জাদু গাই ও নাগ মনি কাহিনী ২৭ -০৩-২০২১

in hive-138339 •  4 years ago  (edited)

Screenshot_2021-03-27-17-16-21.png

জাদুর গাই এবং নাগ মুনির কাহিনী নিয়ে নির্জন জঙ্গলে একটা গ্রাম ছিল। সেই গ্রামে কিছু সংখ্যক লোক বসবাস করত আর বসবাস করত একটা জাদুর গায় যে গায়টি গ্রামের দরিদ্র লোকদের সাহায্য করত টাকা পয়সা দিয়ে এবং সোনা হিরে এ সকল জিনিসপত্র দিত। যাতে সেই লোক গুলো টাকা পয়সা পেয়ে তারা তাদের অভাব অনটন দূর করতে পারে। এমন অবস্থায় গ্রামের প্রতিটি লোকে জেনে গেল যে আমাদের গ্রামে একটি জাদুর গাই আছে। তার কাছে আমরা যারা দরিদ্র লোক কোন সমস্যায় পড়লে তার কাছে গেলে সে হিরে অথবা সোনা দেয় সেটা বেচো আমরা অনেক টাকা পাব এবং সেই টাকা থেকে আমাদের অভাব অনটন দূর হবে একজন ব্যক্তি তার মেয়ের বিবাহ দিবে কিন্তু পারছেনা। তাই যাদুর গায়ের কাছে গেল এবং বলল জাদূর গাই আমার মেয়ের বিয়ে কিন্তু আমি বিয়েতে খরচ করব সেরাম টাকাপয়সা আমার কাছে নাই আমাকে কিছু সংখ্যক টাকা দেবে এবং সেই মুহূর্তে অনেক টাকা হল সেই থেকে তার অভাব অনটন দূর হলো এভাবে সাহায্য নিতে থাকে একসময় দেখা গেল যে গ্রামের অবস্থা অনেক ভালো হয়ে উঠেছে। কিন্তু সবাই সবার মত থাকে গায় তুষী জাদূর গাই এর মতনই থাকে কিন্তু তারপরও একটা বন্ধু লাগে যাদুর গায় একটা বন্ধু ছিল নাম তার রাসেল। রাসেল জাদূর গাই ওকে খুব ভালবাসতো প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে তার সাথে দেখা করতে যেত কিন্তু গ্রামে একটি লোক ছিল তার সাথে আরও কিছু হলো তারা দুইজন জাদুর গায়ের কাছে গেল গিয়ে বলল যে আমাদের মিথ্যা কথা বলে তার কাছ থেকে অনেক মনি নিলো তারপর তাদের পেট ভরল না এমন সময় তারা বিশেষ আলোচনা করল যে আমরা যদি ওই গায়ের পেট কেটে এবং হীরা গুলা বের করে নি তাহলে হয়তো অনেক ভালো হবে কিন্তু এটা সম্ভব হবে কিনা জানি না এই কথাটা কিন্তু আরেকজন ব্যক্তি বলেছিল তারপর সে নিজে থেকে নিজেরাই মনে মনে প্রস্তাব গ্রহণ করলো আজ রাত্রে আমরা সবাই সেখানে যাব এবং গিয়ে যাদের পেটে সেটা বের করে নেব আলোচনা করার পর তারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সেখান থেকেই রাত্রের বেলায় থাকে দুটো ছরি দিয়ে আঘাত করল এবং আঘাত যখন শেষ হলো গায়টি মারা গেল কিন্তু মারা যাওয়ার পরও তাদের আসা মিটলনা নামে তার একটা কারণ হল তাদের যে উদ্দেশ্য ছিল সেটা সফল

Screenshot_2021-03-27-17-13-30.png

হয়েছিল না যার কারণে তাদের আশা মিটে নি যখন মেরে ফেলা হলো তখন সে সাধারন গায়ে হয়ে গেল তার বুক পেট দিয়ে অঝোরে রক্ত ঝরছিল এটা দেখে তারা দুইজন খুবই অবাক হয়ে গেলো সে জাদূর্গা এখন সাধারণ গায়ে হয়ে গেছে তাই তারা দৌড়াতে দৌড়াতে লাগল এমন সময় আকাশ থেকে তাদের মৃত্যুবরণ করল রাসেলের কাছে এসে কান্নাকাটি করতে লাগলো কিন্তু কান্নাকাটির পরও কোনো ফল হবে কিনা সে বলতে পারবে না এমন সময় গায়েবী আওয়াজ এলো রাসেল তুমি আমার কাছ থেকে কি চাও রাসেল বলল আমার চাদর গায়ে বন্ধুকে ফিরে পেতে চাই সে বলল একে যদি তুমি ফিরে পেতে চাও তাহলে তুমি এক কাজ করো ওই নির্জন জঙ্গলে এক না ঘুম না আসে তার কাছে যে মা নাগমণি নাগমণি নিয়ে এসে জাদুর গায়ের গায়ের ঠেকাতে হবে তাহলে সে আবার পুনরায় তার রূপ ফিরে পাবে
Screenshot_2021-03-27-17-14-52.png
রাসেল তখন ওই নির্জন জঙ্গলের মাঝে একা একা চলে গেল এবং সেখানে গিয়ে দেখে এক নগণ্য বসে আছি এবং তার মাথায় নাগমণি জ্বলজ্বল করে জ্বলছে সে নাগকন্যা কে জিজ্ঞাসা করল তোমার ওই মাথা ওই মনি আমার দরকার তখনই নাগকন্যা রেগে গিয়ে বলল এই যে এখানে যে লোক গুলো আছে দেখতে পারছ মূর্তি অবস্থায় দেখা যাচ্ছে এরাও নাগমণি এখানে নিতে এসেছিল এদের এই অবস্থা হয়েছে তোমারো ঠিক একই অবস্থা হবে এই কথা শুনে রাসেল কাতরে উঠলো এবং সে তার দুক্ষের কথা সরলো না তাকে বলল যে আমি একটা প্রশ্ন করব তোমাকে যদি উত্তর দিতে পারো তাহলে আমি তোমাকে মনে দেব রাসেল এই কথা শুনে রাজি হল এবং নাগকণ্য তখন বলল যে পৃথিবীতে সবচেয়ে স্বার্থপরতা রাসেল অনেকক্ষণ ভাবার পর সেগুলো হলো সবচেয়ে বেশি সার্থকতা কারণ এই পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এটা একমাত্র প্রাণী নষ্ট করে চলেছে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রাণের অনেকখানি সাহায্য অথবা তাদেরকে আগলে রাখে কিন্তু সেই প্রাণীগুলি প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করছে এটা শুনে খুব খুশি হলো এবং নাগমণি তার হাতে দিলো রাসেল ছুটে গিয়ে সেই জাদুর গায়ের কালো এবং সে সঙ্গে সঙ্গে আবার পুনরায় তার রুপ ধারণ করলো

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order: