"আসসালামু আলাইকুম "
সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমার username @sajjadbd এবং আমি বাংলাদেশ থেকে ।
বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দৈনিক সমাবেশ কর্মসূচি অবশ্যই পালন করার নির্দেশ রয়েছে।তেমনই, আমারও বিদ্যালয়ে স্কুল চলাকালীন সময় দৈনিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে বিদ্যালয়ে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে এবং বর্ষা মৌসুমে বারান্দায় বা শ্রেণী কক্ষে দৈনিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষক বা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠান পরিচালনা করে।
বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকগণের সমাবেশে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। শিক্ষার্থীরা জাতীয় পতাকাকে সামনে রেখে হাউজ বা শ্ৰেণী অনুযায়ী লাইন ও ফাইলে উচ্চতায় ছোট থেকে বড় সাজিয়ে দাড়াবে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ সকল শিক্ষার্থীদের মুখামুখী হইয়া জাতীয় পতাকাকে সামনে রেখে সমাবেশে দাঁড়াবে।
দৈনিক সমাবেশের ধারাবাহিক কাজগুলো হলো:
১। জাতীয় পতাকা অভিবাদন : বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অভিবাদনের সময় সকলে সোজা অবস্থায় থাকবে। উপস্থিতি সকলে হাত তুলে একসাথে পতাকাকে সম্মান জানাবে।
২। পবিত্র কোনআন থেকে পাঠ: (অন্যান্য ধর্মের শিক্ষার্থীরা থাকলে তাদের ধর্ম গ্রন্থ থেকে ও পাঠ করা যেতে পারে) একজন পাঠ করবে অন্যরা সকলে শ্রবণ করবে। এ সময় সকলে সম্পূর্ণ আরামে প্রার্থনার ভঙ্গিতে দাড়িয়ে থাকবে।
৩। আনুগত্যের শপথ গ্রহণ: এক জন শিক্ষার্থী শপথ বাক্য পাঠ করবে, অন্যরা তার সাথে বলবে। শপথ -এর সময় শিক্ষার্থীদের ডান হাত কাঁধ বরাবর সম্মুখে তুলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে।
শপথ: আমি শপথ করছি যে, মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখব। দেশের প্রতি অনুগত থাকব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখার জন্য সচেষ্ট থাকব। হে প্রভু আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। আমিন।
৪। জাতীয় সংগীত পরিবেশেন: সকলে সমস্বরে তাল ও লয় ঠিক রেখে জাতীয় সংগীত গাইবে। এ সময় সকলে সোজা অবস্থায় দাড়াবে।
৫। পাঁচ মিনিটের জন্য শরীর চর্চা (পিটি): এমন ভাবে পিটি করানো যাবে না যাতে শিক্ষার্থীর হাতে বা জামা কাপড়ে মাটি লাগে।
৬। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলার সাথে নিজ নিজ শ্রেণি কক্ষে গমন করবে।
উল্লেখ্য, দৈনিক সমাবেশে রুটিন অনুযায়ী দেশাত্ত্ববোধক গান শিক্ষার্থীরা গাইবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা দৈনিক সমাবেশের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন রকমের সামাজিক গুণাবলি অর্জন করে। এই সমাবেশের মাধ্যমে শিশুদের দেশাত্ত্ববোধ, ধর্মীয় অনুভূতি, নেতৃত্বদান, শৃঙ্খলাবোধ এবং সুন্দর চরিত্র গঠনে ভূমিকা রয়েছে।
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমার নিবন্ধটি পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলুন।
শুভেচ্ছান্তে,
@sajjadbd
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit