নবাবজাদা, আর কত ঘুমাবি, তোর বাপ জমিদারি রাখে গেছে? উঠ জলদি করে। এটা যেন আমার মত বেকার আলসে মার্কা যুবকদের সকালের অভ্যর্থনা এসব শুনেই তো সকাল শুরু হয় আমাদের মত যুবকদের।
যাদের কাছে ঘুমটা প্রিয়। দুনিয়া ওলট পালট হয়ে যাক ঘুম ছাড়া কিছুই বুঝে না তাদের কাছে সকালে উঠা আর হিমালয় জয় করা একই কথা।
একে তো এতো মধুর স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো তার উপর মায়ের বোকা। এই নিয়েই দিনটি শুরু হলেও মোটেও খারাপ যায় নিই। তারাহুরা করে ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে আসে নাস্তা করতে বসলাম। গরুর গোস্তের ঝোল আর গরম গরম রুটি আহ কি টেষ্ট। আমি আবার খাওয়ার সময় পিক তুলে না। খুব মনোযোগের সহিত খাই। এমনিতেই মায়ের হাতের রান্না পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রান্না। ঘ্রান যেন লেগেই থাকে।
নাস্তা করেই সোজা দৌড় সেন্টারের উদ্দেশ্যে। শনিবারের সকালে সেন্টার যাওয়াটা সব থেকে কঠিন কাজ। মাঝখানে একদিন গ্যাপ থাকলেই পরের দিনও ছুটি নিতে মন চায়। কিন্তু যেতে তো হবেই। এটাই তো আমার জীবিকার একমাত্র সম্বল।
যাক বাসা থেকে বার হলাম। রিক্সায় উঠে রওনা দিলাম। প্রচন্ড রোদের তাপ সানগ্লাস না পরলে খুব কষ্ট হত। আসার সময় রাস্তায় চারিদিকে তাকায় দেখি কে কি করে এইসব ভালো করেই লক্ষ করি। আসলে মানুষের জীবন জীবিকার জন্য রোদ বৃষ্টি বাদল কিছুই মানে না।
প্রতিদিনের মত সেন্টারে আসা। এটাই আমার বর্তমান জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথ। করোনার কারণে ব্যবস্যা বানিজ্য একধরনের স্থবিরতা ছিল। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। সেটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এতো সহজে তো তা সম্ভব না। ঐদিক আবার কোচিং সেন্টার ও বন্ধ। সব মিলিয়ে আমরা ভালো নেই।
সেন্টার এসে প্রতিদিনের মতোই ক্লাস নেওয়া। মাঝে মধ্যে ক্লাস নিতে খুব ভালোই লাগে আবার মাঝে মধ্যে খুবই বিরক্তলাগে। তারপরেও ক্লাস নিতে হবে নিচ্ছি। এভাবেই প্রতিদিনেই চলে। যাক ক্লাস নেওয়া শেষে আবার বাসায়।
এরেই মাঝে বাসায় চাচাতো ভাইয়ের পিচ্চি ছেলে মেয়েরা এসেছিল। তাদের সাথে অনেকক্ষণ সময় কাটালাম।
অবশেষে দুপুর গড়িয়ে বিকাল, বিকাল গড়িয়ে রাত যেভাবে প্রতিনিয়তই আমার সময় কাটে। রাতে বন্ধুদের এলাকায় গিয়ে অনেকদিন পর আড্ডা। অতঃপর রাত ১০.৩০ মিনিট হয়ে গেলে বাসায় এসে ডিনার নামাজ পরে পোস্ট লিখতে বসলাম।
সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কষ্ট করে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আগামীকাল ও আপনাদের সামনে নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হতে পারি।