আসসালামুআলাইকুম,,
আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আমি ছোটবেলার কিছু ঘটে যাওয়া কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
ছোটবেলায় বেড়েওঠা
আমার বাবা বাংলাদেশ রেলওয়ে তে জব করতো তাই বাবার চাকরির সুবাদে ছোট থেকে আমাদের দিনাজপুরে থাকতে হয়েছে। এটি ছিল পার্বতীপুর উপজেলায় দিনাজপুর জেলার। নিজের গ্রামের বাড়িতে থেকে অন্য জেলা হওয়াতেও ছোটবেলাটা কেটেছে আনন্দের সাথে। রেলওয়ে আবাসিক এলাকায় থাকার কারণেই সবাই বিভিন্ন জেলার প্রায় মানুষ ছিল আমাদের সাথে। তাই আমার বন্ধুরাও ছিল ছোটবেলায় ভিন্ন ভিন্ন জেলার। বিভিন্ন জেলার মানুষ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের মধ্যে একাত্মতাবোধ ছিল ।
ছোটবেলার দিনগুলো ছেলে খুব আনন্দ মুহূর্ত তবে আমি খুবই গর্বিত যে আমি ছোট থেকেই খুব ভালো বন্ধু পেয়েছিলাম যাদের সাথে এখনও আমার সম্পর্ক অটুট রয়েছে।
কিন্ডারগার্ডেন এ পড়াশোনা
আবাসিক এলাকার ভিতরে আমাদের একটি কিন্ডারগার্ডেন স্কুল ছিল। সেখানে এলাকার সব ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করত। কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে আমাদের সবাইকে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে প্যারেড করানো হতো। সে সময় ভয়ে থাকতাম কারণ সেই সময় আমাদের কয়েকজনকে সামনে ডেকে জাতীয় সংগীত গাউনো হতো।
স্কুলের অনুষ্ঠান
কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে যখন আমরা পড়াশোনা করতাম প্রতি বছর আমাদের পিকনিক এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও থাকতো। বার্ষিক ক্রীয়া প্রতিযোগিতা আমি কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করতাম তবে কখনো দৌড়ে অংশগ্রহণ করতাম না কারণ দৌড় প্রতিযোগিতায় আমার একটি ভয় কাজ করত। আমাদের একটি প্রতিযোগিতা ছিল। এটার নাম ছিল মোরগযুদ্ধ। আমি সবসময় মোরগযুদ্ধ খেলায় ফার্স্ট হতাম।খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হওয়ার সেইদিন রাতে সংস্কৃত অনুষ্ঠান হতাে । তখন অনুষ্ঠান মানেই অন্যরকম এক অনুভূতি সবার মধ্যে । তবে আমি কখনাে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতাম না কারণ আমি একটু লাজুক প্রকৃতির ছিলাম ছােট বেলায় ।
স্কুল থেকে আমাদের প্রতিবছর বার্ষিক বনভােজনের আয়ােজন করা হতাে । একবার আমাদের রংপুর চিড়িয়াখানা তে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রথমবার বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু দেখি ।
ছােটবেলায় খেলাধুলা
বিকেল বেলায় আমাদের এলাকার সব ছেলেদের একটা রুটিন ছিল সবাই আমরা মাঠে খেলাধুলা করতাম । ক্রিকেট এবং ফুটবল খেলা ছাড়াও মাঝেমধ্যে আমরা ছাড়াও সাতচারা খেলতাম স্কুলের সামনে । মাঝে মধ্যে আবার বােম্বাস্টিং খেলতাম তবে বােম্বাস্টিং খেলায় নির্দিষ্ট কয়েকজন বেশি মার খেতাে ।
ছােটবেলার ছুটির দিনগুলাে
আমাদের স্কুল গ্রীষ্মকালে এবং শীতের সময় বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ছুটি দেওয়া হতাে । গ্রীষ্মকালে সময় ছুটিতে আমরা নানু বাড়িতে ঘুরতে যেতাম । নানু বাড়ি গ্রামে হওয়াতে সেসময় গ্রামের অনুভূতিটা ফিল করতাম । তখন সেখানে ত বিদ্যুৎ ছিল তাই রাতের বেলায় দোয়াতের আলােয় ছিল গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা । নানু বাড়িতে গেলে প্রচুর মারবেল খেলতাম আর ঘুড়ি উড়াতাম।
একবার ছােটবেলায় আমি নানুবাড়িতে একটি জাম গাছ থেকে পড়ে গিয়েছিলাম । গাছটি ছােট ছিল তবু আমি বেশ ব্যথা পেয়েছিলাম ।
টেষ্ট ক্রিকেট খেলা
শীতের সময় বার্ষিক পরীক্ষা শেষে যখন আমরা অনেক দিনের জন্য ছুটি পেতাম সেই সময়টা সারাদিন খেলাধুলার মধ্যেই কাটাইতাম। সকালবেলা আমরা টেস্ট ক্রিকেটের আয়োজন করতাম তবে মজার ব্যাপার ছিল আমরা চার দিনের টেস্ট ক্রিকেট কথা বললেও একদিন এই দুই দলের দুই ইনিংস খেলা হয়ে যেত। কারণ আমরা কেউ বেশিক্ষণ টিকতে পারতাম না। তখন আমরা টেনিস বলতেই ক্রিকেট খেলা
ছোটবেলার স্মৃতি গুলো কখনো ভুলবার নয় আমার আনন্দগুলো বাবা-মা, ভাই এবং বন্ধুদের সাথেই বেশিছিল । আসলে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো নিয়ে অজস্র কথা লিখলেও শেষ হবে না। শুধু আমার না। প্রত্যেকেরই জীবনের এই মুহূর্তাটি সেরা। বড় হওয়ার সাথে সাথে সেই সময়টাকে মানুষ সবচেয়ে বেশি অনুভব করে এবং মিস করে।
Thank you
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
😁😁
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
The day's of leaving in Parbattipur is really awesome 🥀
Thanks for sharing your memories
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit