Sports Topic:"Kabadi"

in hive-138339 •  3 years ago 

image.png

source

কাবাডি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় খেলা। বাংলাদেশের জাতীয় খেলার নাম কাবাডি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলার পোশাকি নাম হল কাবাডি। 1973 সালে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয়। বাংলাদেশ বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন এর প্রচেষ্টায় ঢাকায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সাফ গেমসে কাবাডি অন্তর্ভুক্ত হয়। তখন থেকেই কাবাডি খেলা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখে।

খেলার নিয়মাবলী

টসে যে দলের ক্যাপ্টেন জয়লাভ করবে সে তার পছন্দমতো কোর্ট নেবে। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে কোর্ট বদল হবে।

খেলোয়াড়ের শরীরে যে কোন অংশ বাউন্ডারির বাইরে ভূমি স্পর্শ করলে সে মারা যাবে।

খেলার সময় যদি কোন খেলোয়ার বাউন্ডারির বাইরে যায় তাহলে সে আউট হবে

রেইডার অনুমোদিত শব্দ কাবাডি উচ্চারণ করে দম নেবে। যদি রেইডার ঠিকমতো কাবাডি উচ্চারণ না করে তাহলে রেফারি কল ব্যাক করবে এবং বিপক্ষ দল একটি টেকনিক্যাল পয়েন্ট পাবে।

রেইডার বিপক্ষের কোর্ট স্পর্শ করার পূর্বে দম ধরতে হবে। যদি সে দম দেরিতে বা কোর্ট স্পর্শ করে ধরে তাহলে রেফারি তাকে ব্যাক করাবে এবং বিপক্ষ দলকে একটি টেকনিক্যাল পয়েন্ট ও দম দেওয়ার সুযোগ দেবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী

প্রত্যেক দল কমপক্ষে 10 জন সর্বাধিক 12 জন খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত হবে সাতজন খেলোয়ার মাঠে একসাথে খেলবে বাকি খেলোয়ার বদলি হিসেবে থাকবে।

পুরুষ ও জুনিয়র বালকদের জন্য খেলার সময় হবে প্রত্যেক অর্ধে 20 মিনিট করে, মাঝে বিরতি 5 মিনিট। মহিলা বা জুনিয়র বালিকা ও সাব জুনিয়র বালক ও বালিকা তাদের খেলার সময় হবে প্রতি অর্ধে 15 মিনিট করে। মাঝে বিরতি 5 মিনিট। বিরতির পর কোড বদল হবে প্রথম অর্ধে যে কয়জন খেলার মাঠে ছিল দ্বিতীয়ার্ধে ওই কয়েকজন খেলোয়াড় নিয়ে মাঠে নামতে হবে।

পয়েন্ট গণনার পদ্ধতি একপক্ষের প্রত্যেকে খেলোয়াড় মরার জন্য বিপক্ষদল 1 পয়েন্ট করে পাবে। একপক্ষের সমস্ত খেলোয়াড় মরা হলে বিপক্ষদল লোনার জন্য অতিরিক্ত 2 পয়েন্ট পাবে।

টাইম আউট একেক দল প্রত্যেক অর্ধে দুইবার time-out নিতে পারবে যার স্থিতিকাল হবে 30 সেকেন্ড।

টাইম আউটের সময় খেলোয়াড়গণ কোর্টের বাইরে যেতে পারবে না বা কোর্ট ত্যাগ করতে পারবে না যদি এই নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে বিপক্ষদল একটি টেকনিক্যাল পয়েন্ট পাবে।

খেলোয়াড় আহত হলে পুনরায় দাগ দেওয়ার জন্য বা বহিরাগত দ্বারা খেলা ব্যাহত হলে অথবা এই জাতীয় কোন ঘটনার জন্য কেবল রেফারি অফিসিয়াল time-out দিবেন।

কাবাডি খেলায় দুই ধরনের কৌশল আছে

1)রক্ষণাত্মক কৌশল

  1. আক্রমনাত্মক কৌশল

রক্ষণাত্মক কৌশল যে কোর্টে দম চলছে ওই কোর্টের সমস্ত খেলোয়াড় যে কৌশল অবলম্বন করে তাকে রক্ষণাত্মক কৌশল বলে। যেমন গোড়ালি ধরা, হাটু ধরা,কোমড় ধরা, হাতের কব্জি ধরা, চেইন দিয়ে ধরা ইত্যাদি।

আক্রমনাত্মক কৌশল রেইডার দম দিয়ে বিপক্ষ খেলোয়াড় কে ছোঁয়ার জন্য যে পন্থা অবলম্বন করে তাকে আক্রমনাত্মক কৌশল বলে। যেমন পা দিয়ে ছোয়া, হাত দিয়ে ছোঁয়া

কাবাডি খেলা পরিচালনার জন্য মোট ছয়জন অফিসিয়াল প্রয়োজন হয়

একজন রেফারি
2 জন আম্পায়ার
একজন স্কোরার
দুইজন সহকারী স্কোরার।

মারাত্মকভাবে নিয়ম লঙ্ঘন অপরাধঃ

নিম্নলিখিত অপরাধগুলো করলে রেফারি বা আম্পায়ার উক্ত খেলোয়াড় কে সতর্ক, বিপক্ষ দলকে পয়েন্ট, সাময়িক বহিষ্কার অথবা অযোগ্য করার ক্ষমতা রাখে।

সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অফিশিয়াল কে প্ররোচিত করা

সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করা

সিদ্ধান্ত আদায়ের জন্য অঙ্গুলি প্রদর্শন করা

রিডারের দম আটকানোর জন্য গলা মুখ চেপে ধরা

এমনভাবে খেলা হবে যা বিপক্ষ খেলোয়াড়ের আহত করার আশঙ্কা থাকে

দম দিতে 5 সেকেন্ডের বেশি সময় নেওয়া

প্রশিক্ষক বা খেলোয়ার মাঠের বাইরে থেকে কোচিং দেওয়া

রেইডার কে দম প্রদানে বাধা দেওয়া

বোনাস লাইন অতিক্রম করলে রেইডার পক্ষ একটি বোনাস পয়েন্ট পাবে তবে কোর্ট এ কমপক্ষে 6 জন খেলোয়ার থাকতে হবে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!