পুরো দেশ যখন স্বপ্নের পদ্মা ব্রিজ নিয়ে ব্যস্ত তখন দেশে তৈরি হচ্ছে বিশাল প্রকল্প বঙ্গবন্ধু রেল সেতু যমুনা সেতু পাশে অবস্থিত। সেতুটি শুধুমাত্র রেল সেতু। ২০২১ সালে এই সেতুর কাজ শুরু হয়।
Jomuna brizeLocation
যমুনা সেতু এখন পর্যন্ত দুইবার মেরামত করা হয়েছে। ২ লেনের করে রাস্তার সাথে রয়েছে রেল যোগাযোগ এই সেতুতে। অনবরত গাড়ি এবং ট্রেন চলাচলের ফলে যমুনা সেতু যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে যমুনা সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন অনেক ধীর গতিতে যাতায়াত করছে, যার ফলে বাংলাদেশ সরকার শুধুমাত্র রেল সেতু তৈরি করছে যার নাম দিয়েছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু। দেশের বৃহত্তম প্রজেক্ট গুলোর মধ্যে এটি একটি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাংলাদেশের বৃহত্তম রেল সেতু যা যমুনা নদীর উপর অবস্থিত। এই প্রকল্পে, অনেক বিদেশী, স্থানীয় প্রকৌশলী এবং কর্মীরা জড়িত।
প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা.
দুটি প্যাকেজে মূল সেতু নির্মাণ করা হবে। জাপান বাংলাদেশকে ঋণ হিসাবে প্রকল্পের মূল খরচের (৭২ শতাংশ) অর্থায়ন করবে। এবং বাকি ২৮শতাংশ খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। দেশের বড় বড় প্রজেক্ট গুলোর মধ্যে এটি একটি। বাংলাদেশি সেতুর চার ভাগের এক ভাগ অর্থায়ন করছে এবং বাকি অর্থায়ন ঋণ হিসেবে আসছে জাপান থেকে।
নতুন সেতু রাজধানী এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনগুলির সময়সূচীতে বিলম্ব মূলত বঙ্গবন্ধু সেতুতে লোড এবং গতির সীমাবদ্ধতার কারণে ঘটে। 20 kmph এর সর্বোচ্চ অনুমোদিত গতির সাথে, একটি ট্রেনের সেতুর পূর্ব দিকের স্টেশন থেকে পশ্চিম দিকের স্টেশনে যেতে প্রায় আধা ঘন্টা সময় লাগে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু রেল সেতু তৈরি হয়ে গেলে ট্রেনের গতি বেড়ে যাবে এবং
এই রেল সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন সর্বাধিক 22টি ট্রেন নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে, এতে করে রেল যোগাযোগ এর উন্নতি হবে যার ফলে বাংলাদেশ রেলওয়ে খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করতে পারবে।
৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রায় 300 মিটার উজানে নির্মিত হবে, যেখানে একটি একক রেললাইন রয়েছে।একবার নির্মিত হলে, ডুয়েল-গেজ ডাবল-ট্র্যাক সেতুটি হবে দেশের বৃহত্তম ডেডিকেটেড রেল সেতু। সেতুটি রাজধানী ও দেশের পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে আরও ট্রেন পরিচালনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের সক্ষমতা বাড়াবে। এটি ট্রেনের বিলম্ব কমাতেও সাহায্য করবে। অল্প সময়ে ট্রেন এপার থেকে ওপার যাতায়াত করতে পারবে। ট্রেনের গতি বাড়ে যাবে।
Location
বিপুল পরিমাণ গাড়ি এবং ট্রেন যাতায়াতের কারণে দিনে দিনে যমুনা সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যা দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। যমুনা সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যমুনা সেতুতে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ 20 কিলোমিটার পার ঘন্টা। এবং ট্রেনের সিঙ্গেল লাইন হওয়াতে ট্রেন যাতায়াতের সমস্যা হয়। এই শুধু হওয়ার পর ট্রেন যোগাযোগ এর উন্নতি ঘটবে।
যমুনা নদীর পানির মধ্যে কাজ চলছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু। বঙ্গবন্ধু রেল সেতু তৈরির পর যমুনা নদীর সৌন্দর্য আরো বেড়ে যাবে। মাত্র 300 ফুট দূরত্ব হবে যমুনা সেতু থেকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতু মধ্যে। 5 কিলোমিটার চওড়া এই নদীর উপর দিয়ে দুইটি সেতু চলে যাবে এক দিক দিয়ে যাবে যানবাহন।আরেকদিক দিয়ে রেল। নদীর সৌন্দর্য আরো বেড়ে যাবে
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু হওয়ার পর ট্রেনে যাতায়াত করা মানুষেরা যমুনা নদীর সৌন্দর্য সাথে যমুনা সেতু এর বিশাল কাঠামো এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।
এবং যমুনা সেতুর উপর দিয়ে পারাপার হওয়া যাত্রীরা বঙ্গবন্ধু রেল সেতু তে চলমান ট্রেন ও সেতুর বিশাল কাঠামো এর সাথে নদীর বিশাল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। বেশ আরো একটি বিশাল স্থাপনা। এভাবেই প্রতিনিয়ত দেশ এগিয়ে যাবে, দেশের প্রতিটি প্রান্তে উন্নত হয়ে যাচ্ছে যা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আমি আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।@yeri52 ও @hidayat96 আমি আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। ধন্যবাদ।
সুন্দর হয়েছে ছবিগুলো। এটি একটি দর্শনীয় রেলসেতু হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছো ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit