আসসালামু আলাইকুম
I am @selimreza1🇧🇩
🧗♀️আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার শৈশব কালের কিছু স্মৃতি শেয়ার করব।🏊♀️
🎇আমার শৈশব বেলা কেটেছে গ্রামের সবুজ সমারোহে। আমি ছিলাম অনেক দুরন্ত। আমার অবাধ্য দুরন্তপনায় সবাই অস্থির হয়ে যেত। আসলে আমার স্বভাবটাই ছিল একটু বেপরোয়া ধরনের। বন্ধুদের নিয়ে এ গ্রাম ও গ্রাম ঘুরে বেড়াতাম। যখন তখন ঝাপিয়ে পড়তাম নদীর পানিতে। ঝোপঝাড়ে গিয়ে খুঁজে আনতাম বুনো ফল। তাছাড়া সাঁতার কাটা,গাছে চড়ে পাখির বাসা খোঁজা এসব ছিল আমার নিত্যদিনের কাজ। কয়েকজন বন্ধু আমরা থাকতাম দলবদ্ধ হয়ে। তবে যত দুরন্তপনাই আমি করিনা কেন,পড়াশোনায় মোটামুটি ভালো ছিলাম।
বাড়ি থেকে অনেক দূরে হেঁটে স্কুলে যেতাম।ছোট একটি নদীর ধার দিয়ে পায়ে চলা পথ ধরে স্কুলে যেতাম শীতকালে। সকালবেলায় স্কুলে যাওয়া খুব কষ্ট হতো। কোন দিন সকালে প্রচণ্ড কুয়াশা থাকতো আর সেই কুয়াশার মধ্যে স্কুলে যেতাম। এখন সে কথাগুলো ভাবলে মনে হয় কতইনা ভাল ছিলো তখন। আমার শৈশববেলায় স্কুল জীবনটা যেন এক সোনালী অধ্যায়। আমার স্কুল জীবনের বন্ধুরা কে কোথায় হারিয়ে গেছে, অনেকের সাথে আর যোগাযোগ নাই। ছেলেবেলার স্কুল শিক্ষকদের তৃতীয় এখন ধূসর হয়ে গেছে। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষকের স্মৃতি এখনো মনের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে আছে।অসম্ভব গম্ভীর ছিলেন তিনি। স্যার কে দূর থেকে দেখে শ্রদ্ধা আর ভেজা তো মনে। মনে আছে স্কুলে প্রধান শিক্ষক পা রাখলে সমস্ত কিছু শান্ত হয়ে যেত। আমাদের সব হই হুল্লোড় নিরব হয়ে যেতে এক নিমিষেই।
আমি ও আমার এক বন্ধু রুবেল আমরা প্রায়ই স্কুল পালাতাম। রুবেলের সাইকেল ছিল। ওর সাইকেলে আমরা দুজনে স্কুলে প্রথম ক্লাস করে বের হয়ে যেতাম। সারা দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে স্কুল যখন ছুটি হয় তখন বাসায় ফিরে আসতাম। এভাবে আমরা অনেক স্কুল পালিয়ে গেছি এবং স্যারের হাতে অনেক মার খেয়েছি। বিষয়গুলো ভাবলে এখনো অবাক লাগে। একবার আমি এবং রুবেল একটি হোটেলে খেতে গিয়েছিলাম। আমরা সিংগারা পুরি খেয়েছিলাম। আমরা টাকা না দিয়ে চলে এসেছিলাম।তারপর প্রায় আমরা দুই মাস ওই বাজারে আর যাইনি। আমাদের গ্রামে শীতের সময় রাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হত যেমন ওয়াজ,মেলা।
ওয়াজ শুনতে আমরা অনেক দূরে দূরে হেঁটে যেতাম সাথে আমার বন্ধুরা থাকতো। আমরা যখন রাতে বন্ধুরা ওয়াজ শুনার জন্য রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতাম,তখন মাঝে মাঝে পেয়ারা এবং লেবু চুরি করতাম । সেটা করতে অনেক মজা লাগতো আমাদের। ছোটবেলার ভালো স্মৃতির সাথে খারাপ স্মৃতিও আছে। ক্লাস সিক্সে পড়া অবস্থায় আমি একবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিল প্রায় 10 দিনের মতো হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তবে ছোটবেলা থেকে আমি খেলাধুলার প্রতি একটু আশক্ত ছিল।
ক্রিকেটের প্রতি আমার একটা দুর্বলতা ছিল। মোটামুটি ভালই খেলতাম। এলাকার আশেপাশে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে খেলতে যেতাম। এই ক্রিকেট খেলার জন্য বাসায় অনেক মার খেয়েছি। তারপরও খেলা ছাড়তে পারেনি। এখনো সুযোগ পেলেই খেলতে যাই। অন্যান্য খেলাও খেলতাম বর্ষাকালে ফুটবলটা অনেক বেশি খেলা হতো। ফুটবল খেলা শেষে আমরা সবাই নদীতে বা পুকুরে গোসল করতাম। আমি সাতার পারি অল্প অল্প তাই বেশি দূরে যেতাম না মাঝে মাঝে ফুটবলের উপর ভর দিয়ে সাঁতার কাটতাম। এটা নিয়ে অনেকেই আমার সাথে হাসাহাসি করত।
বৃষ্টিতে কাদায় ফুটবল খেলার মজাই আলাদা। গ্রামে বিভিন্ন হাট-বাজার বসে। আমরা বিকালে বিভিন্ন হাটে যেতাম। তখন হাটে প্রচুর মানুষ হতো, এখন সেটা আর দেখা যায় না।তখন হাটে বিভিন্ন রকম খাবারের দোকান আসতো যেমন বাদাম,মোয়া, গজা, মুড়কি ইত্যাদি খাবার পাওয়া যেত।
আমিও ক্রিকেট খেলা খুব পছন্দ করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit