আসলামুয়ালাইকুম। রামাদান মোবারক।
আজ এমন একটা টপিক নিয়ে লিখতে বলা হয়েছে যা নিয়ে যত বলবো ততোই কম হবে।শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করতে গেলে কত কিছুই না চোখে ভেসে আসছে।কিছু স্মৃতি আপনাদের মাঝে আজ শেয়ার করছি।
আমার শৈশবের ছবিঃ
আমার জন্ম একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে।আমার ছেলেবেলা গ্রামেই কেটে যায়। জন্মের পর পরিবারের আপনজন হিসেবে পাই আব্বু,আম্মু আর দাদিমা।আমার কোন চাচা বা ফুফি নেই।দাদুর ভালোবাসাও
আমার কপালে ছিলো না।আমার জন্মের ০৩ মাস আগেই তিনি পরপাড়ে পাড়ি জমান।
আব্বু ছোট্ট একটা সরকারি চাকরি করতেন।তার কর্মস্থল ছিলো বগুড়া।সেই সুবাদে তিনি সপ্তাহের ৫/৬ দিন বাইরে থাকতেন।বাসায় আম্মু আর দাদিমা।দাদিমার সাথেই আমার পুরো সময় টা কেটে যেতো।
সকালে স্কুল শেষে বাসায় ফিরেই দূরন্তপনায় মেতে উঠতাম।বাড়ির পাশেই করতোয়া নদী।বর্ষায় কানায় কানায় পরিপুর্ন হয়ে উঠতো ভরা যৌবনা।নদীতে গোসল না দিলে যেন দিনটাই অপূর্ণ থেকে যেতো।তখনকার সেই নদীর বর্তমান ছবি
বিকেলে স্কুল মাঠে গিয়ে ক্রিকেট অথবা ফুটবল ছিলো নিত্যদিনের সঙ্গী।আর সন্ধ্যা হলেই ভদ্র ছেলের মতো পড়তে বসতাম।সারাদিনের ক্লান্তিতে ঘুম চলে আসতো। তখনি শুরু হইতো আম্মুর কড়া শাসন।হোম ওয়ার্ক শেষ না করে ঘুমাতেই দিতো না আম্মু।
শৈশবের ছুটির দিনঃ
স্কুলে গ্রীষ্মকালীন বা অন্য কোন ছুটি পেলে আমি নানুবাসায় ঘুরতে যেতাম। নানুবাসা প্রায় ৮০ কি.মি. দূরের পথ হওয়ায় ট্রেনে যেতে হতো।ট্রেনের সেই ঝিক-ঝিক শব্দ আমার অনেক পছন্দের।নানুর সাথে বাইকে করে ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগতো।
নানুর সেই বাইকের একটা ছবি
জানি না আমার শৈশবের গল্প আপনাদের কতটুকু ভালো লেগেছে বা লাগবে।আবারো দেখা হবে অন্য কোন গল্পে।সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ
পোস্টে মার্কডাউনের ব্যবহার করুন৷ মার্কডাউন নিয়ে একটি টিউটোরিয়াল পোস্ট রয়েছে৷ আমাদের কমিউনিটিতে সেটি দেখতে পারেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit