আমি আমার বন্ধু, অফিস কলিগ মোট ৬ জন ভারতের চেংরাবান্ধা বর্ডার দিয়ে সফর শুরু করি। ঢাকা থেকে হানিফ বাসের টিকিট কাটি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পর্যন্ত ভাড়া ৮৫০টাকা ছিলো। রাত ৮.৩০ মিনিট আমার আমাদের বাস যাত্রা শুরু করে পাটগ্রামের উদ্দেশ্য। আমরা সকাল ৭ টায় পাটগ্রাম পৌছাই, নেমে সকালের নাস্তা সেরে নেই।
সকাল ৯ টায় ইমিগ্রেশন অফিস খোলে, আমাদের দুই ইমিগ্রেশন পাড় করতে ১.৩০ ঘন্টা লেগে যায়। আমরা টাকা পরিবর্তন করে শিলিগুড়ি উদ্দেশ্য রওনা দেই।
প্রথমে রানীবাজার থেকে ভ্যানগাড়ী করে বাইপাস যাই তারপর লোকাল বাসে উঠি। সিট না পেয়ে বাসের ছাদে উঠি সেটার অনুভূতি আজ মনে আছে। ২.৩০ মিনিটের একটা ভ্রমণ আজও মনে নাড়া দেয়। তো শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ড পৌছাই বেলা ১২.৪৫ এ।
বাস থেকে নামার পর একজন এসে জিজ্ঞাস করে কোথায় যাবেন আমরা সহজ সরল মানুষ বললাম দার্জেলিং যাব,বললো আমার সাথে চলেন আমরাও নতুন কিছুই চিনি না, তো চললাম লোকটার পিছনে পিছনে সে নিয়ে গেলো শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ডের পিছুনে একটা ট্র্যাভেল এজেন্সীতে নিয়ে গেলো। একজন ভদ্রলোকের কাছে নিয়ে গেলেন নাম তার অলোক দা।
ভদ্রলোকের ব্যবহারে আমরা মুগ্ধ , তোমরা দার্জিলিং যাও আগে তারপর সিকিম যেও।সবার সাথে কথে বলে আমরা রাজি হলাম দার্জেলিং যাবার জন্য। তার সাথে অনেক দর কষাকষি করলাম
আমরা একটা ৩ দিনের প্যাকেজ দিয়ে দিচ্ছি থাকা,খাওয়া,সাইটসিন সহ, প্যাকেজ মূল্য ৫৫০০ টাকা। আগস্ট মাস শিলিগুড়িতে ঢাকা-এর মতই গরম থাকে। আমাদের যাত্রা সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৬৭৪২ ফিট উপরে দার্জেলিং শহরে। যাত্রা শুরু করার ১ ঘন্টা পর হালকা হালকা শীত অনুভব হতে লাগলো।
হাড়ি আকাবাকা রাস্তা আমাদের সিকিমের কথা ভুলিয়ে দিলো। আমরা সন্ধ্যা ৭টায় আমাদের হোটেলে পৌছাই। এমন ঠাণ্ডা আমরা বুঝতে পারি নাই আমাদের তো ধারণাই ছিলনা এইখানকার আবহাওয়া সম্পর্কে । যাইহোক রাতের খাবার খেয়ে ঘুমায় পড়লাম সবাই। ভোর ৪.৩০ মিনিট হঠাত কে যেন দরজা কড়া দিতেছে । খুলে দেখলাম আমরা যে প্যাকেজ নিসিলাম সেই প্যাকেজে কাঞ্চনজঙ্গা দেখতে নিয়ে যাবার কথা ছিলো, তার গাইড ও ড্রাইভার আমাদের নিতে আসছে।যাইহোক সবাই ৩০ মিনিটের মধ্য রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম কাঞ্চনজঙ্গা। বাহিরে তখন ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস আমাদের অবস্তা করুন।
যেয়ে দেখি মেঘের কারনে কাঞ্চনজঙ্গা দেখা হয় নাই । একে একে বাতাসিয়া লুপ,হিমালায়া মিউজিয়াম, তামি টি গার্ডেন,রক গার্ডেন । সব থেকে ভালো লেগেছে রক গার্ডেন। ৩ দিন থাকার পর আবার আগের মত করে ফিরে আসলাম নিজের ঘরে।
আপনাদের অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে আমার লেখাটি পড়বার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Beautiful places. Thank you for sharing these stunning clicks.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
I wish I could see your RoyalEnfield park somewhere around the roadside :D!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Yes i have seen so many royel endfield bike.its sound touched my heard.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit