সকল মুসলিম ভাইদের আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।বাকি অন্যদের প্রতি আমার ভালো বাসা। কি অবস্থা সবার? আমি বরাবরের মতোই আলহামদুলিল্লাহ। আশা করি আপনারাও ভালো আছেন আল্লাহর রহমতে।
আজ ৫আগস্ট ২০২০ সবার মতো আমার জন্যেও একটা সাধারণ দিনের মতো করে শুরু করছিলাম। কিন্তু দিনের শুরুটা আর ভালো হলো না। ২০২০এর প্রতিটি দিন যেন নিজের সাথে করে একটি ইতিহাস বয়ে আনার চেষ্টায় ব্যাস্ত।
এইতো সেদিন ২০১৯ই ভালো ছিলো না ছিলো কোন ভাইরাস না ছিলো এতো আতঙ্ক এত ভীতি।
২০১৯এর সেদিনই মনে হচ্ছে যেন ক্রিকেট বিশ্বকাপের মুহুর্তে সবাই উল্লাস করছিলো।
আমি ও আমার কিছু ব্ন্ধু সে রাতে নাটোরে ছিলাম। কারন পরবর্তী দিনে আমাদের সবাই অনার্স শেষ বর্ষের ভাইভা ছিলো। তাই সবাই নাটোর গেলাম যেহুতু আমাদের কলেজ নাটের তাই সেখানে বসে সকলে মিলে বিশ্বকাপের মুহুর্ত উপভোগ করলাম।পরবর্তী সকালে সবাই মিলে হোটেলে ফ্রেশ হয়ে সবাই বের হলাম কলেজের উদ্দেশ্যে।
আর সবাই মিলেই মজা করেছি সেদিন।২০১৯এ এরকম আরো নানা স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।
কিন্তু ২০২০ হয়তো স্মৃতির পাতায় উচ্চারিত হবে কালো অধ্যায় নামে।এ বছরে কত ঘটনারি না আমরা সম্মুখীন হলাম।
২০২০সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্ব দেখলো দাবানলের তান্ডব যা অস্ট্রেলিয়ায় হলো।সেখানে মারা গেল হাজারো রকমের উদ্ভিদ প্রানী। তারপর দেখলাম ১০০০০উটের বর্বরভাবে মেরে ফেলার কান্ডটি।
ফেব্রুয়ারী মাসে দেখলাম মেজর সুলেমানীর মৃত্যু কি নির্মমভাবেই না মেরে ফেলল মার্কিন সেনারা তাকে।যার জন্য শোকাহত হলো বিশ্বের মুসলিম জনোগষ্ঠী।
তারপর আসলো মার্চ মাস এবং শুরু হলো ভয়াবাহ একটা অবস্থা। করোনা ভাইরাস যার নাম। যার জন্ম চায়নাতে হলেও এর ভয়াল থাবার মাঝে এখনো পুরো বিশ্ব আতঙ্কিত।
চায়নার মাঝে ব্যপক ভাবে সংক্রমণ দেখা দিলেও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সবার উপরে।তারপর ইতালি।
আপনারা ভাবছেন The Diary Game এর মাঝে আমি এসব কেন বলছি।
আসলে আজকের দিনটাও যে ভুলার মতো নয় তাই মনে করিয়ে দিচ্ছিলাম ২০২০কি কি কেড়ে নিলো আমাদের থেকে।
আজ সকালে ঘুম থেকেই উঠে দেখি লেবাননের খবর। খবরটা দেখে সত্যি আমি দুঃখিত, ব্যাথিত, বাক্যহীন। আসলে না জানি ২০২০ আরো কি কি রেখেছে নিজের ঝুলিতে।লেবাননের সবার অবস্থা আমরা এখানে বসে উপলব্ধি করতে পারবো না আর সেটা সম্ভব ও না। শুধু এটাই বলবো আল্লাহ তাদেরকে ধৈর্য দান করুক তারা তাদের এই দুর্ঘটনা যত দ্রুত সম্ভব কাটিয়ে উঠুক।
আজ সকালে উঠলাম ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করেই চলে গেলাম গ্রামের দিকে। কারন তীব্র গরমে জীবন অসহ্য হয়ে উঠছিলো তাই এগুলাম গ্রামের দিকে। জায়গাটা আমাকে কখনোই নিরাশ করে না। গিয়েই যে তীব্র হাওয়ায় সম্মুখীন হলাম ভিতরটা যেন জুড়িয়ে যায়। এরকম হাওয়া আমরা শহরে কখনোই পাই না। এই ইট পাথরের শহরের হিংসা, বিদ্বেষ, রাজনৈতিক প্রভাব,একে অপরকে ছোট করার প্রতিযোগিতা গরম করে রেখেছিলো আগেই তারপর আবার আবহাওয়ার এই গরম জীবন অসহ্য করে তুলেছিলো।তাই গ্রামের দিকে রওনা দেওয়া।
বাসায় আসলাম ২.৫০বাজে গোসল করে খাওয়া করতে করতে কী একটু খবর দেখবো দেখি আজকে আমাদের দেশে আবার নৌকাডুবিতো ১৮জনের মৃত্যু । আল্লাহ তাদের জান্নাত বাসি করুক। তারপর ঘুম থেকে উঠে মাঠের দিকে এগুলাম। দেখি আজ আবার সবাই ঘুড়ি উড়াচ্ছে।
সবার সাথে গল্প করে বাসায় ফিরলাম ততক্ষণে মাগরিব হয়েছে।
এভাবেই পাড় করলাম আমার আজকের দিন।
আপনাদের কেমন গেল? জানাবেন অবশ্যই।
দেখা হবে আবার কালকে ততক্ষণ সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুক।
আসসালামু আলাইকুম আল্লাহ হাফেজ। ❤
Hi @pial !
Thanks for sharing your diary with us,
My suggestion is to you try to write more detail about your daily activity.
For more follow @steemitblog for the latest update on Steem Community such as some early tips!
Also join LUCKY 10S
greeting from @tarpan
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই আপনাকে প্রতিদিন এর কার্যকলাপ নিয়ে লিখতে বলা হয়েছে৷ কিন্তু অন্য বিষয় নিয়েই বেশি আলোচনা করেছেন৷ আপনি সারাদিন যা করতেছেন তাই নিয়েই লিখুন অতিরিক্ত কিছু যোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ভাই হয়তো আমার কথা গুলো বুঝতে পেরেছেন৷ পরেরবার এরকম ভুল করবেন না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for taking part in The Diary Game on Steem.
Keep following @steemitblog for the latest updates.
The Steemit Team
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit