ওষুধ ও ইনসুলিন ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়েছে। শুধুমাত্র সুনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন, ব্যায়াম, সঠিক খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমেই তা সম্ভব। আকুপ্রেসার, মেডিটেশন, যোগ-ব্যায়াম, প্রাণায়াম- এসবই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
১। করলাঃ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমা জনিত ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে করলা অনেক উপকারী। এটা কোন নির্দিষ্ট অঙ্গ নয় বরং সারা দেহে যত্ন সহকারে গ্লুকোজ ছাড়িয়ে দিতে কাজ করে। এটা দুই ধরনের ডায়াবেটিসের জন্য উপকারি। তবে ইনসুলিনের পরিবর্তে এটা ব্যবহার করা যাবে না। করলার বিচি ছাড়িয়ে রস করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। একাধারে ২ মাস পান করলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। এছাড়াও আপনি ভর্তা করে অথবা তারকারি হিসেবে রান্না করে নিয়মিত খেতে পারেন।
২। দারুচিনিঃ ইনসুলিনের কার্যক্ষমতাকে বাড়িয়ে রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে দারুচিনি দারুণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি মসলা। এতে থাকা পুষ্টিকর খাদ্য উপাদান ডায়াবেটিসের জীবাণুদের দুর্বল করে ফেলে। কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে এটা অনিয়ন্ত্রিত টাইপ ২ ডায়াবেটিসে রক্তে থাকা চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে খুব ভাল কাজ করে।
৩। মেথিঃ মেথিতে আছে বহু ঔষধি গুণাগুণ। এতে থাকা হাইপোগ্লাইসিমিয়ার কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গ্লুকোজের সহনশীলতা বাড়ায় ও রক্তে চিনির মাত্রা কমায়। এটা দেহের অকার্যকর ইনসুলিনকে কার্যকর করে। এতে উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকার কারণে কার্বহাইড্রেট ও চিনিকে ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে।
৪। আমলকীঃ উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি পাওয়া যায় আমলকীতে। আমলকীর রস অগ্ন্যাশয়কে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
৫। কালোজামের বিচিঃ জামের বিচিতে আছে হাইপোগ্লাইকেমিক (Hypoglycemic) যা রক্ত এবং পস্রাবে থাকা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। বিচি ছাড়া, জাম ফল এবং এর পাতাও অনেক উপকারী। মৌসুমি ফল হিসেবে এটা যখন পাওয়া যাবে, বেশি বেশি খাওয়া উচিত। হারবাল ঔষধি দোকানে জামের বিচির গুড়ো পাওয়া যায়। ১কাপ দুধের সাথে ১ চামচ এই গুড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যায়। সকালে বা রাতে যে কোন সময় এই গুড়ো খাওয়া যাবে।
৬। আমের পাতাঃ আমের কচি পাতা রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস সারাতে খুব কার্যকারী। ১০ থেকে ১৫ টি কচি পাতা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেতে সেই পানি পান করুন। এছাড়াও পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে আধা চা-চামচ গুড়ো দিনে দুইবার খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
৭। এলোভেরাঃ ঘৃতকুমারী বা এলোভেরার রস রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এলোভেরার রসের সাথে তেজপাতা এবং হলুদের গুড়োর মিশ্রণ রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণে খুবি কার্যকর। নিয়মিত ১ চামচ এই মিশ্রণ খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
৮। পেয়ারাঃ পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি এবং ফাইবারের কারণে এটা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকরী। তবে ডায়াবেটিসের জন্য পেয়ারা উপড়ের চামড়া বাদ দিয়ে খাওয়া ভাল।
৯। ঢেঁড়সঃ ঢেঁড়সে আছে পলিফেনলিক মলিকিউল (Polyphenolic Molecule) যা ডায়াবেটিস সারাতে ভাল কাজ করে। ২০১১ সালে “ফার্মেসি এবং বায়োএলিড বিজ্ঞান জার্নালে” প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢেঁড়সের বিচির গুঁড়তে প্রাকৃতিক এন্টেবায়োটিক এবং এন্টিহাইপারলিপিডেমিক (Antihyperlipidemic) আছে। ঢেঁড়স টুকরো করে কেটে সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে টুকরো গুলো ফেলে দিয়ে পানিটুকু পান করুন।
ভাই এখানে ওখানে থেকে তথ্য না দিয়ে নিজে লেখার চেষ্ঠা করুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইমেজ সোর্স দিন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit