রোজা রাখার উপকারিতা **10% beneficiaries @beautycreativity**

in hive-144064 •  3 years ago 

মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পবিত্র রমজান মাসে মুসলমানেরা রোজা রাখে কিন্তু আপনারা জেনে অবাক হবেন যে এই বিষয় নিয়ে অনেক অনেক ডাক্তার এবং বিজ্ঞানী গবেষণা করেছেন যে রোজার সময় মানুষের শরীরে কি কি ধরনের পরিবর্তন ঘটে ।
আপনি যখন জানতে পারবেন আপনার রোজা রাখার ফলে আপনার শরীরে কি কি ঘটছে এবং আপনার শরীর বিষাক্ত সব উপকরণ বের করে দিচ্ছে তখন আপনি মহান রবের প্রতি শুকরিয়া জানাতে বাধ্য হবেন।

prayer-gc282c8da7_1920.jpg
source
শেষ খাবার খাওয়ার পর ৮ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু মানুষের শরীরে সেই অর্থে উপর কোন প্রভাব পড়ে না।
আমরা যে খাবার খাই পাকস্থলীতে তা পুরোপুরি হজম হতে এবং এর পুষ্টি শোষণ করতে অন্তত ৮ ঘণ্টা সময় নেয় শরীর।
যখন এই খাদ্য পুরোপুরি হজম হয়ে যায় তখন আমাদের শরীর এবং মাংসপেশিতে সঞ্চিত থাকে যে গ্লুকোজ সেটা থেকে শক্তি নেয়ার চেষ্টা করে। শরীর যখন এই চর্বি খরচ করতে শুরু করে তা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

এটি কোলেস্টরেলের মাত্রা কমায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় । তবে যেহেতু রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় , সে কারণে হয়তো কিছুটা দুর্বল এবংঝিমোনির ভাব আসতে পারে ।এ ছাড়া কারো কারো মাথা ব্যথা ,মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব বা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে। এই সময়টাতেই আসলে শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষুধা লাগে।

human-g1124f0937_1920.jpg
source
৩ থেকে ৭ নাম্বার রোজা প্রথম কয়েক দিনের পর আপনার শরীর যখন রোজায় অভ্যস্ত হয়ে উঠছে তখন শরীরের চর্বি গলে গিয়ে তার রক্তের শর্করায় পরিণত হচ্ছে।
কিন্তু রোজার সময় দিনের বেলায় কিছুই খেতে বা পান করতে পারছেন না ,তাই রোজা ভাঙ্গার পর অবশ্যই আপনাকে সেটার ঘাটতি পূরণের জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
vegetable-skewer-g608913860_1920.jpg
source
না হলে আপনি মারাত্মক পানি শূন্যতায় আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে গরমের দিনে যদি শরীরে ঘাম হয়। আর যে খাবার আপনি খাবেন, সেটাতেও যথেষ্ট শক্তিদায়ক খাবার থাকতে হবে।যেমন কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা এবং চর্বি , একটা ভারসাম্যপূর্ণ খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে সব ধরনের পুষ্টি , প্রোটিন, বা আমিষ ,লবণ এবং পানি থাকবে ।

water-3853492_640.jpg
source
৮ থেকে ১৫ নাম্বার রোজা এ পর্যায় এসে আপনি নিশ্চয়ই অনুভব করতে পারছেন যে আপনার শরীর-মন ভালছে, কারণ রোজার সঙ্গে আপনার শরীর মানিয়ে নিতে শুরু করেছে। অনেক ডাক্তার বলেন রোজার অনেক সুফল রয়েছে সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খায় এবং এর ফলে আমাদের শরীর অন্য অনেক কাজ ঠিকমতো করতে পারে না।
কিন্তু রোজার সময় যেহেতু আমরা উপোষ থাকছি তাই শরীর তখন অন্যান্য কাজের দিকে মনোযোগ দিতে পারে না ।

রোজা কিন্তু শরীরের জন্য উপকারী । এটি শরীরের ক্ষত সারিয়ে তোলা বা সংক্রমণ রোধে সাহায্য করতে পারে।১৬ থেকে ৩০ রোজা এ পর্যায় আপনার শরীর কিন্তু পুরোপুরি রোজার সঙ্গে মানিয়ে নেবে ।আপনার শরীরের পাচকতন্ত্র , কিডনি ইত্যাদি এক ধরনের পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাবে ।সেখান থেকে সব দূষিত বস্তু বেরিয়ে আপনার শরীর যেন সুদ্ধ হয়ে উঠবে ।

water-gb40e66919_1280.png
source

এ সময় আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তাদের পূর্ণ ক্ষমতা ফিরে পাবে ,আপনার সৃতির উন্নতি হবে এবং আপনি যেন শরীরে অনেক শক্তি পাবেন। শরীরে শক্তির জন্য আপনাকে আমিষের উপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক হবে না।
যেহেতু রোজার সময় দিনের বেলাতেই আপনাকে না খেয়ে থাকতে হয় তাই আমাদের শরীরের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট খাবার বা পানীয় গ্রহণের সুযোগ থাকছে রোজা ভাঙ্গার পর এটি আমাদের মাংসপেশিকে রক্ষা করছে এবং একই সঙ্গে আমাদের আবার ওজন কমাতে সাহায্য করছে ।

তাহলে রোজা রাখা কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ?

ডাক্তাররা বলেন অবশ্যই রোজা রাখা শরীরের জন্য ভালো কারণ আমরা কি খাই এবংকখন খাই সেটার উপর আমাদের মনোযোগ দিতে সাহায্য করে।
রোজা রাখা অনেক ভালো কিন্তু একটানা রোজা রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেননি তারা কারণ একটা সময় আপনার শরীর চর্বি গলিয়ে শক্তিতে পরিণত করার কাজ বন্ধ করে দেবে ডাক্তারদের পরামর্শ হচ্ছে রমজান মাসের মাঝামাঝি রোজা রাখতে পারেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনি খুবই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সামনে শেয়ার করছেন। আমার পোস্টটি আসলে খুবই ভালো লাগছে আমার। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

রোজা এবাদতই একটি অন্যতম এবাদত মুসলিমএর জন্য এবং এর উপকারিতা অনেক যেগুলো অনেক সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন। আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

খুব সুন্দর একটি পোষ্ট ভাল লাগল

Suppar

Nice