Movie Review : The Hunger - Bhat Dey (1984)

in hive-138339 •  3 years ago  (edited)

সিনেমা রিভিউ: ভাত দে

images.jpeg

ইমেজ সোর্স

ভাত দে হল ১৯৮৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র। ছবিটির সংলাপ, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন আমজাদ হোসেন। ছবিটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাবানা, আলমগীর, রাজীব, আনোয়ার হোসেন, শিশুশিল্পী হিসেবে আঁখি আলমগীর।

পরিচালকআমজাদ হোসেন
প্রযোজকআবু জাফর খান
রচয়িতাআমজাদ হোসেন
শ্রেষ্ঠাংশেশাবানা, আলমগীর, রাজীব, আনোয়ার হোসেন
সুরকারআলাউদ্দিন আলী
চিত্রগ্রাহকরফিকুল বারী চৌধুরী
সম্পাদকমুজিবুর রহমান দুলু
মুক্তি২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৪
দৈর্ঘ্য১৪২ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

ছবিটি ৯ম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ নয়টি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে। আমজাদ হোসেন শ্রেষ্ঠ পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও সংলাপ রচয়িতা বিভাগে তিনটি পুরস্কার লাভ করেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

জরি একজন গরিব বাউল শিল্পীর মেয়ে। যে কিনা ছোটবেলায় অভাবের কারণে মাকে হারায়, অন্ধ বাউল বাবাকে নিয়ে ছোট বেলা থেকেই যার সংগ্রামী ও অতি অভাব অনটনের সংসার। জরি যখন বড় হয় একদিন তার বাবাও দুমুঠো ভাত যোগাড় করতে গিয়ে মারা যায়। এরপর থেকে সহায় সম্বলহীন এক অসহায় দরিদ্র 'জরি'র অতি করুন কাহিনীর একটি সফল চিত্ররুপ 'ভাত দে' ছবিটি।

images (1).jpeg

ইমেজ সোর্স

নির্মাণ ইতিহাস

ছবিটির পরিচালক আমজাদ হোসেন ঢাকা ক্লাবের একটি নির্জন রুমে এক মাস টানা কাজ করে স্ক্রিপ্ট রেডি করেছিলেন। ঢাকার অনেক সাংবাদিকদের সামনে মানিকগঞ্জের নদীর পাড়ে প্রথম দিন শুটিং হয়েছিল। আমজাদ হোসেন স্পটটি এমনভাবে তৈরি করেছিলেন যে একটি ভাঙাচোরা বাড়ি, পাশে বাঁশঝাড়। বাড়িটির চালে বাঁশের আগা বাতাস হলেই বাড়ি খায়। সেখানে অভাগিনী বেশে শাবানা বাস করবেন। কিন্তু শাবানা যখন শট দিচ্ছিলেন তখন তার পড়নে ইস্ত্রি করা শাড়ি ছিল যা একেবারে ভিখারি গোছের চরিত্রের সঙ্গে মানাচ্ছিলনা। তারপর মানিকগঞ্জের এক গরিব মহিলার একটি শাড়ি জোগাড় করে শুটিংটি করতে হয়েছিল।

220px-ভাত_দে.jpg

ইমেজ সোর্স

সংগীত

ভাত দে ছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন আলাউদ্দিন আলী। গীত রচনা করেছেন আমজাদ হোসেন।

সবগুলি গানের গীতিকার আমজাদ । হোসেন সবগুলি গানের সুরকার আলাউদ্দিন আলী।

গানের তালিকা

  • কত কানলাম কত ডাকলাম আইলা না

  • গাছের একটা পাতা ঝরলে

  • চিনেছি তোমারে, আকারে প্রকারে

  • তিলে তিলে মইরা যাইমু

এ মুভিতে দেখা যায় মানুষ না খেয়ে মরে যাচ্ছে তখন কেউ সাহায্য করে না কিন্তু মারা যাবার পর লাশের উপরে দুই টাকা দশ টাকা করে ছিটিয়ে দিচ্ছি!

থু থু এমন বাঙালী অমানুষদের ৷

আশা করি ভালো লাগবে বাংলাদেশী এ মুভিটি ৷

মুভিটি ইউটিউবে লেজার ভিশন চ্যানেলের আওতাধীন রয়েছে চাইলে সরাসরি দেখতে পারবেন। ইউটিউব লিংকঃ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সম্পূর্ণ পোস্ট নিজে লেখার চেষ্টা করুন। ২০% কপি পেস্ট ভালো কিছু নয়।
Screenshot_20210417-193227_Chrome.jpg