আস্সালামুআলাইকুম কমিউনিটি,
সবাই কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও হাজির হলোম আমার দিনলিপি শেয়ার করতে।
ভোর ৬টায় ঘুম থেকে উঠলাম। উঠেই দেখি আজকের পরিবেশটা অনুকুলে। প্রতিদিনের মত আজকে তেমন গরম নেই। গত কয়েকদিন হলো যা গরম পরেছে তা বলা বাহুল্য। সে তুলনায় আজকের সকালটা খুব ঠান্ডা। কিন্তু আজকে ফজরের নামায আদায় করা হয়নি। হয়তোবা ঠান্ডা পড়ায় আজকে ঘুম বেশি হয়ে গেছে। আজকে সূর্যদয় দেখা হলো না। গত কয়েক দিন আমি সূর্যদয় দেখা একদমই মিস করিনি। কিন্তু আজকে হঠাৎ মিস করে ফেললাম ভেবেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। সূর্যদয় দেখার অনুভুতিটা অন্যরকম। যখন সূর্যদয় হয় তখন যেন মনে হয় পৃথিবীটা শরষের তেলের মতো তৈলাক্ত ভাব নিয়ে সবাইকে আলোর পথে ডাকছে। যাইহোক প্রায় ২০ মিনিটের মতো বসে বিছানায় এরকম ভাবতে ভাবতেই কেটে গেল। তারপর কিছুক্ষন বাইরে গিয়ে হাটাচলা করলাম। প্রতিদিনের মতো আজকে হাটতে ভালো লাগছে না। কারণ প্রতিদিনের তুলনায় আজকে অনেক বেলা হয়ে গেছে। একেক জনের কাছে সকাল একেক রকম। কারো কাছে সকাল হয় ৮টা, কারোবা ৯টা আবার কারো বা ১০টা। কিন্তু আমার কাছে ৬টাই অনেক বেলা মনে হয়। ভোরের সূর্যদয় না দেখলে আর ফজরের নামাজ না পড়লে দিনটাই মাটি মনে হয়। কিন্তু আজকে দুটোর একটাও করা হয়নি। তাই মনটা স্বভাবতই খারাপ হয়ে গেল । তারপর একদিক ওদিক হাটাহাটির পর ৭টার মধ্যে ফ্রেশ হয়ে ৯টার মধ্যে সকালের খাবার শেষ করলাম।
এরপর ১০টার দিকে বের হলাম স্যারের সাথে দেখা করার জন্য। গত রাতে স্যার ফোন দিয়ে দেখা করতে বলেছিলো। লডাউনের মধ্যে স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পড়া-লেখাটা ঠিক মতো করা হয় নি। তারপর যাথারিতিতে স্যারের সাথে দেখা করলাম। স্যারের সাথে কথা বার্তা শেষ করে দুই বন্ধু মিলে রওনা দিলাম। বন্ধু যাবে তার বাড়ি আর আমি যাবো আমার আত্মিয় বাড়ি।
সময় তখন দুপুর ১২টা। দুজনে একটা সিএনজি নিলাম। এই লকডাউনের মধ্যে সরকার বলেছে সাস্থ্য বিধি মেনে চলাচল করতে। কিন্তু রাস্তা ঘাটে বের হলে মনে হয় সাস্থ্য বিধির কোনো কারবার নেই। যাই হোক কিছুক্ষন পর আমার গন্তব্যস্থলে পৌছলাম। তারপর কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলাম। দুপুরের খাবার শেষ করে প্রায় ২টার দিকে বের হলাম একটু হাটাহাটি করতে। আমার একটা অভ্যাস হলো দুপুরে খাবার শেষে একটু ঘুমানো। কিন্তু আজকে যেহেতু আত্মিয় বাড়ি আসছি সে জন্য সেটা আর হলো না।
যাই হোক বের হয়ে দেখলাম সবাই বরসি দিয়ে মাছ মারছে। আমারও ইচ্ছে হলো কিন্তু সেটা ইচ্ছেই রয়ে গেল। প্রায় ঘন্টা ২ সেখানে মাছ মারা দেখলাম। তারপর তাদের কাছ থেকে বিদায় নিলাম বিকাল ৫:০০ মিনিটে।
তারপর বাড়িরর দিকে রওনা হলাম। পথে এক বড় ভাইর ফোন করে বলল দেখা করতে চালা বাসস্ট্যান্ড-এ। তার কথা অনুযায়ী সেখানে একটা পরিচিত দোকানে বসে তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হতে চায় না। বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর সে কল দিয়ে বলল কি যেন একটা কাজে আটকে গেছে তাই আসতে পারবে না। তারপর বাড়ির দিকে রওনা হলাম। যেহেতু চারপাশে পানি তাই বাড়িতে নৌকা করে যেত হবে। তাই নৌকার জন্য নদীর পারে আরও কিছুক্ষন অপেক্ষ করতে হলো।
তারপর নদী পার হতে হতে দেখলাম সূর্যাস্ত হচ্ছে। দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। তাই দেরি না করে ক্যামেরা বন্ধি করলাম। তারপর বাড়িতে আসলাম প্রায় সন্ধা ৬টার সময়।
আপনার পোষ্টটা অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ডাইরি গেইমে অংশগ্রহন করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit