আজ প্রথম আমি কুশিকাটার কাজ করলাম। আমার কুশিকাটার কাজে হাতেখড়ি আমার ছোট চাচিকে দিয়ে।তিনিই আমাকে শেখালেন কিভাবে কুশিকাটার কাজ করতে হয়।,তিনি অনেক সুন্দর সুন্দর ডিজাইন করতে পারেন। মাত্র এক ধরনের ডিজাইন আজ আমি শিখেছি। ছোট চাচি বলেছে কুশিকাাটার কাজের ক্ষেত্রে প্রথব এবং প্রধান যে কাজটি শিখতে হয় সেটি হলো 'চেইন '। 'চেইন' শিখলেই নাকি যেকোনো ধরনের ডিজাইন খুব সহজেই করা যায়।
আমি আজ সারাদিন অনেক কাজ করেছি। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে সেলাই মেশিনে কাঁথা সেলাই করতে বসেছিলাম। আমি যে নকশিকাঁথার ডিজাইন গুলো করি তারই কিছু অংশ করা বাদ ছিল যেটা মেশিন দিয়ে করতে হয়।আমি সেই কাজটুকু একবারে বসে শেষ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি। কারণ যেকোনো নকশীকাঁথার ডিজাইন করতেই অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। আমি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার সেলাই করতে বসি। এবারও শেষ করতে পারিনি তাই কাথা রেখে ছোট চাচি বাড়ি যায়।
ছোট চাচি বাড়ি যেতেই দেখি তিনি বসে থেকে সুতা দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইন তৈরি করেছেন। আমি আগে থেকেই জানতাম তিনি কুশিকাটার কাজ পারেন কিন্তু কখোনো তেমন আগ্রহ দিয়ে দেখা হয়নি এবং শেখাও হয়নি। কিন্তু আজ দেখে আমি ডিজাইন গুলো তৈরি করতে চাইলাম তাই তিনি আমাকে 'সুতা' এবং 'ক্রুচ' দিলেন। আমি এই প্রথম এগুলো হাতে নিয়েছি তাই ভালোভাবে ধরতেও পারছিলাম না। যাই হোক অনেকক্ষণ চেষ্টার পর আমি 'চেইন' গাথুনি তৈরি করা শিখলাম। ছোট চাচি বলেছেন আর কিছুদিন করলে একেবারে ভালোভাবে শিখে যাবো আমি।
কুশিকাটার কাজ নিয়ে ইতোমধ্যে আমি কয়েকটি ভিডিও ডাউনলোড করে ফেলেছি। ভিডিও গুলো আমাকে অনেক সাহায্য করবে বলে মনে করছি। এই কাজগুলো আমি পুরোপুরি শিখতে পারলে ছোট চাচি আমাকে এই বিষয়ে কিছু কাজ দিবে বলেছে।
একজন মেয়ে হিসেবে আমি মনে করি পড়াশোনার পাশাপাশি সব ধরনের হাতের কাজ মেয়েদের শিখে রাখা উচিত। অসময়ে মানুষের থেকে এগুলোই বেশি কাজে দেয়।তাই এসব ছোটখাটো কাজ শিখে রাখলে সব মেয়েরাই উপকৃত হবে মনে করি।