আমি @ratul24730 বাংলাদেশ থেকে। ইন্টার লেভেল পার করার পর ভর্তি যুদ্ধে নেমে পড়েছিলাম। ভর্তি যুদ্ধ শেষ করে আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে এলাম ।এতদিন আপনাদের মাঝে না থাকার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আগামী দিনগুলো আপনাদের সাথে থাকবো ইনশাল্লাহ।
আজকে আমি স্টিম বাংলাদেশ এর আয়োজিত দ্যা ডায়েরি গেম এ অংশগ্রহণ করছি। আশা করছি আপনারা সবাই আমাকে পুনরায় গ্রহণ করে নেবেন।
বেঁচে থাকাটাই জীবনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ আমরা প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেই যাচ্ছি ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পর থেকে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আমরা বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন রকম কাজ করে থাকি । প্রতিটা মানুষ তাদের স্বপ্নের পিছে ছুটছে তাদের স্বপ্নকে সার্থক করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সবাই সুখের পিছনে দৌড়াচ্ছে কেউ সুখী হচ্ছে কেউ আবার দুঃখী হয়ে যাচ্ছে কিন্তু তাও কেউ আশা ছাড়ছে না । সবাই লড়াই করেই যাচ্ছে ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য। মহান সৃষ্টিকর্তা সবার মনের আশা পূরণ করুক।
ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওকালীন আমার মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে ঘুম নিয়ে। বিগত ছয় মাস ধরে আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করেছি ভোরবেলা উঠে নামাজ পড়ে খাওয়া-দাওয়া করে পড়তে বসার, প্রথম প্রথম অবস্থায় অনেক বেশি কষ্ট হতো ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে,কেননা খুব খারাপ একটা অভ্যাস করে ফেলেছিলাম রাত জাগা। কিন্তু বেশ কিছুদিন চেষ্টা করতে করতে আমি ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠতে শিখে গিয়েছিলাম।
Location
আজও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলাম।তাড়াহুড়া করে পরিষ্কার হয়ে নামাজের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম ।বাসার খুব কাছেই মসজিদ, তাই তাড়াতাড়ি গিয়ে নামাজ পড়ে, একটু হাঁটতে বেরোলাম। সকালবেলা হাঁটলে শরীরটা অনেকটা ভালো থাকে।
Location
সকালের হাওয়াটা আমার খুব পছন্দের। হাঁটতে হাঁটতে বেশ কিছু দূরে চলে গেলাম, তারপর একটা হোটেলে ঢুকে সকালের নাস্তাটা সেরে ফেললাম । রাতে খুব তাড়াতাড়ি খাওয়ায় আমার সকাল সকাল অনেক বেশি ক্ষুধা লাগে।
Location
খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছিলাম ।এমনই সময় ছোটবেলার স্মৃতি চোখে পড়ে গেল। ছোটবেলায় বাড়ির সামনে ভ্যানওয়ালা কাকু এসে ডাকত।আমি তাড়াহুড়া করে রেডি হতাম ।আম্মু তাড়াহুড়া করে টিভিনবক্স সাজিয়ে আনতো।আব্বু বকা দিত ,যে এত লেট করে কেন উঠছো ।তারপর কাকু এসে কোলে করে আমাকে এই গাড়িতে উঠাতো। তারপর বন্ধুদের সাথে গল্প করতে করতে স্কুলে চলে যেতাম ।যাওয়ার পথে প্রিয় বন্ধুটি আসতো। আবার মাঝেমধ্যে সে আসতো না ,তখন মনটা অনেক খারাপ হয়ে যেত। স্কুলে আর যেতেই মন চাইত না।ছোটবেলার দিনগুলো আসলেই অনেক সুন্দর ছিল। এই গাড়িটি দেখে অনেক কিছু মনে পড়ে গেল ।সেই কাকুটি সাথে আজও আমার দেখা হয় রাস্তায়। দেখা হলে কাকুটি আমাকে তার সমর্থ্য অনুযায়ী খাওয়ায় সে এখনো আমার ওই স্কুলেই রয়েছে।
তারপর আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে এগোতে থাকলাম।বাড়িতে ঢুকে, পড়তে বসলাম। পড়াশুনা করে ঘুমিয়ে পড়লাম। তারপর দুপুরের আযানের আগে ঘুম থেকে উঠলাম উঠে গোসল করে নামাজের জন্য তৈরি হলাম।তারপর নামাজ পড়ে বাড়িতে এসে সবার সাথে বসে দুপুরের খাবার খেলাম।
খাওয়া দাওয়া করে একটু ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম। আজ অনেকদিন পর একটা মুভি দেখেছি ।মুভিটি খুব ভালো লেগেছে আমার। ইন্ডিয়ান মুভি ছিল অনেক আগের মুভি ২০১৫ সালের। কখনও দেখিনি ইউটিউবে ঘাটাঘাটি করতে মুভি পেলাম,মুভি টির নাম ছিল (সানাম তেরি কসম)
Location
মুভিটি দেখতে দেখতে বিকেল হয়ে গেল তারপর রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম বন্ধুদের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে আজকে একটি বিশেষ দিন আমার জন্য।
Location
রেডি হয়ে বের হয়ে পড়লাম বন্ধুদের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে আজকের সবাই আমরা দেখা করছি বিগত কয়েক বছর পরে। বাইক নিয়ে বের হয়ে পড়লাম গন্তব্য স্থলের দিকে বাড়ি থেকে বেশ দূরে। ঢাকা শহরের নতুন নতুন অনেক সমস্যা হত রাস্তার চিনতে তবে এখন মোটামুটি সব রাস্তাঘাট চেনায় খুব কম সময়ে যেতে পারি গন্তব্যস্থলে।
Location
ছবিতে দেখতে পাওয়া সব বন্ধুরা আমার স্কুল জীবনের বন্ধু। ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে সবাই এসেছে ঢাকায় ।তাই ঢাকায় একটি গেট টুগেদার পার্টির অ্যারেঞ্জমেন্ট করে আমার বন্ধু প্লাবন। প্লাবনের জন্যই আজকে সবার সাথে আমাদের বিগত অনেক কয়েক বছর পর দেখা হল। সবার মধ্যে অনেক পরিবর্তন কিন্তু তাও সবাই আগেরই মতো। বন্ধুত্ব কোন পরিবর্তন হয়নি। অনেক গল্প অনেক আড্ডা দিয়েছি আমরা সবাই। গান-বাজনা হয়েছে অনেক খুবই ভালো যাচ্ছে বিকেলটা। আমরা কেউই ঢাকার স্থানীয় নয় সবাই উত্তরবঙ্গ থেকে এসেছি। সবার সাথে ঢাকা শহরে দেখা হবে এটা কখনো ভাবতে পারিনি তবে সময় অনেক কিছু ভাবতে বাধ্য করে।
Location
ছবি তুলে এই ব্যক্তিটি হচ্ছে আমার বন্ধু প্লাবন যে এই প্রোগ্রামটি এরেঞ্জমেন্ট করে। তার প্রতি আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। অনেক বন্ধুরা এসেছিল আমাদের এই প্রোগ্রামে অনেকে আসতে পারিনি তাদের জন্য খুব কষ্ট হয়েছে দেখা হলে হয়তো অনেক ভালো লাগতো। কিন্তু যতটুকু ভেবেছিলাম তার থেকে অনেকে এসেছে আমি ভাবিনি যে এত বন্ধু আসবে, কারণ ঢাকা শহরে একসাথে হওয়াটা অনেক কঠিন যেহেতু অনেক বড় শহর।
Location
আমার স্কুল বন্ধু মৃদুল সে অনেক ভালো গান করে এবং গিটার বাজায় সে বিভিন্ন সংগীত ব্যান্ড সাথে যুক্ত রয়েছে এবং তাদের সাথে গান বলে । সে আজকের প্রোগ্রাম কি আরো মনোমুগ্ধকর করে তুলেছে তার মনোমুগ্ধকর সুর দিয়ে।
Location
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে কখন যে বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে বুঝায় যায়নি সন্ধ্যা বেলা বসে ছিল গানের আসর সবাই মিলে একসাথে বিভিন্ন রকম গান করেছি আমরা অনেক মজা হয়েছে।
Location
এখানেই সন্ধ্যা হয়ে গেল তারপর আমরা সবাই রওনা হলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে। সবাই আলাদা হয়ে গিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে চলে গেল জানা নেই আবার কবে তাদের সাথে দেখা হবে হয়তো খুব তাড়াতাড়ি দেখা হবে নয়তো অনেক দেরিতে। সবাই সবার সোশ্যাল মিডিয়া তে এড রয়েছে তাই দেখা না হলেও যোগাযোগ থাকবে।
Location
আমার গন্তব্য স্থল এখান থেকে বেশ দূরে। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতের দিকে রাস্তায় অনেক জ্যাম। অনেক সময় ধরে যে আমি আটকা রয়েছি। প্রায় ৮ টা বেজে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিষ্কার হয়ে নামাজ শেষ করে খেতে বসলাম খাওয়া-দাওয়া করে একটু বিশ্রাম নিয়ে পড়তে বসার আগে ভাবলাম যে পরীক্ষা তো শেষ আজ থেকে একটু স্টিম বাংলাদেশের প্লাটফর্মে জয়েন করি। তারপর এখন পর্যন্ত সারাদিন কি কি করলাম তা নিয়ে আমার ডাইরি গেম আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। খুব সুন্দর দিন কাটিয়েছি আজকে। ইনশাল্লাহ আগামী দিনগুলো আপনাদের মাঝে উপস্থিত থাকবো। স্টিম বাংলাদেশের পোস্টটি করার পরে একটু পড়তে বসবো পড়াশুনা শেষ করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়বো কেননা কাল ভোরবেলা উঠতে হবে।
সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। স্টিম বাংলাদেশের সকল মেম্বারদের উদ্দেশ্যে বলছি যে আমরা সবাই একটি পরিবার। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ,থাকবেন সবাইকে আমার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
আমি আপনাকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।@yeri52 ও @biplopsoker আমি আশা করি আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন এবং কমিউনিটির সকল কার্যক্রমে উপস্থিত থাকবেন ধন্যবাদ।
Thank you for sharing such an interesting content with us. Stay active – write posts, comment, interact with others and enjoy .
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much vaiya
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit