প্রতিদিন এর তুলনায় আজকে একটু বেলা করে শুয়ে আছি।।।
কারণ আব্বু আগে যেখানে জব করতো সেখান থেকে ট্রানস্ফার হয়ে নতুন এক জায়গায় চলে আসছে।
সে কারণে আমাদের আগের বাসাটা চেঞ্জ করে এখানে এসেছি।।
যাই হোক সে কারণে আজকে সারাদিন অনেক কাজ করতে হয়েছে।।
আর সারাদিন কাজ করার পরে শরীরটা অনেক ক্লান্ত লাগছে তাই অনেক বেলা করে শুয়ে আছি।।
আম্মুঃ কিরে রাশেদ কি হলো এখন পর্যন্ত শুয়ে আছিস কেন,,,,??
আমিঃ,,,,,,,,(আমার কোন সারা শব্দ নাই)
আম্মুঃ কিরে উঠবি কি পানি ঢেলে দিব,,,!!
আমিঃ তার পর অও আমার কোন সারা শব্দ নাই???
।
।
তারপর অনেক ডাকাডাকির পর আমার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে।
টেবিলের উপর এক গ্লাস পানি রাখা ছিল।
সেটি যখন আমার মাথার উপর ঢ়েলে দিল
তখন লাভ দিয়ে উঠে বললাম।
আমিঃ আম্মু কি হয়েছে,,,,??
আম্মুঃ কয়টা বাজে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখ ,,??
কলেজে যাবি কখন আর এমনিতেই এখানে আজকে তোর কলেজের প্রথম দিন।
আর এখন ডাক না দিলে পরে তো আবার বলবি ডাক দিলে না কেন,,,?
আমিঃ আম্মু কথা সুনে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৯:৪০ বেজে গেছে,,,,!
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আর ১ সেকেন্ড দেরি না করে দ্রুত চলে গেলাম ওয়াশরুমে।
ওয়াশরুম থেকে তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে।
নাস্তা করার জন্য নিচে চলে গেলাম।
আমিঃ আম্মু তারাতারি খাবার দাও তো।।
আম্মুঃ দিচ্ছি তো।।
আমিঃ হুম তারাতারি দেও।।
আম্মুঃ বেলা করে গুম থেকে উঠে এখন চুরের মতো তারাহুরা করতেছে।।
আগে জানা ছিল না কলেজে যেতে হবে।। (এভাবে বক বক করতে লাগলো)
আমিঃ আম্মু আবার শুরু করলা এখন একটু চুপ থাক তো এখন খাইতে দাও।
আম্মুঃ হুম।
।
।
তারপর দ্রুত খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রেডি হয়ে চলে গেলাম কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
আর আজকে এখানকার কলেজের প্রথম দিন তাই গাড়ি বাইক কোনটাই না দিলে হেটে বেরিয়ে পড়লাম।
রাস্তায়,,,,,!!
আজকে এমনেতেই অনকে লেট হয়ে গেছে তারপর আবার কোন অটো রিক্সা কিছুই পাচ্ছি না।
অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর দেখলাম এক রিক্সাওয়ালা মামা যাচ্ছে।।
আমি মামাকে দেখেই ডাক দিলামঃ এই মামা এই দিকে আসো।।
মামাঃ হুম মামা কই যাবে না মামা!!
আমিঃ মামা কলেজে জাব তারাতাড়ি চল এমনেতেই অনেক লেট হয়ে গেছে।
মামাঃ হুম জাচ্ছি।।
।
।
ও হে আপনাদের কাছে তো আমার পরিচয় টাই দেওয়া হলো না।
আসুক কলেজে যেতে যেতে আমার পরিচয় না দেই।
আমার নামঃ মো: রাশেদ আমরা ফ্যামিলিতে মোট চারজন আব্বু আম্মু। আর আমরা 2 ভাই এক বোন।
আমার আব্বু একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করে।
আর আমার বড় ভাই সে বিজনেস এর কাজে দেশের বাহিরে আছে।।
আর আমার বোন তার বিয়ে হয়ে গেছে,,,?
আর আমি এবার ইন্টার ফ্রাস্ট ইয়ার এ পরি।
আগে এক কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম কিন্তু আব্বু এখানে বদলি হওয়ার কারনে আবার এখানে ভর্তি করে দিতেছে,,,!!
এখন বাসায় মূলত আমি আর আম্মু থাকে আর কেও না।।
।
।
যাইহোক আস্তে আস্তে সব কিছু জানতে পারবেন এবার মূল গল্পে আসা যাক।।
আপনাদেরকে আমার পরিচয়টা দিতে দিতে কলেজ গেট এর সামনে উপস্থিত হয়ে গেছি।
কলেজ গেট এর সামনে আসতেই দেখি গেটটি বন্ধ করে দিছে।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ১০ঃ১৫ বেজে গেছে আমার জন্য কি আর এখন পরযন্ত গেট খুলে রাখবে,,,?
যাইহোক,,,,,,!!
তারপর গেইট এই সামনে গিয়ে দারোয়ান মামাকে ডাক দিলাম।
আমিঃ মামা এই মামা।।
মামাঃ কে,,,??
আমিঃ মামা আমি,,,,!!
মামাঃ আমি কে,,,,?
আমিঃ মামা আমাকে চিনবেন আমি নতুন স্টুডেন্ট আজকেই প্রথম কলেজে আসলাম।
মামাঃ অহ আচ্ছা তো এতো লেট করে আসছো কেন,,,!!
আমিঃ মামা আসলে আমি এখানে একটু নতুন তো তাই সব কিছু চিনতে পারছিলাম না তাই একটি লেট হয়ে গেছে?? ( মিথ্যে বললাম)
মামাঃ আচ্ছা তো তুমার আইডি কার্ড টা দেখাও।
আমিঃ মামা আমি তো আজকেই নতুন তাই আমাকে আইডি কাড দেওয়া হয়নাই এখন।
মামাঃ এমনেতেই অনেক দেরি করে আসছো তারপর আবার আইডি কার্ড নাই তোমাকে ডুকতে দেওয়া যাবে না,,,??
।
দারোয়ান মায়া ভিতরে ডুকতে দিতে চাচ্ছে না তখন ই এক টিচার আসলো।।
টিচারকে দেখিই দারোয়ান মামা গেট খুলে দিলো।
টিচার আমাকে দেখে বললঃ কি হয়েছে এখানে,,,?
আমিঃ স্যার আমার কলেজে আসতে একটু লেট হয়েছে তাই সে ডুকতে দিচ্ছে না।
স্যারঃ তোমাকে তো আগে কখন দেখি নাই নতুন নাকি।।
আমিঃ জ্বি স্যার।।
স্যারঃ অহহ আচ্ছা অই ওকে ভিতরে আসতে দেও। (দারোয়ান মামাকে বলল)
দারোয়ানঃ ওকে স্যার।
।
।
আজকেই এই কলেজের প্রথমদিন এর আগে এই কলেজে কখন আসি না।
আর এখানে আমাকে ভর্তিটাও আগেই আব্বু করে দিয়েছিলো তাই আমার আগে আর আসা হয় নি।।
আর আজকে এই প্রথম কলেজে আসতেই অবাক হয়ে গেলাম।
দেখলাম বিশাল এক এরিয়া।।।
আর এখানে কলেজ আর ভার্সিটি এক হওয়ায় অনকে বিশাল আকারের।।
ভিতরে ডুকতেই এই বিশাল এরিয়া যে আমি ঠিক বুজতে পারছি না যে আমার ক্লাসটা ঠিক কোন দিকে,,,!!
সামনের দিকে আসতেই এক বড় ভাইকে দেখতে পেলাম।।
আমিঃ ভাইয়া আমি নতুন তু তাই ঠিক চিনতে পারতেছিনা আমাদের ক্লাসটা আসলে কোন দিকে আর তাই আপনি যদি একটু বলতেন,,?
ভাইয়াঃ কোন ইয়ার।
আমিঃ ফ্রাস্ট ইয়ার।
ভাইয়াঃ অহহ আচ্ছা।
আমিঃ হুম
ভাইয়াঃ কোন সাবজেক্ট।।
আমিঃ Humanities.
তারপর ভাইয়াটি দেখিয়ে দিল।
আর কোন দিকে না তাকিয়ে দ্রুত ক্লাসের দিয়ে রওনা দিলাম।
খুব তাড়াহুরা করে যাচ্ছিলাম তখনি ঘটে গেল আরেক দুর্ঘটনা।।
আমি খুব তারাতাড়ি করে যাচ্ছিলাম সেও অনকে তারাতাড়ি করে আসছিলো।।
আসার পথেই দুজনেই এক বিশাল ধাক্কা খেয়ে পরে গেলাম।।।
উঠে পিছন দিকে গুরে কিছু একটা বলতে জাব।।
তখনি গালে একটা চর বসিয়ে দিয়ে বলল অই কি হ্যালো দেখে চলতে পারিস না। চখ কই রেখে হাটিস।
নাকি মাইয়া মানুষ দেখলেই ধাক্কা দিতে মন চায়।।(এসব আর অনকে বকা বকি করতে লাগলো)
আমিঃ আপনি আমাকে চর মারলেন কেন,,, আমার একার দুষ নাকি আপনিও তো দেখে হাটতে পারেন তাই না। (গালে হাত দিয়ে)
মেয়েটিঃ আবার মুখে মুখে তর্ক করিস।।
আমিঃ তর্ক করলাম কই,,,আমি তো জাস্ট বললাম।।
মেয়েটিঃ কোন কথা বলবি না তদের মতো ছেলেদের চেনা আছে,,,?
আর কোন ইয়ার এ পরস,,,?
এর আগে তো কখন দেখি নাই তরে তুই কি নতুন,,,,??
তার এসব কথা সুনে মন চাচ্ছে তাকে ইচ্ছা মতো কিছু দিতে পারতাম।
কিন্তু আমি তো এখানে নতুন তাই তেমন কিছু না বলে দাতে দাদ কামর দিয়ে বললামঃ জ্বি আমি আজকেই প্রথম কলেজে আসলাম।।
আর আমি ইন্টার ফ্রাস্ট ইয়ার এ পরি,,?
মেয়েটিঃ অহহ আচ্ছা তো নেক্সট টাইম দেখে সুনে চলবি,,,??
আমিঃ জ্বি আপনিও। (আস্তে করে বললাম)
মেয়েটিঃ কি বললি,,,,??
আমিঃ কিছু না বললাম আপনি দেখতে অনেক কিউট,,,??
এই কিউটনেস টা আপনার ব্যবহার এর মধ্য যায় না।।
মেয়েটিঃ তোই তো পাকনা পাকনা কথা বলতে পারিস দেখা জাচ্ছে।।।।
আমিঃ জ্বি আপু।।
মেয়েটিঃ পিচ্চি পুলাইপান পিচ্চি পুলাইপান এর মতো থাক। বড় বড় কথা বলিস না।।
আমিঃ আমি কিন্তু মুটেও পিচ্ছি না।।
মেয়েটিঃ তো তুই কি,,,?
আমিঃ মাপ দিয়া দেখেন আমি আপনার থেকে একটু হলেও বড় হব।।
মেয়েটিঃ হইছে আল্লাহ এবার যা।
আমিঃ হুম যাচ্ছি।।
আর কোন কথা না বলে দুজনে দুদিকে চলে গেলাম।।
কিছু দূর যেতেই মনে মনে বলতে লাগলামঃ দূর সালার কপালটাই খারাপ এমনেতেই অনকে লেট হয়ে তার উপর আবার কি ঝামেলা টাই না হয়ে গেল।।
আর যাই হোক মেয়েটা কিন্তু অনকে কিউট ছিল।
প্রথম দেখাতেই ক্রাশ খাইছি,,,!!!
এসব ভাবতে ভাবতে ক্লাস রুম এর এইখানে পৌছালাম।।
ক্লাস এর এখানে এসে দেখি,,,,,!!!!
...........চলবে...........