আসসালামুআলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালোই আছেন?আমিও ভালো আছি।চলুন কিছু কথা ভাগাভাগি করে নেই আপনাদের সাথে।আমার কাছে একটি ভয়ানক লঞ্চ যাত্রা। সময়টি ছিলো ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল।তখন বৈশাখ মাস।মাঝে মাঝেই ঝড় বৃষ্টি হয়।ওইদিন ছিলো আমার বড় বোনের বিয়ে।মূলত বিয়েটি ছিলো ঢাকা শহর থেকে অনেক দূরে।সেটি হলো নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা।যেখানে কোনো বাস ট্রেন কিছু যেতে পারে না। একমাত্র রাস্তা সেটি হলো নদী পথে যাত্রা। এর জন্য আমরা সবাই চলে যাই পুরান ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালে।আমাদের লঞ্চের সময় ছিলো বিকাল ৫টায় ।আমরা যে লঞ্চে যাত্রা করেছিলাম সেটি ছিল তাসরিফ-১।বেশ ভালোই লাগছিলো।জীবনে প্রথম ওইদিন আমি লঞ্চে উঠেছি।এরপর বুড়িগঙ্গা দিয়ে যেতে যেতে কেরানীগঞ্জ,নারায়ণগঞ্জ সব পার করে লঞ্চটি তার আপন গতিতে চলতে লাগলো।যেতে যেতে কিছু কিছু জায়গায় থেমেছে নতুন যাত্রী উঠেছে।বেশ উপভোগ করছিলাম।এরপর আমরা মেঘনা নদীতে এসে পড়ি।নদীর মোহনা গুলা বেশ ভালোই বুঝা যাচ্ছিলো।একটি নদীর পানি আরেকটি পানির সাথে মিশে গেছে ঠিকই কিন্তু পানির রং আলাদা ছিলো।
লঞ্চ তার আপন গতিতে চলছে।তখন প্রায় রাত ১০টা বাজে।বিজলী চমকানো শুরু হয়েছে।বাহিরে একটু একটু বাতাস হইছে আর বৃষ্টি শুরু হয়েছে।এমন সময় বাতাসের গতি আরো বেড়ে গেলো আর সব আমাদের কেবিনের দরজায় এসে আছড়ে পড়তে লাগলো।বাতাসের গতি বাড়তেই লাগলো।কেবিনের মধ্যে পানি চলে এসেছে।এমন অবস্থা লঞ্চের গতি কমানো সম্ভব হচ্ছে না আর।লঞ্চটি বাতাসের সাথে চলতে লাগলো। সামনে থেকে আসছিলো আরেকটু লঞ্চ কিন্তু বাতাসের গতি এতো বেশি ছিলো যে আমাদের লঞ্চটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।দুটি লঞ্চ একটি আরেকটির সাথে ধাক্কা খেল।কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে আমাদের লঞ্চটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।এরপর আমরা সামনে ভয়ে সবাই দোয়া পড়তে লাগলাম। কিছুক্ষন পর ই লঞ্চটি দৌলতখা নামক একটি ঘাটে এসে থামে।এরপর বৃষ্টির গতি কমতে থাকে।আমরা পুরো লঞ্চটি ঘুরছি।যারা মূলত লঞ্চটি চালায় তাদের সাথে গল্প করেছি তাদের কথা শুনছি তাদের অভিজ্ঞতা শুনেছি।এরপর আমরা কেবিনে যে যার মতো ঘুমিয়ে গেছি।সকালে ভোরের আলোয় ঘুম ভেংগে গেলো।চোখ খুলেই দেখলাম একটি ঘাটে লঞ্চটি থামবে সেটি হলো মনপুরা।সেই বিখ্যাত মনপুরা সিনেমার শুটিং নাকি এইখানে হয়েছিল এরপর থেকেই এই জায়গার নাম মনপুরা হয়েছে।কিছুক্ষন থামার পর দেখলাম লঞ্চটি প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে।সব যাত্রী আগে নেমে গিয়েছে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে। এরপর আমাদের লঞ্চটি হাতিয়ার উদ্দেশ্যে মনপুরা ছেড়ে যায়।যেতে যেতে হটাৎ লঞ্চটি থেমে যায় আর যেতে পারছি না কারন পানি কমে গিয়েছে l সেখানে প্রায় ২ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর জোয়ারের সাথে পানি আসার পর লঞ্চটি আবার সামনে গিয়েছে। এরপর আমরা নেমে যাই হাতিয়া।সেইখানে গিয়ে দেখলাম তারা নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।একটু নির্দিষ্ট সময় বিদ্যুৎ থাকে আর কিছু সময় থাকে না।
হাতিয়া যাওয়ার পর আমরা কিছু জায়গায় ঘুরেছি।এর মধ্যে একটি হলো হাতিয়া উন্নয়ন দ্বীপ আরেকটি হলো কমলার দীঘি।দুটি জায়গায় ই অসম্ভব সুন্দর।সমুদ্রের গর্জন না শোনা গেলেও কিন্তু কমলার দীঘি তে চোখ বন্ধ করে নদীর গর্জন শোনা যায়।
অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা।যা মানুষের মনকে একদম আনন্দে ভরে দেয়।কমলার দীঘিতে আমরা বেশ ভালই সময় কাটিয়েছি।নদীতে পা ভিজিয়েছি।ছবি তুলেছি অনেক ভালো সময় কেটেছে।এই ছিলো আমরা লঞ্চ যাত্রার ভয়ংকর আর সাথে সুন্দর কিছু অভিজ্ঞতা।
আপনাদের সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অনেক ভালো লাগছে। আশা করছি আপনাদেরও ভালো লাগবে।ভালো লাগবে অবশ্যই আমার পাশে থাকবেন। ভালো থাকবেন সবাই।
I love to see the light of the sun it is truly amazing for me.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks dear
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
The picture display is quite good and I really like seeing the boats sailing in those waters.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit