আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রিয় কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আমি আবারও আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হতে চলেছি।আশা করি আমার ব্লগগুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগে। আর আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি বাস্তব ভিত্তিক এবং কর্মমুখী কিছু ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে। ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার প্রতিষ্ঠানের কিছু কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে শেয়ার করব। আজকের লাইফস্টাইল পোস্টটির নাম "নকশি কাঁথা কাটিং এর অভিজ্ঞতা"। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের অভিজ্ঞতায় কি আছে তা দেখে নেওয়া যাক।
আপনারা মোটামুটি সবাই অবগত আছেন যে আমার একটি প্রতিষ্ঠান আছে। যে প্রতিষ্ঠান থেকে হস্তশিল্প ভিত্তিক প্রোডাক্ট উৎপাদন হয় এবং তা দেশ ও দেশের বাহিরের কাস্টমারের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করি। তবে বর্তমানে একটু নকশী কাঁথার প্রতি বেশি জোর দিয়েছি কারণ নকশী কাঁথা দিয়ে বাইরের দেশের কাস্টমারের মন জয় করা যায় খুব সহজেই।
বিভিন্ন ধরনের নকশি কাঁথা তৈরি করে থাকি, তবে মেক্সিমাম নকশী কাঁথা হয়। যেগুলো আমাদের কাস্টমারের কাছে অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন সেগুলো আসলে আমাদের কারু শিল্পীরা করা দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করেন এবং সেগুলো দেখতেও অনেক সুন্দর হয়।বর্তমান সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠানে নকশী কাঁথার প্রতি বেশি জোড় দিয়েছেন এবং নকশী কাঁথা তৈরি করে থাকেন। তবে। তবে আমাদের নকশী কাঁথা গুলো সচরাচর মার্কেট থেকে একটু ব্যতিক্রম এবং ব্যতিক্রম ধর্মী কিছু ডিজাইন দিয়ে তৈরি করা হয়।
আমরা সব সময় চেষ্টা করি কাস্টমার বর্তমান সময়ে কি চাচ্ছে। ঠিক সেই ধরনের ডিজাইন এবং সেই ধরনের সেলাই ও কালার কম্বিনেশন সবকিছু ঠিক রেখে নকশী কাঁথা গুলো তৈরি করার চেষ্টা করি।আর এই নকশী কাঁথা গুলোর সাইজ ঠিক রেখে সুন্দর করে কাটিং করতে হয়।আর সেই কাটিংটি আজকে আমি নিজে হাতে করলাম।জানিনা আমার এই ডিজাইনটি কতটুকু সুন্দর হবে। তবে সচরাচর এই কাটিংগুলো কাটিং মাস্টাররা করে কিন্তু কাজের চাপের কারণে আমি নিজেই কেটে দিলাম। আর বিষয়টি আসলে আমার কাছে একটু নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে তাই বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।কাটিং করতে অনেক ভয় লাগে তবে কাটিংটা যখন সুন্দর হয় তখন নিজেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞ মনে হয় যে আমি এত সুন্দর একটি কাজ করেছি।
যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আবারো নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সে পর্যন্ত আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Every angle of your photography is beautiful and admirable. Every part of this photograph is so beautiful that it is impossible to explain or explain.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit