Photography & Writing Contest of Bangladesh

in hive-138339 •  4 years ago  (edited)

IMG20200818124435-01.jpeg

জবা ফুলের এক ফুতন্ত কলি।
আমি এই ফটো কনটেস্ট এর জন্য আমার তুলা এই ফটোটা তুলে ধরলাম
জবা একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় ফুল। এ ফুল গোলাপি, সাদা, লাল, হলুদ—নানা বর্ণের হয়।
বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র জবা ফুলের গাছ পাওয়া যায়। মেয়েরা চুল কালো করতে যাব ফুল ব্যবহার করে থাকে। আমি আমার বোনের জন্য আর দশটা যাব ফুল নিয়ে এসেছিলাম সে নাকি জবা ফুল পিসে চুলে দেবে।

জবা ফুল সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ

মালভেসি গোত্রের অন্তর্গত চিরসবুজ পুষ্পধারী গুল্ম এই জবা। উৎপত্তি পূর্ব এশিয়ায়। ১৭৫৩ সালে বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস এর নাম দেন ‘Hibiscus rosa-sinensis’। লাতিন শব্দে ‘rosa-sinensis’-এর অর্থ ‘চীন দেশের গোলাপ’। বাংলায় নাম রক্তজবা, জবা, জবা কুসুম।
জবার বংশবিস্তার হয় শাখা কলমের মাধ্যমে। প্রায় সারা বছরই ফোটে এ ফুল। গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থাকে। গাছের উচ্চতা প্রায় ৮ থেকে ১৬ ফুট। পাতাগুলো চকচকে সবুজ ও ফুলগুলো উজ্জ্বল এবং পাঁচটি পাপড়িযুক্ত। ফুলগুলোর ব্যাস গড়ে চার ইঞ্চি এবং গ্রীষ্ম ও শরৎকালে ফোটে। জবা ১০° সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না, তাই এর নিচের তাপমাত্রার অঞ্চলে জবাগাছ কাচের ঘরে জন্মে।
ঔষধি গুণাগুণ সমৃদ্ধ জবা। বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। চোখ ওঠা দূর করতে জবাপাতার প্রলেপ দিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। সর্দি ও কাশিতে জবা ফুল বেটে রস করে পানিতে মিশিয়ে খেলে রোগী সুস্থ হয়। চুলের বৃদ্ধির জন্য জবাপাতার রস তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগালে উপকার হয়।
যেটা আমার বোন করেছিলো।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order: