আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভাল আছেন।বই পড়লে জ্ঞান প্রকাশিত হয়।আমার বই পড়তে খুব ভালো লাগে বিশেষ করে গল্প আর উপন্যাসের বই পড়তে সবথেকে বেশি ভালো। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমি অনেক উপন্যাস পড়েছি। তার মধ্যে আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে পুতুল নাচের ইতিকথা। এটি ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয়েছে।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুতুল নাচের ইতিকথায় হৃদয়ের ভাব বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি ইত্যাদি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।এখানে গাওদিয়া গ্রামের জমিদারদের সামন্তবাদ, দরিদ্র শ্রেণীর, অন্ধকার ছন্ন দরিদ্র, ঘরকুনো জীবন ইত্যাদি প্রকাশ পেয়েছে।পক্ষান্তরে গাওদিয়া গ্রামের ভৌগোলিক চিত্র বহন করা হয়েছে।
নাম-পুতুল নাচের ইতিকথা
লেখক-মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ধরনঃউপন্যাস
প্রকাশিতঃ১৯৩৬ সাল
পাতা-১৭৫
রেটিং-৪.৫.৫
পুতুল নাচের ইতিকথা উপন্যাসের রিভিউ
পুতুল নাচের ইতিকথা উপন্যাসের মূল চরিত্র ছিল শশী। তিনি হলেন একজন ডাক্তার।উপন্যাসটি শুরু হয় হারুাঘোষের সে বর্জ্যপাতের মৃত্যুর ঘটনা দিয়ে।
হারু ঘোষ তার মেয়ে মতির জন্য পাত্র দেখতে গিয়েছিল আসার সময় বজ্রপাতে মারা যায়।
হারু ঘোষ এর মেয়ের নাম হলো মতি তার পুত্রবধুর নাম হল কুসুম। কুসুম হলো পরানের বউ।শশী হল গল্পের নায়ক আর কুসুম এই গল্পের নায়িকা হলেও সে পরানের বউ কিন্তু এখানে শশী আর কুসুমের অতুল্য প্রেম কাহিনীর কথা লেখা হয়েছে।
আরেকটি প্রেমের কথা বলা হতো তা হলো মতি আর কুমুদের। কুমুদ মতি কে খুব ভালোবাসে কিন্তু সে গ্রাম ছেড়ে চলে যায় তার খোঁজে মতি শশীর সাথে কলকাতায় যায় তাকে খোঁজার জন্য।
এখানে কুসুম শশীকে ছোটবাবু বলে ডাকত আর কুসুম পরাণের বউ বলে তাকে বৌ বলে ডাকত।
মতির খুব জ্বর আসে আর শশী হলো ডাক্তার তাই সে প্রায় মতিকে দেখতে আসে তখন কুসুম এর সাথে তার পরিচয় হয়।
এইখানে শশীর প্রতি কুসুমের অবিরাম ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে কিন্তু শশী কুসুমকে খুব করে পেতেও চায় না আবার হারাতেও বেদনা অনুভব করে।
কুসুমের বাবা শশীকে বলেছেন, সংসারে মানুষ চায় এক আর হয় আরেক চিরকাল এমন দেখে আসছে ডাক্তারবাবু।
এটা দ্বারা এখানে বুঝানো হয়েছে মানুষ নিজের লোপ আর আকাঙ্ক্ষা দাঁড়ায় পরিচালিত এখানে মানুষ মানুষের শত্রু না হলেও বিরোধী।
নয় বছর অপেক্ষা করার পর কুসুম যখন গাওদিয়া ছেড়ে বাপের বাড়িতে একেবারেই চলে যাবে তখন শশী ব্যাকুল হয়ে পড়ে।
শশী কুসুমকে কে তার সাথে যেতে বলে কিন্তু তার সাথে যাবে না কুসুম। বলে মানুষ কি লোহার গড়া যে সারা জীবন এক রকম থাকবে বদলাবে না। আজ হাত ধরে টানলেও আমি যাব না।
উপন্যাসটি শেষ হয় তালপুকুরের মাটির টিলার উপরে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দর্শনে শশীর অতৃপ্তি অনুভব হওয়া।
সারমর্ম
পুতুল নাচের ইতিকথার মাঝে কোন পুতুল নাচের কাহিনী এখানে নেই।মানুষের জীবন যেন পুতুলের মত মানুষ নিজেই যেন পুতুল হয়ে নাচে আবার নিজেই সুতো টেনে ধরে আবার কেউ আড়ালে কলকাঠি নাড়েন।
Sundor review
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
thank you..
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit