হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে বৃক্ষ মেলা থেকে সংগ্রহ করা কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। চমৎকার এই ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
গাছ আমাদের প্রিয় বন্ধু, গাছ আমাদের উপকার ছাড়া কোন ক্ষতি করে না। মানুষ মানুষের ক্ষতি করলেও গাছ সবাইকে প্রাণ ভরে উপহার দেয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে গাছের পরিমান খুবই কম। সুন্দরবনকে বাংলাদেশের ফুসফুস বলা হয়। সেটাতেও গাছের পরিমান দিন দিন কমে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়,বিশ্বের ফুসফুস নামে খ্যাত অ্যামাজন জঙ্গলেও দিন দিন গাছের পরিমান কমতেছে। যেটা বিশ্ববাসী সবার জন্যই একটি খারাপ খবর। মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্রত্রিকা বা ম্যাগাজিনে দেখতে পায় কিছু মানুষ রুপি পশু নিজেদের লোভলালসার জন্য বনকে উজার করছে। যায়হোক আমরা অন্য দেশের চিন্তা না করলেও নিজের দেশের চিন্তা করে,নিজের দেশের পরিবেশের কথা চিন্তা করে আমাদের গাছ লাগাতে হবে। আজকে সেই গাছ বা বৃক্ষ নিয়েই আমার ব্লগ।
বৃক্ষমেলাতে গেছিলাম গত মাসের নয় তারিখে। তখন দেশ মোটামুটি শান্ত ছিল। তেমন কোন ঝামেলা দেখতে পায়নি। ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে আসার পথে বৃক্ষ মেলায় প্রবেশ করেছিলাম। বৃক্ষ মেলায় প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখে প্রাণটা জুড়িয়ে গেলো। এখানে একটি বটগাছের চারা দেখতে পাচ্ছেন। যেটা দেখে আমারে কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ছোট একটি টবের মধ্যে গাছটা খুব সুন্দর ভাবেই গজিয়েছে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন এক দম্পতি গাছের চারা দেখতেছে। তারা গভীর মনযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষন করছে গাছে কোন সমস্যা আছে কি না। বৃক্ষ মেলায় এমন অনেক দম্পতি ও কাপলকে দেখেছি গাছ কিনতে এসেছে। আবার আমার মত অনেক মানুষ আছে যারা ফটোগ্রাফি করছে। তারা যে গাছটা দেখতেছে সেটার নাম কি... সেটার নাম আমি জানি না। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশে সুন্দর্যবর্ধনের জন্য এই গাছটা দেখতে পায়।
আর এখানে দেখতে পাচ্ছেন করচা ফল গাছের চারা। এখানে কয়টা গাছ আছে, সেটা আমার জানা নেই। সম্ভবত বেশ কয়েকটা গাছ হবে। গাছেও প্রচুর করমচা দেখা যাচ্ছে। এটা একটা টক ফল। এটা দিয়ে আমি টক রান্না করেই বেশি অংশ খেয়েছি। করমচার টক খেতে দারুন লাগে। এখানে যে করমচা গুলো দেখা যাচ্ছে এগুলো খাওয়ার উপযুক্ত হয়নি। আরো কিছুদিন পরে সেটা খাওয়া যাবে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন বেশ কয়েকটা পানির পট। এগুলো দিয়ে গাছের মধ্যে পানি দেওয়া হয়। আসলে যারা বাগান করে তাদের অনেক কিছু লাগে। গাছ লাগালেই তো হবে না। গাছের যত্নও নিতে হবে। কথায় আছে দেশ স্বাধীন করার চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষ করা কঠিন। তেমনি গাছ লাগানো সহজ তবে গাছকে পরিচর্যা করে বড় করাই কঠিন কাজ। সে জন্য গাছের পরিচর্যা করার বিভিন্ন জিনিষও বৃক্ষ মেলাতে পাওয়া যায়।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন দুই তিনটি আম। এই আম গুলো চারা গাছের আম। যারা চারা কিনবে, তারা চারার সাথে এই আম গুলো পাবে। অনেক মানুষ রয়েছে যারা ফল দেখে চারা কিনে। আমি বৃক্ষ মেলাতে দেখেছি অনেক চারা গাছের মধ্যেই ফল রয়েছে। আমারও ইচ্ছা ছিল যে কিছু ফল গাছের চারা কিনে বাড়িতে লাগাবো। কিন্তুু সুযোগ হচ্ছে না।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন গাছের আদলে একটি নৌকা। প্রথমে লোহা দিয়ে একটি নৌকা বানানো হয়েছে,পরে সেই নৌকার মধ্যে এক প্রকারের গাছ দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দৃশ্যটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। হয়তো যারা নৌকাকে পছন্দ করে তারাই এটি কিনে নিয়ে যাবে। বাগানে এটি রাখলে দেখতে খুবই সুন্দর লাগবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | বৃক্ষ মেলা থেকে সংগ্রহ করা কিছু আলোকচিত্র ।। |
স্থান | তিতাস নদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া , ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৯/০৭/২০২৪ |
কমিউনিটি | Beauty Of Creativity |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit