হেলো!!আসসালামু আলাইকুম।ভালো আছেন আপনারা সবাই?আশা করছি আল্লাহর রহমতে সবাই খুব খুব ভালো আছেন।*
আজকের স্টিম-বাংলাদেশ কমিউনিটির ডেইলি কনটেস্ট এর জন্য নির্বাচিত টপ পোস্ট হলো "মুভি রিভিও"।
আজকের এই কনটেস্ট এ আমি অংশগ্রহণ করছি এবং আমি যেই মুভি বা ফিল্ম টি রিভিউ করবো তা হলো,🔘 " আম্মাজান মুভি"🔘।
মুভি নিয়ে কিছু আলাপচারিতা
আম্মাজান মুভির একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র, এই মুভিটির পরিচালক হলেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য চলচ্চিত্রকার কাজী হায়াৎ,সিনেমাটি লিখেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। সিনেমাটি তৈরি ১৯৯৯ সালে।
মুভির কিছু তথ্যাদি।
- পরিচালক- কাজী হায়াত
- লিখেছেন - মনোয়ার হোসেন ডিপজল
- প্রযোজনা করেছেন -মনোয়ার হোসেন ডিপজল
- অভিনয়ে - শবনম, মান্না, মৌসুমী, আমিন খান, মিজু আহমেদ
- চিত্রগ্রহণ করেছেন- আল রশিদ
- সম্পাদনা করেছেন- আমজাদ হোসেন
- সঙ্গীত করেছেন - আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
- মুক্তির তারিখ - ১৯৯৯
- ভাষা - বাংলা
- দেশ - বাংলাদেশ
- বাজেট -দুই কোটি
- বক্সঅফিস- বারো কোটি
মুভির মেইন কাহিনী ঃ
বাদশা (মান্না) একজন কিশোর যার বাবা লাল মিয়া সে একজন ইলেকট্রিশিয়ান। মান্নার বাবা বিদ্যুৎ দুর্ঘটনায় মারা যান। যার ফলে তাদের পরিবারের অনেক অভাব অনটন দেখা যায়। মান্নার মা, যাকে তিনি আম্মাজান বলে ডাকেন তার অফিসে তার স্বামীর মৃত্যুর জন্য যে টাকা পান সেই টাকা চাওয়ার জন্য অফিসারের কাছে যান। মান্নার বাবার অফিসের যে অফিসার তার মাকে ডেকে নিয়ে যেয়ে তার বাসায় গিয়ে ধর্ষণ করে। সেটি মান্না তার নিজের চোখে দেখে এবং সাথে সাথে ছবি দিয়ে সেই অফিসের বস কে হত্যা করে। পরে মান্নার ১৪ বছরের জেল হয়।
দেশে হঠাৎ করে বন্যা হয়, বন্যার জন্য ত্রাণ চলাকালীন আম্মাজান রিনা নামের একটা মেয়েকে দেখতে পান। যাকে দেখে আম্মাজানের অনেক পছন্দ হয় এবং তিনি মান্নার সাথে বিবাহ দেয়া চিন্তা করেন। এই কথা শুনে বাদশা রিনাকে তার বাসায় নিয়ে যায় এবং তাদের বিয়ের দাবি জানাই। রিনা ছিলেন আজিজ আহমেদের মেয়ে, আজিজ আহমেদ (মিজু আহমেদ) তিনি ছিলেন একজন মন্ত্রী।
আজিজ আহম্মেদ বাচ্চাকে খুন করার জন্য কালাম কে নিযুক্ত করেন, কালাম( ডিপজল) ছিল বাদশার (মান্না)বন্ধু,বাদশা জানতে পারে যে কালাম তাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে, বাদশা কালাম কি স্বীকার করে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু আম্মাজান তাকে কালামকে ছাড় দিতে বাধ্য করেছিলেন। এদিকে রিনা আর মিজান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু বাদশা তাকে অপহরণ করে বিয়ের জন্য তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। রিনাকে খোঁজ করার জন্য আজিজ আহমেদ এবং কালাম তাদের বাসায় এসে তার আম্মাজান কে খুন করেন। বাদশা বাসায় এসে দেখে তার আম্মাজান গুলিবিদ্ধ সাথে সাথে তিনি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কালাম ফাদার হাসপাতাল তারা করে এবং বাদশাকে পিছন থেকে গুলি করে, কালামকে নবাব গুলি করে হত্যা করে এবং বাদশা আম্মাজানের সামনে উপস্থিত হয় এবং আম্মাজানকে কথা বলতে এবং হাসতে অনুরোধ করে। দীর্ঘ ২২ বছর পর আম্মাজান প্রথমবার বাদশার সাথে কথা বলেন। আম্মাজান বাদশাকে রিনাকে তার প্রেমিকের মিজানের কাছে পাঠাতে বলেন।পুলিশ এসে বাদশাকে গ্রেপ্তার করতে আসেন এবং বাদশা বলেন সর্বশক্তিমান আল্লাহ ছাড়া পৃথিবীর কোনো শক্তি তাকে ধরতে পারবেনা, এই কথা বলে বাদশা তার আম্মাজানের হাতে মারা যান। এর পরেই আম্মাজান মুভিটি শেষ হয়ে যায়।
আম্মাজান মুভির মূল অভিনেতা অভিনেত্রী ও তাদের চরিত্র
- শবনম - আম্মাজান জাহানারা বেগমের চরিত্র
- মান্না - বাদশা আম্মাজানের ছেলে
- মৌসুমী - রিনার চরিত্রে
- আমিন খানের চরিত্রে- মিজান
- মনোয়ার হোসেন ডিপজলের চরিত্রে - কালাম
- মিজু আহমেদের চরিত্রে - আজিজ আহমেদ খান
- লাল মিয়ার চরিত্রে - সিরাজ হায়দার
মুভিটির কিছু গান
- আম্মাজান
- তোমার আমার প্রেম
- রেগ ডে
- ও ছেমড়ি তোর কপাল ভালো
রেটিং ঃ
IMDB rate : ৭.৫/১০
Personal Rate : ৯.৫/১০
ছবিগুলা সব আমার ল্যাপটপ থেকে স্কিনশন নেয়া।
নিজস্ব মতামত ঃ
আম্মাজান মুভির পরিচালক কাজী হায়াত, তিনি আসলে বাংলাদেশের বড় একজন চলচ্চিত্রকার। নায়ক মান্নার অভিনয় এই মুভিতে আসাধারণ। আমি এই মুভিটি অনেক বার দেখছি জতো বার দেখি কান্না চলে আসে। আসলে একটা ছেলে তার আম্মাকে কতো ভালোবাসে। মায়ের জন্য সে সব কিছু করতে পারে। কোথাও কোনো ধর্ষন ,হলে সে চলে যায়, ধর্ষককে খুন করার জন্য। এই মুভি থেকে অনেক কিছু শিক্ষা নেয়ার আছে। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। আসলে সব মানুষের ই মায়ের প্রতি এমন থাকা দরকার ,কারণ মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত।
সমাপ্ত
সবাই অবশ্যই জানাবেন রিভিঊটি কেমন লাগলো। সবার কমবেশি আম্মাজান মুভিটি দেখছেন,আমি নিজেই মনে হয় ১৫ বার দেখছি। যদি কেঊ মিস করে থাকেন আবশ্যই দেখবেন। সবায় সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন, আমার জন্য দোয়া করবেন, ধন্যবাদ আমাকে এতো সাপর্ট দেয়ার জন্য।
ভালোবাসা স্টিমিট❤️❤️❤️ভালোবাসা স্টিম বাংলাদেশ ❤️
Best Regards,
@shuvo2030