আসসালামু আলাইকুম,,
আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আমি বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাসের বিখ্যাত একটি চলচ্চিত্র "হাজার বছর ধরে"(Hajar bochor dhore) চলচ্চিত্রের কিছু সংক্ষিপ্ত বিবরণী তুলে ধরবো ।
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম একটি বিখ্যাত চলচ্চিত্রের নাম "হাজার বছর ধরে"।
উপন্যাসিক নাট্যকার এবং চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান 1960 সালে "হাজার বছর ধরে উপন্যাস" লেখেন। তার এই হাজার বছর ধরে উপন্যাস কে কেন্দ্র করে 2005 সালে "হাজার বছর ধরে" চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার বিশেষ পুরস্কারে মনোনীত হন এবং বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার 2005 এর মোট 6 টি ক্যাটেগরিতে এই চলচ্চিত্রটি পুরস্কার পায়
অভিনয় শিল্পী
বাংলাদেশের কিছু জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীদের এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। এটিএম শামসুজ্জামান 'মকবুল' চরিত্রে এই ছবিটিতে অভিনয় করেছেন । বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতা রিয়াজ "মন্তু' চরিত্রে এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। নাটক এবং চলচ্চিত্রের আরেকজন অভিনেত্রী শারমিন যোহা শশী "টুনি" চরিত্রে অভিনয় করেন। চিত্রনায়িকা শশী যখন এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র 14 বছর বয়সে তিনি তার চরিত্রকে অসাধারণ ফুটিয়ে তুলেছিলেন। বিখ্যাত অভিনেত্রী সুচন্দা "টুনির মা" চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার এবং বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের পুরষ্কার পান। এবং চিত্রনায়িকা শাহনূর "আম্বিয়া" চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
চলচিত্রের সংক্ষিপ্তসার
চলচ্চিত্রটি মূলত একটি বাংলাদেশের আদি গ্রামীণ সমাজ কে কেন্দ্র করে। চলচ্চিত্রটিতে পুরীর দিঘীরপাড়ের একটি গ্রামকে কেন্দ্র করে কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়। এই চলচ্চিত্রের মূল উপপাদ্য ছিল গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রাকে নিয়ে যেখানে কুসংস্কারের পরিপূর্ণ ছিল এবং বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ প্রচলিত একটি প্রথা ছিল।
এই প্রধান একটি চরিত্রে ছিলেন এটিএম শামসুজ্জামান যিনি অনেকগুলো বিয়ে করতেন এবং বৌউদের দিয়ে কাজ করাতেন। বৃদ্ধ মকবুলের সর্বশেষ বউ ছিল টুনি টুনি খুব অল্প বয়সের হওয়াতে মকবুলের সাথে তার মানসিকভাবে মিলন হতো না। যেহেতু মকবুল অনেকগুলো বিয়ে করে তাই এটি বহু বিবাহ এবং উনি খুব অল্প বয়সের হওয়ায় এটি বাল্যবিবাহ হিসেবে বিবেচিত। তবে টুনি মকবুলের বউ হওয়া সত্ত্বেও সে মন্তুকে মনে মনে ভালোবাসত। মন্তু একজন এতিম ছেলে যার বাবা মা কেউ নেউ। টুনি এবং মন্তু সবার অজান্তে একজন আরেকজনের সাথে ঘুরে বেড়ায়। দুজনের মিল থাকা সত্বেও তারা কখনো একজন আরেকজনকে ভালোলাগার কথা বলতে পারেনি। কারণ টুনি ছিল বৃদ্ধ মকবুলের স্ত্রী।
দুজন বিভিন্ন রকম দুষ্টুমিনিও করতো। রাতে তারা মানুষের পুকুরের মাছ ধরতে যেত। গ্রামের বীলে এবং পুকুরের বর্ষার সময় পানিতে পরিপূর্ণ থাকে। সে সময় তারা নৌকা নিয়ে শাপলা ফুল তুলতে যায়।
প্রায়ই রাতের বেলাতে বিভিন্ন ধরনের গানের আসর এবং পুথির আসর বসত।সুরত আলী রাতে পুতির আসর বসাত। এই আসরকে কেন্দ্র করে চারপাশে লোকজন থাকত। সময়ের সাপেক্ষে সুরত আলী মারা যাবার পর তার ছেলে রাতে পুঁতির আসর বসাত। প্রাচীন গ্রাম সমাজে এরকম চিত্র বেশি দেখা যেত। বিভিন্ন ধরনের পালাগান এবং আসর বংশ পরমপরায় প্রচলিত হত।
বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে তাদেরও একতাবদ্ধ ছিল একসাথেই আনুষ্ঠানিক কাজগুলো করত।
আদি গ্রামীণ সমাজে কুসংস্কার পরিপূর্ণ ছিল। চলচ্চিত্রটিতে আমরা কুসংস্কারের ছায়া দেখতে পাই। যায়। কেউ অসুস্থ হলে তারা ডাক্তারের কাছে নিতে আগ্রহী হতো না। কলেরা ডায়রিয়া, বসন্ত ছড়িয়ে পড়তো তখন তারা এটিকে বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার নামে ব্যক্ত করত। কবিরাজি চিকিৎসাকে তারা মূলত চিকিৎসার কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিত। যখন কোন মহামারী গ্রামে ছড়িয়ে পড়তো তখন অনেক মানুষ মারা যায়। ফকিরের মা, সালেহা গণুমোল্লা, রশিদ ইত্যাদি চরিত্র এসব মহামারীর জন্য নিশ্বেষ হয়ে যায়। মকবুল চরিত্রটিরও হঠাৎ মৃত্যু হয়। তাদের চরিত্রের ফুটে ওঠে ভালোবাসা, আশা আকাঙ্ক্ষা এবং সুখ দুঃখ। মকবুলের মৃত্যুর পর টুনির সাথে অনেকদিন দেখা হয় না তবে শেষ পর্যন্ত তাদের আর মিলন হয়নি। সময় এবং নদীর স্রোত খুবই দ্রুত চলে যায় তেমনি এই চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলো সেটিই বুঝিয়েছে। হাজার বছর আগের পুরনো সমাজ গ্রামীণ আবহাওয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, জোসনা ভরা রাত মানুষের ভালোবাসা এবং মানুষের দুঃখ-দুর্দশা সবকিছুই এই চলচ্চিত্রে উপলব্দনীয়।
Link
এই চলচ্চিত্রটি আমি যতবার দেখেছি ততবার আমার কাছে হাজার বছর আগের গ্রামীণ মানুষের জীবন যাপন চোখের সামনে ভেসে উঠেছে।
#My rating - 9/10
#IMDb rating 8.1/10
Thank you
You have been upvoted by @rex-sumon A Country Representative from BANGLADESH we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.
Follow @steemitblog for the latest update. You can also check out this link which provides the name of the existing community according to specialized subject
There are also various contest is going on in steemit, You just have to enter in this link and then you will find all the contest link, I hope you will also get some interest,
For general information about what is happening on Steem follow @steemitblog.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার খুবই পছন্দের একটা সিনেমা। আমি যখন বই পড়েছিলাম তখন ওতোটা ভালভাবে বুঝি নাই কিন্তু সিনেমাটা দেখে সব পরিস্কার ভাবে বুঝেছি। বাংলাদেশের গ্রামীণ চিত্র খুবই সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন উপন্যাসিক জহির রায়হান।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বই এ আরও বিস্তারিত দেওয়া আছে। বইয়ে সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়লে এটার কাহিনি আরও জীবন্ত মনে হয় ☺
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hola amigo saludos 🤗❤️ soy tu amiga @Brensetty1986 me gustó mucho tu historia. 😃👍
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks @brensetty1986 ☺
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit