"আসসালামু আলাইকুম "
সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমার username @sajjadbd এবং আমি বাংলাদেশ থেকে ।
শীত মানেই বাহারি পিঠাপুলির আগমন। তবে এই চিতই পিঠা খাওয়া যায় বছরের যে কোনো সময়। পিঠা নামটি শুনলেই শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার জিভে পানি চলে আসে। পিঠা পছন্দ করেন না এমন মানুষের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে গ্রামবাংলায় পিঠার কদর বেশি। শীতকাল এলেই গ্রাম থেকে শহরে চলে হরেক রকমের পিঠা খাওয়ার উৎসব।
এখন বিভিন্ন মহল্লায় পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছেন পিঠা বিক্রেতারা। আর সেই পিঠার স্বাদ নিতে পিঠার দোকানে ভীড় জমান পিঠাপ্রেমিরা। গ্রামবাংলা ছাড়িয়ে এখন পিঠার ঐতিহ্য শহরকেও গ্রাস করেছে। শহরের অলিগলিতে চিতইপিঠার দোকান দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে বেচাকেনাও হয় দেদার। তুলতুলে নরম চিতই পিঠা।
সত্যি আবহমানকাল ধরে দেশের গ্রামগঞ্জের ঘরে-ঘরে পৌষ পার্বণে রকমারি পিঠা তৈরি করার রেওয়াজ চলে আসছে। আগে দাদি-নানি, মা, খালা-ফুপুরা পরম মমতায় তৈরি করতেন বিভিন্ন ধরনের পিঠা। হেমন্ত ঋতুতে ধানকাটা শুরু হয়। নতুন সে ধানের চালে তৈরি হয় পিঠা। এ সময় গ্রামে সন্ধ্যা হলেই পাওয়া যেত চাল কোটার শব্দ। রাতভর চলত পিঠা তৈরি। পিঠা তৈরির অন্যতম প্রধান উপাদান চালের গুঁড়ো হলেও এর সঙ্গে লাগে গুড় ও ক্ষীরসহ নানা উপকরণ। হেমন্ত থেকে শীতকাল পর্যন্ত পিঠা মৌসুম।
এখন যান্ত্রিক জীবন। সবাই ছুটছে। তবুও গ্রামে হয়তো বিশেষ ভাগ্যবান কেউ-কেউ এখনো মা-দাদি-নানীর হাতে পিঠা খেতে পারছেন। আবার অনেকেই আছেন মহল্লার মোড়ে বসা ফুটপাতে বানানো পিঠা খেতে পছন্দ করেন না। যারা ফুটপাতের পিঠা খান না, অথচ খেতে আগ্রহী তাদের জন্য তুলতুলে চিতই পিঠার বানানোর রেসিপি দেয়া হলো। একবার চেষ্টা করেই দেখুন।
চালের গুঁড়া,বেকিং পাউডার, চিনি, লবণ, তেল, পানি পরিমাণমতো।
প্রণালি: সব উপকরণ একসাথে ব্লেন্ড করে গোলা বানিয়ে নিন। গোলা বেশি ঘন অথবা পাতলা হবেনা। ১ ঘন্টা রেখে দিন। এরপর মাটির খোলা অথবা লোহার কড়াই চুলায় গরম নিন।মাটির খোলা ভালোভাবে গরম হলে গোল চামচ দিয়ে ১ চামচ গোলা নিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
২ মিনিট পর পিঠা ভালোভাবে ফুলে উঠলে খুন্তি দিয়ে তুলে নিন।মাটির খোলা টিস্যু দিয়ে পরিষ্কার করে পরবর্তী পিঠার গোলা ঢালুন। রসে ভিজিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি এই পিঠা ভর্তা, মাংসের ঝোল, ঝোলা গুড়ে নারিকেল মিশিয়ে খাওয়া যায়।
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমার নিবন্ধটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলুন।
শুভেচ্ছান্তে,
@sajjadbd
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit