গভীর রাতের পর সকাল হয়, সকালের পর দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে। তারপর আবার রাত এভাবেই প্রতিদিন নতুন আশা নিয়ে সকালটা শুরু হয়। পৃথিবীর সৃষ্টির লগ্ন থেকেই এভাবেই চলছে যতদিন পৃথিবী আছে এভাবেই চলবে। ঠিক সেভাবেই আজকেও সকাল হয়েছে।
ঘুম ভাঙ্গে দেখি শরীর ঘেমে কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। তারপরে পরেই বুঝলাম মরার লোডশেডিং এর কারণে ফ্যান বন্ধ হয়ে ছিল। যার কারনে গরমে ঘুমের মধ্যেই ছটফট করছিলাম।
বিছানায় এডিট ওপিট করে গোরাগুরি খেতে খেতে কখন আবার শুয়ে পরেছি বুঝতেই পারি নিই। বউ থাকলে নিশ্চিত ল্যাদায়া নিচে ফালায়া দিত।
যাক ঘুম ভাঙ্গে গোসল করে নাস্তা খেয়ে সোজা সেন্টারের উদ্দেশ্যে বার হই। রিক্সায় উঠে ভাই জলদি চল দেরি হয়ে গেছে। রিক্সা জলদি চালায় লাভ আর হল না। ট্রাফিক জ্যামে আটকে গেলাম। পাশেই একটা রিক্সা এসে দাড়ালো। রিক্সায় এক সুন্দরী মেয়ে। আমি আবার ভদ্র ছেলে আশে পাশে তাকাই না। সুন্দরী মেয়ের দিকে তো তাকাই এ না। একবার তাকাইতে গিয়ে ধরা খাইছিলাম। গার্ল ফ্রেন্ড ফোন দিয়ে কয় রাস্তায় রিক্সার পাশের টার উপর ক্রাশ খাইছো বাবু দাড়াও তোমার কাছে নিয়া আসতেছি। পরে এটা বান্ধুবী আমার সাথে পরিচয় করায় দেয়। আমি তো তব্দা খায়ে গেছিলাম। তখন থেকে বাদ এদিক সেদিক দেখা।
যাই হোক জ্যাম সারলে দ্রুত সৈয়দপুর প্লাজায় পৌছায়। রীতিমত দৌড় দিয়ে সেন্টার খুললাম। তারপরেও দেরী হয়ে গেলো। আসলে তারাতারি করতে চাই না কেন দেরী হয়েই যায়।
হোক দেরী কিন্তু প্রতিদিনের কাজ ঝাড়ু দেওয়া পরিষ্কার করা সেটা তো করতেই হবে। সব কিছু করে বসলাম নিজের চেয়ারে বসে স্টিমিটে পোস্ট দিলাম।
স্টুডেন্টদের ক্লাস নিতে নিতে বিকাল হয়ে গেলো। বাড়ি আসবো সেই সময়ে আমার কোচিং এর এইচএসসি ব্যাচের স্টুডেন্ট পপি ফোন দিল।
-ভাইয়া কেমন আছেন।
-আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। তুমি?
-ভালো ভাইয়া। আপনি প্লাজায়?
-হুম, প্লাজায় এখন বাসায় যাবো।
-না না ভাইয়া যাইয়েন না, আমরা আসতেছি।
-ওকে জলদি আসো বাসায় যাবো।
আমি মনে মনে খুশি। বকেয়া টাকা গুলো হয়তো দিবে। এমনিতেই পকেটের অবস্থা ভালো না। পকেটের স্বাস্থ্য ভালো হবে এই মনে করে মনের খুশিতে বসে আছি। আর টিপাটিপি করতেছি। অন্য কিছু ভাবেন না ফোন টিপাটিপি করতেছিলাম।
-ভাইয়া, কেমন আছেন। আমরা বান্ধুবিরা ফুচকা খাইতে আসছিলাম তো তাই আপনার সাথে দেখা করতে আসলাম।
-খুব ভালো করছো। মনে মনে টাকা টা পাচ্ছি এটা কম কিসে।
-ভাইয়া আপনি শুকায় গেছেন, দাড়ি, চুল বড় বড়। দেবদাস হয়ে গেছেন। ভাবী কেমন আছে। বিয়ে কবে করবেন।
-টাকা পয়শার অভাবে চুল দাঁড়ি কাটতে পারতেছি না। বিয়ে করতে পারতেছি না টেনশনে শুকায় যাচ্ছি।
-ধুর ভাইয়া আপনিও না! আচ্ছা ভাইয়া আমাদের টাকাটা একটু দেরি হবে।
-আহা রে! বাংলা সিনেমার মত মনে মনে। না.....হ্ এ হতে পারে না।
আমি রীতিমত আহাম্মক। কিন্তু কিছু করার নাই। তারপর কি আর ওদের ব্যাগ থেকে একটা আইসক্রিম আর একটা কোন মিঃ টুইস্ট বার করে দিল। ঢং করে বলে ভাইয়া আপনার জন্য। কি আর করার সান্তনা পুরস্কার নিয়েই খুশি থাকতে হল।
তারপর দোস্ত @faizurehan আমরা সেন্টারে আসে আমার সাথে দেখা করতে। কিছু টুকটাক বললাম। শেষে সেন্টার থেকে বার হয়ে আল শামস হোটেলে ভালো গরুর চাপ পাওয়া যায়। সেখানে দুজনেই চাপ পরাটা খেয়ে ভাসানী চাচার চা খেয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
তারপর বাসায় আসে প্রতিদিনের মতোই ফ্রেশ হয়ে নামাজ খাওয়া রেস্ট স্টিমাটে ঘাটাঘাটি ফেসবুকিং চ্যাটিং এভাবেই চলে গেল দিন। তারপরেই শুয়ে শুয়ে এই পোস্টটা লিখলাম।
Nice diary post bro.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
You must be a writer. You have excellent writing skills. Hope you think about it.
#onepercent
#bangladesh
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
But Steem is stifling my talent. They did not understand my talent😛🤣
If they understood, they would have upvoted me 🤣😛
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Your post has been very nice.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Nice diary brother. Your writing is really good.
#onepercent
#bangladesh
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit