আসসালামু আলাইকুম
স্টিম-বাংলাদেশের সকল বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আমি আজকে @steem-bangladesh কমিউনিটিতে আয়োজিত টেকনোলজি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আজকে আমি রেফ্রিজারেটর নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি।
যেকোনো ধরনের খাবারকে টাটকা রাখতে বহুল ব্যবহৃত একটি যন্ত্রের নাম হচ্ছে রেফ্রিজারেটর। রেফ্রিজারেটর সর্বপ্রথম ১৭৮৪ সালে উইলিয়াম কুলেন এর ডিজাইন করেন। কিন্তু এর কোনো ব্যবহারিক প্রয়োগ করা হয়নি এর পরবর্তীকালে ১৮০৫ সালে একজন আমেরিকান উদ্ভাবক অলিভার ইভান এই রেফ্রিজারেটরের ডিজাইন করেন। সবচেয়ে উন্নত রেফ্রিজারেটরের আবিষ্কার করেছিলেন আফ্রিকান-আমেরিকান বিজ্ঞানী জন স্ট্যান্ডার্ড ও থমাস এল্কিন। বর্তমানে এই রেফ্রিজারেটর পৃথিবীর সব দেশের মানুষ কম বেশি ব্যবহার করে থাকে।
রেফ্রিজারেটর হল একটি গৃহস্থালী বা বাণিজ্যিক যেটি একটি তাপ নিরোধক বগির মতো এবং এটি তাপ পাম্প সমন্বিত যে কারনে এর ভেতর থেকে বাইরের পরিবেশে তাপ স্থানান্তর হয়। এতে এটির ভেতরের তাপমাত্রার নিচের তাপমাত্রায় ঠান্ডা হয়ে থাকে। একটি রেফ্রিজারেটরের কক্ষ তাপমাত্রা ৪°সেলসিয়াস বা ( ৪০° ফারেনহাইট) বা তার নিচে রাখা ভালো। নিম্ন তাপমাত্রা রেফ্রিজারেটরের ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন হার কমায় এর ফলে রেফ্রিজারেটর নষ্ট হওয়ার পরিমান কমে যায়। রেফ্রিজারেটর পানির হিমাঙ্কের থেকে কয়েক ডিগ্রি উপরে তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারে। রেফ্রিজারেটরে পতনশীল খাদ্য সংরক্ষণের জন্য সর্বোত্তম তাপমাত্রা হলো ৩-৫°সেলসিয়াস(৩৭-৪১° ফারেনহাইট)।
রেফ্রিজারেটরের ধরনঃ-
রেফ্রিজারেটর সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।
১.ফ্রস্ট ও ২.নন-ফ্রস্ট। খাদ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত ফ্রিজার গুলো বিভিন্ন আকারের হতে পারে। সবচেয়ে ছোট হচ্ছে ৪ লিটারের একটি পেলটিয়ার রেফ্রিজারেটর যেটি ধারণ করতে পারে ৬টি বিয়ার ক্যান। আর বড় আকারেটি মানুষের মাথার চেয়ে উঁচু হতে পারে। যার প্রস্থ ১ মিটার এবং ধারণক্ষমতা 6 লিটার হতে পরে।
রেফ্রিজারেটরের উপকারিতাঃ-
রেফ্রিজারেটরের কারণে আধুনিকযুগে আগের চেয়ে বেশি সময় ধরে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়। মানুষ একসাথে অনেক খাবার কিনতে পারে এবং এগুলো সংরক্ষণ করে বিভিন্ন সময়ে ব্যবহার করতে পারে। এর খাবারের অপচয় কম হয় এবং অনেক টাকা পয়সা সাশ্রয় হয়।
রেফ্রিজারেটরের ব্যবহারঃ-
উন্নত বিশ্বে খাদ্য সংরক্ষণের জন্য অপরিহার্যভাবে রেফ্রিজারেশন ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম্ন তাপমাত্রা এবং ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন কম করায় যে কারণে সহজে খাদ্য পচে না। এ কারনে রেফ্রিজারেটরের ভিতরের তাপমাত্রা গলনাস্কের সামান্য একটু উপরে থাকে। পচনশীল খাদ্যে সংরক্ষণের জন্য সবথেকে উপযুক্ত তাপমাত্রা হলো ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পরিশেষে বলা যায় যে রিফ্রিজারেটর আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার্য জিনিস। রেফ্রিজারেটরের মাধ্যমে আমরা অনেক উপকার পেয়ে আসছি। এটির মাধ্যমে আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য খাবার বা জিনিসপত্র অনেকদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখতে পারছি। এর মাধ্যমে বিভিন্ন খাবারের অপচয় রোধ করতে পারছি।
সর্বশেষে বলা যায় আমাদের জীবনকে সহজ করতে বিজ্ঞান এর গুরুত্ব অপরিসীম। কারন এই বিজ্ঞান এর প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা সহজ ভাবে জীবন যাপন করে আসছি।
এই ছিলো আমার টেকনোলজি নিয়ে আজকের পোষ্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য @riska-amanda এবং @maulidar কে আমন্ত্রণ যানাচ্ছি।
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
It's a much needed cooler. very high quality technology.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রেফ্রিজারেটরের ডিম আমার খুব পছন্দ। আপনি চাইলে এবার অক্টোবরে আবার ডিম থেরাপি দেয়া হবে 😅। সুন্দর লিখেছেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অক্টোবর মাসের কথা এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। 😁
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit