাচা।চাচা না থাকলে এল আজিজ একটুও নরতে পারবে না।এদিকে নাসের ছিল তিতুশের বন্ধু যেটা আরতুগ্রুল আগেই বুঝতে পেরেছিল
আজকে এই পর্যন্তই
আগামী দিন ইনশাআল্লাহ আবারো নতুন পর্ব নিয়ে হাজির হবো।সে পর্যন্ত নিজের খেয়াল রাখুন, সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন স্টিমিটের সাথেই থাকুন ভালো কাজ করুন।
খুবই খারাপ লাগে যখন কষ্ট করে লিখে আপনাদের সাথে ইতিহাস গুলো শেয়ার করি কিন্তু আপনারা কোনো উৎসাহ প্রদান করেন না।তবুও আমিও আপনাদের সাথে শেয়ার করেই যাবো।আপনাদেরকে বিনোদন দেয়ার মাধ্যমে
নিজেরা ভালো থাকবেন
সবাইকে ভালো রাখবেন
আল্লাহ হাফেজ