ভোর ৬ টায় ঘুম থেকে উঠলাম যদিও
আমি আমার রুটিন ঠিক রাখতে পারিনা। অন্যদের জন্য হয়তো বিষয়টা অন্যরকম।
যাইহোক, তারপর দাত ব্রাশ করা ও ফ্রেশ হওয়া, সেই সাথে শারীরিক চর্চাটাও সেরে নিলাম।
এগুলো আসলে কোনো ফর্মালিটি না, বরং আমাদের প্রয়োজনেই আমরা এটা করে থাকি।
কারন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ঈমানের অঙ্গ। এভাবেই কেটে গেলো ঘন্টা দেড়েক! নাস্তা রেডি করাই ছিল, রুটি তারপর চা।
চা আসলে ইচ্ছা করেই খাওয়া হয় এটায় নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়, সত্যি বলতে আমার ক্ষেত্রে তেমন একটা ঘটে নি, চা খাওয়ার পর একটু গরম অনুভব হয় এই যা।
তবে এখন অবশ্য শীতকাল না গরম দিয়েই কি হবে, খাই আর কি একটা অভ্যাস হয়ে গেছে।
মাধ্যমিকের একটা ব্যাকরণ বইয়ে অনুবাদ নামে একটা লাইন দেখেছিলাম "চা হচ্ছে একটা জনপ্রিয় পানীয়" হয়তো আমরা সেই জনপ্রিয়তাটাই রক্ষা করে আসছি এতদিন।
তবে ছাড়বো না তো, ছাড়া হয়নি সেটা ভবিষ্যতেও থাকবে।
আমি আবার অল্প সময়ে বেশি কথা বলার চেষ্টা করি, জানি না হয়তো লোকে বাচাল ও বলতে পারে। বলুক না তাতে কার কি আসে যায়, যতো লোকেই বেশি করছে, আমি মনে করি সেটা তাদের একটি আর্ট। যা একেরটা অন্য কেউ ভালো করে করতে পারে না।
৮ টা ৩০ মিনিট, কেবলই নাস্তা শেষ করলাম।
রুমে এসে বসলাম, হাতে মোবাইল নিলাম, এইতো আরেকটা বদ অভ্যাস।ঠিক আছে মানলাম মানুষ ভালো কিছুর জন্যই মোবাইল ব্যবহার করে, কিন্তু সেটা যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে কি হবে???
তবে একটা কথা ভেবে আসলে স্বস্তি পাওয়া যায় যে, মূল্যবান আর্ট শুধু আমার মধ্যেই নয় আরো অনেক মানুষেরই আছে।☺
মোবাইল হাতে নিলে যা হয় সচরাচর, ফেসবুক, বা আদারস অনলাইন এক্টিভিটিস যদি থাকে সেগুলোতে সময় কাটানো, প্রয়োজনে কোনো কিছু করা ইত্যাদি।
১১ টা হয়ে গেলো, দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইনে কার্যক্রম, সেটা না করেও তো কোনো উপায় নাই।
একদিকে যেমন করোনার (কোভিড -১৯) এর প্রকোপ। অন্যদিকে আবার বন্যার পানিতে রাস্তাঘাট সব তলিয়ে গেলে, এক দুর্যোগের উপর আরেক দুর্যোগ।
মোটকথা, হলো ডাবল দুর্যোগের কবলে। তাই সময় কাটানোর জন্য মোবাইলে বেশি সময় দেয়া।
১১ টা ২০ মিনিট, শুয়ে আছি আর ভাবছি যে, কারো কারো নাকি সময় কাটেনা। এজন্য এটা ওটা করে, আবার কেউ কেউ নাকি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও নেয়।
আমার কাছে যদি এরকম কেউ আসতো।তাহলে আমি সুজা প্রেসক্রিপশন করে দিতাম "একটা স্মার্টফোন, কয়েকটা সফটওয়্যার যেমন, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম,ওয়াটসঅ্যাপ, ইমু "।
নেন, আপনি সময় কাটাতে পারেন না, এখন সময় আপনাকে কাটাবে! 😁
১২ টা ১০ মিনিট,গোসল সেরে নিলাম,তারপর একটু এদিক সেদিক ঘুরাফেরা, সময় টা বেশ কেটেই যাচ্ছিলো।
১ টা ৪০ মিনিটে দুপুরের খাবার খেলাম, মেনু তালিকায় আসলে বাঙ্গালীয়ান খাবারই, তবে আমি মাংস খাচ্ছিনা, একটা সমস্যার কারনে ওষুধ খেতে হচ্ছে। তাই কিছু দিনের জন্য মাংস খাওয়া যাবে না।
একটু খারাপ লাগারই কথা, মাংস সিজনেই মাংস খেতে পারছি না যে কেউ হলেই এটা ভাববে।
যে খাবার গুলো খাওয়া হলো তার তালিকায় ছিলঃ
১। সাদা ভাত
২। মাছের ঝোল
৩। মাছের ডিম ভাজা
৪।মাছের চাটনি
অবশ্য ঝাকঝমক খাবারদাবার না হলেও, পেট পুরে খাওয়ার মত। কথায় বলে না যে "বাঙ্গালীরা হচ্ছে সংকর জাতি " এরেকটা প্রচলিত কথা হলো "মাছে ভাতে বাঙ্গালী" উপলব্ধি করি মাঝে মাঝে কথা গুলা একদম খাপে খাপ মিলে যায়।
২টা ২০মিনিট, খাওয়া শেষ করে ১০ মিনিটের মত একজন স্যারের সাথে কথা বললাম, স্যার অবশ্য খুব আন্তরিক।
মার্জনীয় ও শান্ত শিষ্ট আচার ব্যবহার। শিক্ষার যে গুণাবলী সেটা উনার মধ্যে আছে তা ব্যবহারেরই প্রকাশ পায়।
যদিও কথায় বলে "ব্যবহারে বংশের পরিচয়" কিন্ত আমার মনে হয় শুধু বংশ নয়, একজন মানুষের যে ব্যক্তিগত বা তারও গভীর দিকটা জানা ও বুঝা সম্ভব, শুধুমাত্র ব্যবহারের মাধ্যমে।
সময় ২ টা বেজে ৪০ মিনিট, এই সময়টাতে একটু ঝিমুনি আসে, ক্লান্তিকরতায় ভর করে আরকি। তবে আমি অবশ্য ক্লান্তিহীন ভাবে বসে থাকতে পারি কোনো সমস্যা হয় না।
তবে সময় থাকা সাপেক্ষে একটু বিশ্রাম নেওয়াই যায়।
প্রায় ২ ঘন্টার মত ঘুমানো, যদিও প্রকৃত ঘুম না।
ঘন্টা দেড়েক ঘুম ধরা যেতে পারে। বাকিটা চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকা আরকি।
৪ টা ৪০ মিনিটে উঠলাম,
ঘুম ঘুম ভাব অবশ্য চলে গেছে, কারণ, ওই যে বললাম, বাকিটা চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকা সে সময়ই।
খুব একটা বের হতে পারি না, বন্যার কারনে, যদি বের ও হই সেটা অল্প সময়ের জন্য তাও খুব রেয়ার।
যাইহোক, বাড়ির চারপাশটা একটু ঘুরলাম, বেশ সতেজতাই অনুভব করলাম। এভাবেই ২০ মিনিট কেটে গেল।
৫ টা বেজে গেছে, অবসর সময়, আজকে কেনো জানি সময় টা একটু স্লো কাটছে।
একটা কোরিয়ান টিভি সিরিজ দেখা শুরু করলাম। সিরিজটির নাম হচ্ছে "কিংডম"।
এই সিরিজটি "দ্যা কিংডম অব দ্যা গডস " বই অবলম্বনে নির্মিত। লিখেছেন (কিম ইউন হি এবং ইয়াং কিউন)।
ড্রামা ও হরর এবং থ্রিলার মিশ্রণ জনরা। পরিচালক হচ্ছেন কিম সিউনগ হুন। পরিচালক অনেকটা বুদ্ধিমানই বলতে হবে, কারন প্রত্যেকটি চরিত্র খুব মিল রেখে কাস্ট করেছেন।
সিরিজটির মোট দুইটা সিজন এই পর্যন্ত আসছে অনলাইনে। অনলাইন ডিস্ট্রিবিউটর বা ডিজিটাল রিলিজে ছিল জনপ্রিয় প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্স।
২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি রিলিজ পায় প্রথম অফিসিয়াল ভাবে। প্রথম সিজন টা দেখেছিলাম আগে।
আজকে দ্বিতীয় সিজন টা শেষ করলাম (২ এপিসোড)।
অনেক ভালোই লেগেছে। জম্বি মুভি বা সিরিজ আসলে ভালই উপভোগ করি।
তবে ধন্যবাদ আসলে দিতেই হয়, যারা কষ্ট করে আমাদের জন্য বাংলা সাবটাইটেল তৈরি করেন।
মূলত, উনাদের কারনেই ফরেন মুভি বা টিভি সিরিজ এবং ওয়েব সিরিজ গুলা দেখা সম্ভবপর হয়।
সন্ধ্যা ৭ টা. ০০ মিনিট,
একাই বসে আছি, ফেসবুকেই ডুব দিলাম, একটু পর ছোট ভাই চা নিয়ে আসলো।
ভালই চা বানায়, এক কথায় অসাধারণ যেটাকে বলে। তবে অন্যান্য জিনিসও রান্না করতে পারে, ভালই হয় সবারই উচিত কাজ জেনে রাখা। কারণ, কখন কোন জিনিসটা কাজে লাগে বুঝা যায় না।
চায়ের জন্য অবশ্য সে একটা ধন্যবাদ প্রাপ্য। কারও জন্য উপকৃত হলে নাকি ক্রেডিট দিতে হয়।
আমিও সেটাই ভাবি, এবং মেনে চলারও চেষ্টা করি।
রাত ১০ টায় হয়তো রাতের খাবার খাবো।তারপর যদি কোনো কাজ থাকে তাহলে করবো, নয়তো তাড়াতাড়ি বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে।
সব মিলিয়ে ভালোই ছিলো আজকের দিনটা।
Hi @mohibur thank you so much to see that you have posted another one. Enjoy this diary game. Keep posting, go ahead.
Have a nice day
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Great writing brother
Brother, you can get 10% votes from @steemcurator01 by commenting every day visit this post for details.
https://steemit.com/the1000daysofsteem/@steemitblog/1000-days-of-steem-day-21-the-diary-game-season-2-has-started
Follow @steemitblog. So, that you can see all their posts. They will give new update every day. You can see them.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
You have been upvoted by @toufiq777 A Country Representative from BANGLADESH we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.
Follow @steemitblog for the latest update on Steem Community and other writing challenges and contest such as The diary game
Also join LUCKY 10S
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks for sharing your diary with us,
Here is a little tips,
For more follow @steemitblog for the latest update on Steem Community such as some early tips!
Also join LUCKY 10S
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you for taking part in The Diary Game on Steem.
Keep following @steemitblog for the latest updates.
The Steemit Team
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit