জীবনের ওঠাপড়ায় কোন গলি এরকমই নিত্য নতুন আনন্দে মেতে থাকে। ছোট ছোট জিনিসে যারা সবটুকু খুঁজে নেয়। হাজার অভাবের ভিড়েও যাদের হাসিটুকু মুছে যায় না। ব্যস্ত সময়ের কাজের ফাঁকে ছোট ছোট জিনিস আঁকড়ে বাঁচে তারা। এরকমই কোন এক দুপুরে রাস্তার ধারের বিশাল জলের লাইনে দাঁড়িয়ে কোন এক যুবতী। বছর ষোল এর।
বাড়িতে মা ভাই বাবা নিয়ে ভরা সংসার। এবেলার কিছু কাজ সামলে এসেছে জল নিতে। বেলা বারোটা বাজলেই যে বস্তির কলে জল উধাও। তার আগে যেভাবেই হোক নিত্য দিনের জলটুকু যে জোগাড় রাখতেই হবে। ছোট ভাইটা নাহলে স্নান করবে কি করে।
তাছাড়াও বাকি কাজই বা হবে কি করে! এদিকে সকাল থেকে পেটে কিছুই পরে নি। তায় আবার মাথার ওপর সূর্য জ্বলজ্বলে। তবুও প্রায় এক থেকে দুই ঘন্টা দাঁড়িয়ে ক্লান্ত শরীরে কোন রকমে জ্বল টেনে নিয়ে আসে সে। দিদি অন্ত প্রাণ ভাই তখনই দৌড়াতে দৌড়াতে ছুটে যায় দিদির কাছে। দিদিও এইটুকু সুখের সম্বল ভাইকে জড়িয়ে ধরে পরম স্নেহে। এদিকে সূর্য যে পাটে বসতে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মায়ের ডাক, "কিরে স্নান করতে আয়! মেলা কাজ পরে আছে তো নাকি?'.....
বড় বড় কংক্রিটের মাঝে কোন এক ঘিঞ্জি গলিতে এভাবেই নতুন নতুন গল্প খিলখিলিয়ে ওঠে।