আজকের দিনটা ছিল খুবই অন্যরকম। সকালে উঠেই প্রত্যেকদিন এর মত হাত মুখ ধুয়ে মোবাইল এ কিছু কাজ করতে হয়। সকালে বন্ধুর সাথেও কথা হলো। রাতে ঠিক করেছিলাম যে আজকে বিকালে তার বাসায় যাবো। এইদিকে আমার বাবা আর ভাই বলেছে তারা নাকি আজকে বাড়িতে যাবে।
আমাদের গ্রামের বাড়ি। আমারও যেতে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যার জন্য যেতে পারছিলাম না। তবে বাবা আর ভাইয়ের তো সকাল সকাল বেরিয়ে পরার কথা ছিল। কিন্তু সকাল সকাল বাহির হইনি। কারণ সকালে নাকি ভাইয়ের টিচার আসার কথা ছিল। যাই হোক ভাইয়ের টিচার আসে ৯:৩০করে।
তারপর আমাকে ঘরের অনেক কাজকর্ম করতে হয়।মাকে অনেক সাহায্য করি। এইদিকে ভাই তো অনেক অস্থির। সে ভালো মত পড়াই মনোযোগী হচ্ছিল না। ওর এই এক সমস্যাই কোথাও ঘুরতে যাবে বললেই সে পড়াই আর মন বসাই না।
অন্যমনস্ক হয়ে যাই। ঐ যে ছোট বাচ্চাদের যেরকম স্বভাব। তো ঘরের ফ্যান আর বেসিন ঠিক করেছিল একজন মিস্ত্রি দিয়ে। আমি এত এখানে গেম খেলছিলাম। ওয়াড গেম। গেমটা যদিও অনেক মজার। বেশ ভালোই লাগে আমার। আমার অবশ্য পাবজী ফ্রিফায়ার অত ভালো লাগে না। যদিও কখনো খেলি নাই। আমার বন্ধু বান্ধবের অনেকেই খেলে।
যাই হোক বাবা আর ভাই তো বিকাল ৩:৩০ করেই বাহির হয়েছিল। তবে হ্যা মাঝখানে মা ঠিক করলো যে আমাকে নিয়ে মাসীর বাড়িতে যাবে। আমি তো মনে মনে সেইরকম খুশি। মনটাই ঘরে গেল। অনেকদিন পর গ্রামে যেতে পারবো।তো আমি আর আমার মা ঝটপট রেডি হয়ে গেলাম। জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। এইদিকে আমার বাবা আর ভাই বেরিয়ে পরলো বাড়ির দিকে।
বাস এই তো ৪:৩০ করেই ছাড়লো। রাস্তা ঘাটে অত ভিড় ছিলো না। বেশ ভালই লাগলো। পৌঁছতে পৌঁছতে সময় লাগলো প্রায় দুই ঘণ্টার মত। সব থেকে মজার ব্যাপার হলো অনেকদিন পর নৌকায় চড়লাম।
আর মাসীর বাড়ি যেতে হলে ফেরি পার হতে হয়। কিন্তু বেশি দেরি হবে বলে আমরা সাম্পান করেই নদী আর হলাম। মন টা আসলে অন্যরকম হয়ে গেলো। গ্রাম এর প্রকৃতি হাওয়া বাতাস সবই অন্যরকম। বেশ ভালোই লাগছিলো।
রাতে গ্রামের পরিবেশ একদম নিস্তব্ধ থাকে। শহরের যান্ত্রিক পরিবেশ ছেড়ে অনেকদিন পর গ্রাম পরিবেশে গিয়ে শরীরটাকে কেমন যেনো সতেজ করে দিল।রাতে খাওয়া করে কিছুক্ষনের জন্য ছাদে গেলাম। কেমন যেনো অন্য রকম লাগলো। চারিদিকে নিস্তব্দতা।
পরিশেষে এটাই বলবো গ্রামে প্রকৃতিকে ভালো করে উপভোগ করা যায়। যেটা শহরে কখনো সম্ভব না।