আসসালামু আলাইকুম।
সকল স্টিমিয়ান বন্ধুদের জানাচ্ছি অকৃত্রিম ভালোবাসা ও অভিনন্দন। আশাকরি সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।
আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের মাঝে যা ভাগ করে নিতে যাচ্ছি,তা হলো-
ছাদবাগানের টবে লাল পুঁইশাকের চাষাবাদ
তো দেরি না করে আলোচনা শুরু করা যাক-
শাকের মধ্যে পুঁই,
মাছের মধ্যে রুই।
পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন,ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-এ আছে।যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়,হাড় শক্ত করে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করা সহ অনেক কাজ করে।এর তরকারি খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে।
পুঁইশাক দুইপ্রকারের হয়ে থাকে।যথা-সাদা রঙের পুঁইশাক ও লাল রঙের পুঁইশাক। লাল রঙের পুঁইশাক সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে আজকে আলোচনা করবো।
বীজ বপণ
সাধারনত পুঁইশাকের গাছে ফুল ও বীজ হয়।এই বীজগুলো কালো রং ধারন করলে বুঝতে হবে বীজগুলো পরিপক্ব হয়েছে। তখন এই বীজগুলো তুলে ৭/৮ দিন রোদে শুকিয়ে মাটি বা টবে বপণ করতে হবে।
টবের মাটি তৈরি
টবের মাটি একটু ভালোভাবে তৈরি করতে হয়।কারণ টবে সীমিত খাদ্য থাকে।নিম্নলিখিত পরিমান হারে উপাদান গুলো দিয়ে টবের মাটি বা গার্ডেন সয়েল তৈরি করতে হয়।
উপাদান | শতকরা পরিমান |
---|---|
দো'আঁশ মাটি | ৬০% |
একবছর আগের পুরানো গোবর | ৩০% |
অর্গানিক এনপিকে সার ও জৈব সার | ১০% |
উপরোক্ত উপাদানগুলো একত্রে করে ভালোভাবে মিক্সচার করতে হবে।এমনভাবে মিশ্রীত করবো যাতে মাটি বা গোবরের কোন প্রকার বড় বা ছোট টুকরা না, সব গুড়া হয়ে যায়।
এই তৈরি করা মাটি বা গার্ডেন সয়েল টবে এমনভাবে তুলবো যাতে টবের উপরে ১/২ ইঞ্চি ফাঁকা রাখতে হবে টবে পানি দেয়ার জন্য।
টবের মাঝখানের ছিদ্রটিতে ঢেউ খেলানো একটি খোলামকুচি দিতে হবে টবের পানি নিস্বরণের জন্য।
টব নির্বাচন
পুঁইশাকের চাষাবাদের জন্য একটি ২৫/৩০ ইঞ্চি প্লাস্টিক বা সিমেন্টের বা মাটি তৈরি টব মনোনীত করবো।টবটির নিচের দিকে মাঝখানে এক ইঞ্চি গোল একটি ফুটা বা ছিদ্র করতে হবে যাতে টবের পানি নিস্ররণ হয়।
চারা রোপন
পুঁইশাকের বীজ বপণের ৭/৮ দিন পর বীজ থেকে চারা গজিয়ে উঠবে।এর ৫/৬ দিন পর চারাগুলো ৬/৭ ইঞ্চি লম্বা হলে ২/১ চারা ঐ মাটি থেকে তুলে মাটি তৈরি করা টবটিতে রোপন করবো।
যদি শুকনো দিন হয়,তাহলে চারা রোপন করার পর একটু পানি দিতে হবে।
পুঁইশাকের গাছের যত্ন
চারা রোপন করার পরে নিয়মিত টবে পানি দিতে হবে।খুব রোদ হলে ১ দিন পরপর ও স্বাভাবিকভাবে ২/৩ দিন পরপর পানি দিতে হবে।
টবে গাছের গোড়ে আগাছা জন্মিলে তা তুলে দিতে হবে।তাছাড়া গাছের গোড়ের মাটির সবসময় আলগা রাখতে হবে,যাতে বায়ু প্রবেশ করতে পারে।
পুঁইশাকের গাছে তেমন সার প্রয়োগ করতে হয় না।তারপরেও যদি গাছ দুর্বল মনে হয়,তখন বাড়ীতে তৈরি অর্গানিক এনপিকে সার গাছে গোড়ের চারদিকে খুঁড়ে ২৫০/৩০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।
পুঁইশাকে সাধারনত পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়ে থাকে।যদি পাতায় দাগ পোকা আক্রান্ত হওয়া মনে হয়,তখন বাড়ীতে তৈরি অর্গানিক নিম তেল প্রতিলিটার পানিতে ২০/২৫ মিলিলিটার নিম তেল মিশ্রীত করে প্রতি সপ্তাহে একবার করে ৩/৪ বার স্প্রে করলে ভালো হবে।
এভাবে আমরা ছাদবাগানের টবে লাল পুঁইশাকের চাষাবাদ করে প্রচুর পরিমান ফলন ফলাইয়ে পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারি।
ছবির বিবরণ
ছবি সংগ্রহ | মোবাইল ফোন ক্যামেরা |
---|---|
ফোন নাম এবং মডেল | সিম্ফনি আই ১০ |
ক্যামেরা রেজুলেশন | ৮ মেগাপিক্সেল |
অবস্থান | ভেন্ডাবাড়ী, রংপুর, বাংলাদেশ |
what3words Location | https://w3w.co/streetlamp.sitcom.shapely |
ধারণকারি | @lebutechnosteem |
ক্যাটাগরি | চাষাবাদ |