শিল্পীর নাম | ফারুক মাহফুজ আনাম, ডাকনাম জেমস |
---|---|
গানের ধরন | রক, হার্ডরক, সাইকেডেলিক রক, ব্লুজ রক |
ব্যান্ডে যে সব নামে পরিচিত | জেমস, গুরু, নগরবাউল |
জন্মস্থান ও তারিখ | ২ অক্টোবর ১৯৬৪ নওগাঁ, রাজশাহী, |
জাতীয়তা নাগরিকত্ব | বাংলাদেশী |
পেশা | গায়ক, গিতিকার, সুরকার, অভিনেতা, ব্যাবসায়ী |
দাম্পত্য সঙ্গী | ১ম - কানিজ রাবেয়া রথি, ২য় - বেনজির সাজ্জাদ |
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভালো আছি, আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার পছন্দের শিল্পি জেমস সম্পর্কে।
তার ব্যান্ড মঞ্চ নাম [জেমস]
জন্মঃ জেমস ১৯৬৪ সালে অক্টোবর মাসের ২ তারিখে নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহন করেন। কিন্তু বেরে উঠেন চট্টগ্রাম শহরে। বাবার নাম মোজাম্মেল হক এবং মায়ের নাম জাহানারা খাতুন। জেমসের বাবা মোজাম্মেল হক সরকারি চাকুরিজীবী ছিলেন। সেই সূত্রে জেমসের প্রথম স্কুল ছিল সিলেট জেলার ব্লু-বার্ড স্কুল। তারপর রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল, আর কলেজ জিবন নীলফামারী ও সিরাজগঞ্জে কেটেছে দারুণ কিছু সময়। ছোটবেলা থেকে জেমস সঙ্গীতপ্রিয় ছিলেন তার বাড়ি থেকে সংগীত কেউ পছন্দ করত না বিধায় তিনি বাল্যকালে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন।
চট্টগ্রাম জেলায় আজিজ বোর্ডিং নামে তিনি একটি বোর্ডিংয়ের দীর্ঘ দিন থাকেন এবং সেখান থেকে তিনি তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। জেমস তার কয়েকজন বন্ধু মিলে ফিলিংস নামে একটি ব্র্যান্ড দল গঠন করেন এবং সেখানে জেমস গিটারিস্ট ও কন্ঠদাতা হিসেবে ক্যারিয়ারের শুরু করেন।
দেশে এবং বিদেশে কর্মজিবন
তার বন্ধুদের নিয়ে চট্টগ্রামে তৈরি করা ব্যান্ডদল ফিলিংস প্রথমত খ্যাতি অর্জন করে তারপর তাদের নিয়ে নগরবাউল নামে ব্যান্ডদল প্রতিষ্ঠা করেন যেখানে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ছিলেন। বাংলা ভাষায় তিনিই প্রথম সাইকিডেলিক রক শুরু করেন। জেমস অনেক সুরকার ও গিতিকারের সঙ্গে কাজ করেছেন, যাদের মধ্যে ছিলেন কবি শামসুর রাহমান, প্রিন্স মাহমুদ, শিবলি আরও অনেকে। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন দেশের বড় বড় রকস্টারের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন যাদের নাম আমার সঠিক জানা নেই সেই কারণে উল্লেখ করতে পারলাম না। ১৯৮৭সালে ফিলিংস ব্যান্ড এর সঙ্গে জড়িত থাকা অবস্থায় তার [স্টেশন রোড] অ্যালবাম মুক্তি পায়, এবং ১৯৮৮ তে তার একক এ্যালবাম [অনন্যা] আমাদের উপহার দিয়েছেন। তারপর ফিলিংস ব্যান্ড এর নামকরণ পরিবর্তন করে নগরবাউল নামকরণ করে দিয়েছেন জেমস।
বাংলা ব্যান্ড সঙ্গীতে খ্যাতি অর্জন করার কারণে পশ্চিমবঙ্গেও জনপ্রিয়তা লাভ করে। ২০০৪ সালে বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক প্রিতম এর সাথে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। ২০০৫ সালে বলিউল সিনেমস গ্যাংস্টারে ভিগি ভিগি নামক গানে প্লেব্যাক করেন। আর এই গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং দীর্ঘ একমাস সময় এই ছবিটি শীর্ষস্থানীয় হয়ে ছিল। ২০০৬ সালে জেমস ও লামহে সিনেমাতে তিনি চাল চালে আপনে ঘার গানটি প্লেব্যাক করেন। ২০০৭ সালে তিনি লাইফ ইন এ মেট্রো চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া গান দুইটি হল রিশতে এবং আলবিদা। এবং সর্বশেষ বলিউডে ওয়ার্নিং নামক চলচ্চিত্রে তার গাওয়া বেবাসি গানটি মুক্তি পায় ২০১৩ সালে।
ব্যাক্তিগত জিবন ও সঙ্গীতসমূহ
জেমস এর প্রথম স্ত্রীর নাম কানিজ রাবেয়া রথি ২০০২ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটনা ঘটার পরে তিনি দ্বিতীয় বিবাহ করেন বেনজির সাজ্জাদকে। তার সাথে ১৯৯৯ সালের একটি কনসার্টে জেমসের প্রথম বারের মতন সাক্ষাৎ হয়। জেমসের দুইটি কন্যা ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
জেমসের এ্যালবাম
ফিলিংস
- স্টেশন রোড
- লেইস ফিতা লেইস
- কালেকশন অফ ফিলিংস
- জেল থেকে বলছি
- নগর বাউল
নগরবাউল
- দুষ্টু ছেলের দল
একক এ্যালবাম
- দুঃখিনী দুঃখ করোনা
- ঠিক আছে বন্ধু
- আমি তোমাদেরই লোক
- জনতা এক্সপ্রেস
- তুফান
- কাল যমুনা
- অনন্যা
- পালাবে কোথায়
বাংলা চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক গানসমূহ
- এতো কষ্ট কষ্ট লাগে
- বিধাতা
- তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম
- প্রেম ও ঘৃণা
- আসবার কালে আসলাম একা
- মাটির ঠিকানা
- দেশা আসছে
হিন্দি চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক গান সমূহ
- ভিগি ভিগি
- চল চলে
- আলবিদা
- রিশতে
- বেবাসি
উপরে যে আমি লিস্ট গুলি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি এগুলির সবগুলি জেমস এর অ্যালবাম এবং এই অ্যালবাম গুলিতে জেমসের অসংখ্য স্বনামধন্য গান রয়েছে আপনারা চাইলে গানগুলি শুনে দেখতে পারেন।
জেমস বলছিলেন -কোনো লক্ষ্য ঠিক করে সামনে চলি না। আমি যে কাজটা করে আনন্দ পাই, সে কাজটা করি। আমার যদি আগ্রহ না থাকে, সে কাজ আমি কখনোই করি না। আমার জীবনের খুব সোজাসাপ্টা হিসেব। জীবনে অনেক ওঠানামা ছিল। গান গাইতে এসে কোনো লক্ষ্য স্থির করিনি। গান করছি, এটাই আমার আনন্দ, এটাই আমার প্যাশন। তারপর কী হয়েছে না হয়েছে এটা নিয়ে ভাবিনি। কিছু না হলেও গানই করতাম।source
এই ছিল আমার প্রিয় শিল্পী জেমস সম্পর্কে সামান্য কিছু বিবরণ এবং তথ্য আমি আমার এখানে যদি কোন ভূল-ত্রূটি থাকে আপনারা অবশ্যই আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।
𝕋𝕙𝕒𝕟𝕜 𝕪𝕠𝕦 𝕖𝕧𝕖𝕣𝕪𝕠𝕟𝕖
Email- [email protected]