আসসালামু আলাইকুম
@sajjadsohan
From:Bangladesh
𝓜𝓨 𝓒𝓱𝓲𝓵𝓭𝓱𝓸𝓸𝓭 𝓜𝓮𝓶𝓸𝓻𝓲𝓮𝓼
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আল্লাহর রহমতে আমি ও ভালো আছি।
আজকের টপিক ছোটবেলার স্মৃতি। আজকের এই টপিকটি যতটুকু না প্রফেশনাল তার থেকে বেশি আবেগপ্রবণ । এমন একটি টপিক পেয়ে হয়তো অনেকেই খুশি হয়েছে। নিজের সম্পর্কে লেখা, নিজেকে আর একটিবার আবিষ্কার করার মাঝেও, একটি মজার বিষয় রয়েছে।
যদি কোন জাদুর দৈত্য আমাকে বলতো, তোমার একটি ইচ্ছের কথা বল। আমিও হয়তো আমরা শৈশবকালটাকেই বেছে নিতাম।
একটি মানুষের সবচেয়ে সুন্দরতম সময় হলো তার শৈশবকাল। এ সময় থাকেনা কোন চিন্তা, হয়না আদরের কমতি। বলা যায় জীবনের ওই একটা সময় রাজার হালে থাকা যায়। সবাই এসে কোলে নিবেন, দোকানে নিয়ে গিয়ে চিপস খাওয়াবেন, খেলনা কিনে দেবে আর পড়াশোনার ঝামেলা তো সেই জীবনে ছিলই না।
বর্তমান সময়ে আমি, যত পরিমাণ সহজ-সরল শান্ত স্বভাবের, আমার ছোটবেলা টি তার পুরো বিপরীত । চঞ্চল , দুষ্টু, বদমেজাজি ,জেদি একটা ছেলে ।
- সবার কাছেই হয়তো তার ছোটবেলার ছবির অ্যালবামটি খুব যত্নসহকারে রয়েছে। কিন্তু কোন কারণে হয়তো কোন মানুষ, আমার ছোটবেলার ছবির অ্যালবামটি চুরি করে নিয়ে যায়। হাজার খুঁজেও আমার শখের ছোটবেলার 2 টি অ্যালবাম আর পাইনি।
ঈদের দিন
দিনটি ছিল ঈদের। আমরা মসজিদে নামাজ পড়ার পর যখন বাসায় আসি, ঠিক তখনকার তোলা ছবি ।
এখানে একদম ডান পাশের ছেলেটাকে কি আপনারা চিনতে পারছেন না ?? ওইটাই ছিলাম আমি। একদম বাম পাশে আমার কাকাতো ভাই, মাঝখানে আমার খালাতো বোন, ডান পাশে আমি ও পিছনে আমার খালাতো ভাই সজিব।
ছবিতে যে বাচ্চাটা কে দেখছেন স্কার্ট পরা, এটা কোন মেয়ে না এটা ছেলে এবং সেটা আমি।
ছোটবেলা আমার মা এবং খালারা আমার উপর এই অত্যাচার করত। আমিও বুঝতাম না। হঠাৎ করেই যখন তখন আমার আম্মু আমাকে ও আমার খালাতো বোন দু'জনকেই মেকআপ করে দিত, নতুন নতুন স্কার্ট কিনে একটা আমার জন্য এবং আমার খালাতো বোনের জন্য রাখতো । ছোটবেলা আমি তা তো বুঝলাম না তাই আমাকে এভাবে সাজানো হতো।
ছবিটির মধ্যে চকলেট হাতে, অদ্ভুতভাবে হাসি দেওয়া ওই ছেলেটিকে দেখলে এখন আমার খুব হাসি পায়। জীবনের সব সুখ হয়তো এই ছবিগুলো দেখলেই অনুভব করা যায়।
ছবিটির পিছনে একটি ছোট গল্প ছিল, বাসায় তখন খালুর একটি ক্যামেরা, সবাই যখন ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত, ঠিক তখনি আমি ছবি তুলব না বলে বায়না করা শুরু করলাম। শেষে আমাকে রাজি করা হলো আমি যদি ছবি তুলি এবং ছবির মধ্যে হাসি দেই তাহলে আমাকে চকলেট দেয়া হবে।
আমি আগেই বলেছিলাম, আমি একটু দুষ্টু প্রকৃতির, আমাকে যদি আগে চকলেট দেয়া না হয় তাহলে আমি ছবি তুলবো না। তাই অগ্রিম চকলেট পাওয়ার খুশিতে, ছবিতে অদ্ভুতভাবে প্রাণ খুলে হেসে ছিলাম।
ছবির এই ফ্রেমের বাহিরে ছিলাম আমি । তবুও এই ছবির পেছনের গল্পটি আমাকে হাসায়। ছবিতে যেই বাচ্চা মেয়েটি রয়েছে, এটি আমার খালাতো বোন, এবং তার হাতে যে মুরগি টি রয়েছে তা ছিল আমার।
ছোটবেলা আমার অনেক ফার্মের মুরগি বাচ্চা ছিল। মুরগি গুলো অসুস্থ হয়ে মারা যায়। তাই আমাকে এই বড় একটি মুরগি কিনে দেয়া হয়। মুরগি হাতে আমি একটি ছবি তুললাম। আমার ছবি তোলা দেখে আমার খালাতো বোন মুরগি হাতে নিয়ে ছবি তুলতে চায়।
কিন্তু আমি আমার মুরগি দিতে রাজি ছিলাম না। আমরা দুজনেই কান্না শুরু করলাম। আমার খালাত বোন মুরগি ছাড়া ছবি তুলবে না আর আমি আমার মুরগি কোন ভাবেই দিতে রাজি না।
শেষে জোর করে আমার হাত থেকে মুরগিটিকে নিয়ে আমার আন্টি তার মেয়ের হাতে দেয় কান্না থামানোর জন্য। এদিকে আমার খালাতো বোন মুরগি নিয়ে ছবি তুলছে, আর আমি তাকে লাঠি দিয়ে মারার জন্য প্রস্তুত, আমার খালাতো ভাই বয়সে একটু বড় হবে আমাকেও জড়িয়ে ধরে রেখেছিল যেন আমি মারামারি না শুধু করি।
ছোটবেলায় আমি প্রচুর মারামারি করতাম , ঝগড়া করতাম , কারো সাথে মারামারিতে না পারলে, তার হাতে কামড় বসিয়ে দিতাম।
কামড় দেওয়া ছিল আমার শেষ অস্ত্র।
জানিনা আমার গল্পগুলো আপনাদের মন ছুয়ে যাবে কিনা, কিন্তু আমি যখন আমার এই গল্পটি লিখেছি, রীতিমতো আমি হাসতেছি। অতীতের অনেক কিছু মনে পড়ে যাচ্ছে। হয়তো সেই মুহূর্ত গুলোর ছবি নেই। মুহূর্তের ছবি থাকে না, কিছু স্মৃতি মনে রয়ে যায়।
অনেকের ক্ষেত্রে ছোট বেলার স্বভাবটি পরিবর্তন হয়ে যায়। যেমন আপনার ক্ষেত্রে হয়েছে। আবার অনেকের ছোট বেলার স্বভাব পরিবর্তন হয় না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Ji vai. ,🥰
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit