আসসালামু আলাইকুম।আমার প্রিয় কমিউনিটির ভাই ও বোনেরা আশা করি সকলে শীতের মধ্যে সুস্থ আছেন এবং সুন্দরভাবে সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি।
প্রতিনিয়তই আপনাদের মাঝে নিত্য নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করি।ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প নিয়ে উপস্থিত হতে চলেছি। আশা করি আমার এই গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আজকের এই গল্পটি বাস্তবভিত্তিক এবং বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপেক্ষিতেই লেখা। আমার এই ছোট গল্পের নাম "হামিদের জীবন কাহিনী পর্ব-০১"। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে গল্পে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
জেলা শহরে হামিদ বেশ কিছুদিন ধরে মানুষের টেইলারিংয়ে কারিগর হিসেবে কাজ করে আসছে।টেইলারিং কারিগর হিসেবে হামিদ অনেক ভালো একজন কারিগর এবং অনেক দক্ষ। তার কাজগুলো সব সময় অনেক কোয়ালিটি সম্পূর্ণ এবং কোন ধরনের সমস্যা টেইলার মাস্টার খুজে পেত না। এর জন্য টেইলার মাস্টার এবং মালিক হামিদের সব সময় খোঁজখবর নিত।তার কোন সমস্যা হলো কিনা, তার কোন টাকা পয়সার সমস্যা আছে কিনা।এজন্য অন্যান্য কারিগররা হামিদকে একটু হিংসা করত কারণ অন্যান্যদের চাইতে হামিদকে মালিক এবং টেইলার মাস্টার অনেক বেশি ভালোবাসতো।
একদিন বাড়িতে সমস্যার কারণে হামিদ টেইলার্সে আসতে একটু দেরি হয়েছে।এই বিষয় নিয়ে অন্যান্য কারিগরেরা টেইলার মাস্টারকে বিচার দিল, যে আমরা দেরি করে আসলে তো অনেক বকাবকি করেন, টাকা কাটেন আজকে হামিদ যে দেরি করে আসলো তাহলে ওর কি করলেন। তখন টেইলার মাস্টার কারিগরদের বুঝাইলো যে দেখো ও সব সময় সঠিক সময়ে আসে এবং কাজগুলো সঠিকভাবে করে।আজকে হয়তো বা কোন সমস্যার কারণে দেরি করে এসেছে এর জন্য তো তাকে কিছু বলা যায় না।আর আপনারা তো সব সময়ই দেরি করে আসেন পারলে দেখা যায় যে দুই ঘন্টা পরে আপনারা মেশিনে বসেন এটা তো ঠিক না।তখন কারিগরারা একে অপরের মুখের দিকে তাকাইতে ছিল এবং বলতেছিল যে ওর সম্পর্কে কোন কিছু বলে লাভ নেই কারণ মালিক ওকে অনেক বেশি ভালোবাসে।
এই বিষয়টি নিয়ে কারিগরদের মধ্যে বিদ্রোহ সৃষ্টি হল এবং সবাই হামিদকে একাকি করে ফেলল। অন্যান্য কারিগরেরা হামিদের সঙ্গে আর কথা বলে না বা তার সাথে তেমন হাসা ঠাট্টা কেউ করেনা। আর এ অবস্থায় হামিদ খুব একা হয়ে গেল। দেখা গেল যে সে শুধু টেইলার মাস্টার এবং মালিক যখন তার পাশে আসে তখনই সে কথা বলতে পারে তাছাড়া তার মনের ভাব আর কারো সাথে প্রকাশ করতে পারে না।এটি নিয়ে হামিদ অনেক সমস্যায় পড়ে গেল। সে চিন্তায় পড়ে গেল এবং টেইলার মাস্টার কে বলল আমি এখানে কিভাবে কাজ করব।ওস্তাদ আমার মনে হয় এখানে কাজ করা সম্ভব হবে না আমাকে না হয় আপনারা এখান থেকে বিদায় দেন আমি বাড়িতে গিয়ে অন্যের বাড়িতে দিন মজুরী করে সংসার চালাবো।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1865710378354876853?t=YqkNrtnkj6GrpjHT0UbhAA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit