আল্লাহর নামে শুরু করলাম। আল্লাহ করোনাকলীন সময়ে সবাইকে সুস্থ রাখুক।এই আশা ব্যক্ত করে শুরু করলাম।
সকাল বেলা
দুনিয়ার সব থেকে শান্তিময় জিনিস হলো সকালের ঘুম। আর সব থেকে বিরক্তিকর কাজ হলো সকালে ঘুম থেকে উঠা। গত কাল একটা কাজের কারনে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়। কিন্তু কাজটা করা হলেও কাজের রেজাল্ট পাওয়া হয় নাই। তাই মনটাও খারাপ ছিল। তাই গত কাল চিন্তা করে রেখেছি, আজকে গত কালের ঘুম পুশিয়ে ফেলবো। কিন্তু আমার ভাগ্য হয়তো আমার সাথে নাই। কোন দূর সম্পর্কের নানা বাসায় হাজির। তিনি সকাল ৯ টা সময় বাসায় এসে দরজা নক করতেছে আম্মু দরজা খুলে তো সেই খুশি কত দিন পর তার আংকেল এর দেখা। কিন্তু আমার তো ঘুমের ১২টা বেজে গেল।বাসায় মেহমান রেখে ঘুমাতে কেমন যানি অসস্থি লাগে। আবার তার সাথে দেখা না করে আসলে বেয়াদব বলে গন্য করা হবে। তাই বাধ্য হয়ে ঘুম থেকে উঠে তার সাথে সালাম বিনিময় করে আসতে হলো। তারপর নিজের রুমে চলে আসলাম। তার কিছুক্ষন পর তিনিও আমার রুমে হাজির এসে গল্প জমানোর চেষ্টা । এই দিকে আমার বিরক্তি বেরে যাচ্ছে। তিনি চলে যাবার পরে নাস্তা করতে বসলাম। আজকে আমার প্রিয় জিনিস রান্না করছে আম্মু। মাছের ডিমের ঝোল। আমি আবার খাবার প্রিয় মানুষ। খাবার প্রতি আমর অন্য রকম একটা আকর্ষন কাজ করে। খাবার প্রতি আমার দূর্বলতা কাজ করে। তাই আনন্দের সাথে সকালের নাস্তা শেষ করলাম। পরোটা আর মাছের ডিমের ঝোল।এক কথায় অসাধারণ।
সকালের নাস্তা শেষ করে চলে গেলাম আড্ডা দেওয়ার জন্য।এই করোনাকালীন সময়ে কারো কিছু হোক বা না হোক আমাকে পুরাই অলস বানিয়ে রেখেছে। ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে আসার পর আমার এক মাএ আড্ডা দেওয়ার বেস্ট মাধ্যম মাহাবুব ভাই। দুনিয়াতে হয়তো অনেকর সাথে পরিচয় হয় কিন্তু কিছু মানুষের সাথে সব কিছু শেয়ার করা না হলেও কিছু মানুষেকে চোখ বন্ধ করে সব কিছু শেয়ার করা যায় মাহাবুব ভাই একই পর্যায়ে পরে। তার সাথে দুপুর ১টা পযর্ন্ত আড্ডা দিয়ে চলে আসলাম বাসায়।
দুপুর বেলা
আজকে বাহিরে অনেক গরম পড়ছে। আজকের তাপমাএা মিনিমাম ৩৩° সেলসিয়াস হওয়ায় গরমে অবস্থা হয়ে গেছে। তাই গোসলটা করেই ফেললাম বাহিরে থেকে ফিরে এসে। গোসল করে নামাজ আদায় এর জন্য রেডি হই। নামাজ আদায় করে দুপুরে খাবার খেতে বসলাম। আজাকে আমার প্রিয় খাবার থাকায় আজকে আম্মুর আর ডাকতে হলো না। আমি নিজেই খাবার টেবিলে বসে পরলাম। দুপুরে খাবার আইটেম গুলো হলোঃ গরম ভাত, সবজি, ডাল, আর মাছের ডিমের ঝোল। খুব আয়েশ করে ভাত খাওয়া শেষ করলাম। আজকে গলা অব্ধি খেয়ে নিলাম। খাওয়া শেষ করে চলে গেলাম বোরিং এর জগতে। দুপুরের পর এই সময় টা আমার প্রচুর বোরিং সময় কাটে। এই সময় টা কোন কিছু করার থাকে না। তাই গান শুনা শুরু করলাম। গান শুনতে শুনতে ঠিক সময়টা পার হয়ে গেল। আমার প্রিয় গান গুলা শুনতে থাকলাম। আমার আবার একটা গান বার বার শুনতে ভালই লাগে। যতক্ষণ না গান শুনে তৃপ্তি হয়। গান শুনতে শুনতে আছর এর সময় হয়ে গেল সাথে আছর এর নামাজ আদায় করে নিলাম।
বিকাল বেলা
নামাজ শেষ করে একটু স্যাসাল মিডিয়ায় সময় কাটানোর পর চলে গেলাম বাজার করার জন্য। সৈয়দপুর কাচা বাজার গিয়ে আলু, ধনিয়া পাতা, পদুনা পাতা নিয়ে চলে গেলাম গ্রোসারি শপে আমার একজন পরিচিত ভাইয়ের দোকানে। সেখানে গিয়ে আম্মু লিস্ট অনুযায়ী প্রোডাক্ট গুলা কেনা শুরু করলাম। ভাইয়ের দোকানে গিয়ে সব কিছু নিয়ে নিলাম।কিন্তু তার কাছে চকলেট পাউডার ছিল না তাই অন্য দোকান থেকে চকলেট পাউডার নিয়ে বাসায় বেক করলাম। করোনা কালীন সময়ে বাজারে বেশি না থাকাই ভাল। বাজার নিয়ে চলে এলাম বাসায়।
সন্ধ্যা বেলা
সন্ধ্যা বলায় মোবাইল চালানো ছাড়া আর কোন কাজ থাকে না। এই সময় কোন কাজে মনোযোগ বসে না। তাই বই পড়তে বসলাম। গল্পের বই ছাড়া আমার আর কোন বই পড়তে ভাল লাগে না। একাডেমির বই তো পড়তে বসলে ঘুম না হয় মাথা ব্যাথা শুরু হয়। অনেক কস্ট করে হলেও একাডেমিক পড়াশুনা শেষ করে ফেলেছি।যাই হোক বই পড়তে পড়তে খুধা লেগে গেল। আপুকে বললাম কিছু বানিয়ে খাওয়ানোর জন্য। আপু আলু পরোটা আর আলুর দম বানিয়ে দিলো। এত পরিমান খেলাম যে রাতের খাওয়ার আর প্রয়োজন হয়ে উঠে নাই।
You've created a beautiful blog, but you've mispronounced the title. You haven't used the title space
#onepercent
#bangladesh
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Your post has been very nice.
I like to eat potato parota very much.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খাবারতো অনেক খাইছেন,
এখন একটু ডায়েট কন্ট্রোল করেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দুনিয়াতে তো ভাই খাওয়ার জন্যই আসছি। 😂😂😂😂পেট ভরা তো দুনিয়া শান্ত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit