Rice and our Bangladesh -ধান এবং আমাদের বাংলাদেশের জীবনযাত্রা

in hive-144064 •  4 years ago 

20210414_062049.jpg

rice-ধান

বাংলাদেশের ফসল গুলোর মধ্যে অন্যতম। ধান বাংলাদেশের অন্যতম ফসল। কেননা বাংলাদেশের মানুষ যে সকল সুষ্ঠু ব্যবহার করে তার মধ্যে ধান হলো অন্যতম। ধান দিয়ে চাল তৈরি করা হয় এবং সাল থেকে তৈরি খাবার বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য। বাংলাদেশে এমন কোনো মানুষ নেই যে সে ধান থেকে তৈরি কিত খাদ্য গ্রহণ করে না। সুতরাং ধানকে বাংলাদেশের প্রাণ বলা হয়ে থাকে।বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়া মহাদেশের এবং ইউরোপ মহাদেশের কিছু কিছু দেশে ধানের ব্যাপক চাষ করা হয়ে থাকে। ধান চাষ করে বাংলাদেশ এবং অন্যান্য রাষ্ট্রগুলো প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষমতা অর্জন করে থাকে।প্রকৃতপক্ষে আমাদের বাংলাদেশ এবং অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে যে সকল শস্য চাষ করা হয় সেগুলোর মধ্যে ধানকে প্রাণ বলা হয়ে থাকে। কেননা এই ধান চাষ প্রচুর পরিমাণে অর্থ যোগান দিতে সাহায্য করে

Photo here
20210416_071635.jpg

20210416_071627.jpg

এবারে জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশ থেকে কিছু বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ধানের নাম

বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছে প্রায় 10,000 দেশীয় জাতের ধান।তবে খুব দ্রুত যদি সরকার এবং দেশের কৃষি কর্মকর্তারা এ সকল জাত গুলো পুনরায় ফিরিয়ে আনতে পারে তবে হয়তো'বা দেশের অর্থনীতি আরো অনেক এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।দেশের অর্থনীতিকে অক্ষুন্ন রাখতে আমাদের ঐসকল ধানের জাত গুলো কি পুনরায় বাংলাদেশে আনা প্রয়োজন। নিচে যে সকল ধানের জাত বিলুপ্ত হয়ে গেছে সেগুলো কিছু নাম নিচে দেওয়া হল

গোবিন্দভোগ জামাই ভোগ রূপকথা রাঁধুনি পাগল কিংবা পাঙ্গাশ বিচিত্র সব নাম গুলো এখন বোঝা যায়না যে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বরেন্দ্র এলাকায় এগুলো ছিল একসময় দেশীয় জাতের ধান।এসকল ধানগুলো শুধুমাত্র আমাদের অবহেলা এবং অতিরিক্ত উন্নয়নশীল জাতের আগমনের ফলে সকল ধানগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে আমাদের দেশ থেকে।
আবার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বয়স্ক কৃষকেরা অনেকেই শুধু মনে করতে পারেন যে লক্ষ্মী রানী ঝুমুর বালাম কিংবা ভিডিও রাজা মোড়ল অথবা এ ধরনের অনেক চমকপ্রদ নামের দেশে জাতের ধান ছিল এই অঞ্চলে কিন্তু সেগুলো এখন আর নাই

গত শতাব্দীর শুরুর দিকে প্রায় 18 হাজার ঘাটের দৃশ্য ধানে তথ্য পাওয়া যায়। তবে এখন দেশীয় ধানের 8660 আমাদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এগুলো অনেক আগ থেকেই নিত্যনতুন ভ্যারাইটি উদ্ভাবন করে রাখছিল।

বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন মিনিস্টার কোবির,

এখন বাংলাদেশে পাহাড় থেকে সমতল অঞ্চলের আউশ আমন ও বোরো ধান সব মিলিয়ে প্রায় তিন হাজারের বেশি যাক আবাদ হয়

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ফর 2011 সালে এক জরিপ থেকে জানা যায় যে বাংলাদেশের কমবেশি 8000 জাতের ধান রয়েছে। তবে এসব ধানের মধ্যে সরাসরি দেশীয় জাতের ধান এখন আর নেই বললেই চলে।

বেসরকারি সাংগঠনিক নয়াকৃষি আন্দোলন নামে বাংলাদেশ কৃষি ভিত্তিক একটি কর্মসূচি চালাচ্ছেন বিশ্ব জাকের কৃষিপণ্য কে জনপ্রিয় করতে।তাদের মতে এ দেশে এক সময় বিভিন্ন মৌসুমে প্রায় 15 হাজার জাতের ধান চাষ আবাদ করা হতো। কিন্তু এগুলো এখন প্রায় বিলুপ্ত শেষে।

স্থানীয় জাতের ধানের শীষ সুনাম সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছেন।

20210416_071330.jpg

20210416_071324.jpg

রায়দা, লক্ষীবিলাস ,নোনাকুরি ,জিঙ্গাসা, লাল, লাল টেপা ,জসও স্টিল ,কাপুর তিনি সাগর ,সোনামুখী, কাল মুখি, সূর্যমুখী ,খেজুর, যুক্তি কলস ,কাটি, শিলিগুড়ি, কাটারিভোগ ,রাজধানী ,রাঁধুনি পাগল ,মহিষাদল ,হরিলক্ষ্মী ,শরিফুল ,শরিফুল ,ইসলাম ভিগম ,রাজশাহীর ,মধুমালতী ,যাত্রাপালা ,জল কুমারি, গুপ্তা কা গানা ,মানিক এবং ইত্যাদি আরো অনেক জাতের ধান বিদেশি উল্লেখ করেছেন

কেন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এসব দেশীয় জাতের ধান

সে প্রাচীন আমলের মতো বাংলাদেশে এখনও প্রধান খাদ্য ভাত এবং এ দেশের কৃষকরা বছরে একটি বড় সময় ব্যয় করে থাকেন ধান চাষের ক্ষেত্রে.। তবে আগের মতো নানা জাতের ধান এখন আর হয় না।সংখ্যালঘু বিচারে কয়েক হাজার 852 পাশে কথা বলা হলেও মূলত সামান্য কয়েকটি জাতের ধান ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়ে থাকে আমাদের দেশে। ডঃ মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন, দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে এবং এ কারণে খাদ্য চাহিদা বাড়ছে।অন্যদিকে চাষযোগ্য জমির পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে কমায় অল্প জমিতে ধানের উৎপাদন বাড়াতে হচ্ছে। অথচ দেশীয় জাতের ধানের ফলন কম। এ কারণেই আমরা নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করছি।আর এ ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাচ্ছে আবহাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে অল্প দিনে বেশি ফলন দেয় এমন জাতের ধান কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছিল*

দেশীয় জাতের ধানের ফলন কম হওয়ায় এ কারণে আবহাওয়া এবং বাংলাদেশের জনসংখ্যার কথা চিন্তা করে এই সকল দেশ ও ধান চাষ কম হওয়ার কারণে এগুলো দিনদিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে

20210416_071630.jpg

ধানের জাত উদ্ভাবন ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হলে হয়তো বা সেগুলো আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হতে পারে
  • ফলন বাড়াতে হবে আগের রাতে শুয়ে ফলন বেশি হতে হবে
  • সময় কম লাগাতে হবে অর্থাৎ কম সময়ে বেশি ফলন উৎপাদন করতে না পারলে হয়তো বা দেশের খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না। সুতরাং খুব অল্প সময়ে বেশি ফলনশীল ধান উদ্ভাবন করতে হবে
  • খরা, বন্যা ,লবণাক্ততা ,উষ্ণতা ,চাপ সহ্য করা ছাড়াই রোগ বালাই এবং পোকামাকড় মোকাবেলা করে যেগুলো ভালো না কল দিবে সে সকল ধানগুলো চাষ করতে হবে।
  • কোয়ালিটি হতে হবে অবশ্যই প্রিমিয়াম কোয়ালিটি। কেননা এখন আর আগের মত মানুষের অভাব অনটন লেগে থাকে না সংসারে। সবাই একটু ভাল খাওয়ার চেষ্টা করে। ওকথা ভেবে অবশ্যই আমাদেরকে ভালো মানের ধান উদ্ভাবন করতে হবে এবং বেশি ফলনশীল ধান উৎপাদনের আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে হবে।

20210416_071239.jpg

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জানান, ধানের কোন একটি জাত নতুন উদ্ভাবন করার আগে বিষয়ক গবেষণা করা হয়।আরে ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয় এই বিষয়গুলোর উপর কোন এলাকার জন্য একটি করা হয়েছে সেই এলাকার মানুষের খাদ্যাভ্যাস কি বাজার প্রস্তুতি কেমন কৃষিকে কিভাবে বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন করা যায় ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে।

তিনি অবশ্য বলেন নাটোর যশোর রাজশাহীসহ কিছু এলাকায় অনেকেই ব্যক্তি উদ্যোগে দেশীয় জাতের ধান সংরক্ষণ করেছেন এবং অন্যদের দিচ্ছেন এগুলো প্রসারের জন্য।

বাংলাদেশের বেশ কিছু জনপ্রিয় ধান

20210416_071245.jpg

20210416_071239.jpg

কৃষি বিজ্ঞানীরা জানান আউশ আমন ও বোরো পত্রিকার বিশেষ কিছু কারণে কৃষকদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়।

যেমন আমন সৃজনী ব্রি ধান 87। যেটি রোপা আমন হিসেবে পরিচিত। এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখা যাচ্ছে এখন। এইখান থেকে পাওয়া যায় সাদা রঙের লম্বা ও শিখন আকৃতির চাল।
20210414_062021.jpg

বাংলাদেশের উচ্চ ফলনশীল ধানের মধ্যে অন্যতম জাত এবং বড় আমল উল্লেখযোগ্য 127 দিনের মতো সময় লাগে ধান কাটার সময় পর্যন্ত পৌঁছাতে। তাছাড়াও খরাসহিষ্ণু রোপা আমন ব্রি ধান 71 জার্নাল হয় লম্বা ও মোটা সাদা রঙের।উচ্চ ফলনশীল রোপা আমন ব্রি ধান 74 সাল হয় মাঝারি মোটা ও সাদা রঙের এবং ও লবণাক্ততা জোয়ার-ভাটা সৃষ্টির রোপা আমন ধানের জাতের ধান বেশ জনপ্রিয়।
20210414_062011.jpg

আবার

বোরো মৌসুমে একসময় কিশোরদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান 81 অভিধান 29। যার চাল মাঝারি কোন সাদা।কিন্তু এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্রি ধান 96 হিসেবে পরিস্থিতি উচ্চ ফলনশীল বড় মাঝারি ধরনের খাটো ও সোনালী রঙের।

কিন্তু আগের রাতের চেয়ে নতুন এই উন্নত জাতি ফলন হয় একই সময়ে ডেট থেকে 200 বেশি হয় সুতরাং আউর জাতের ধানের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল ভি 48। যার সাল মাঝারি মোটা আর ভাত হয় ঝরঝরে।

জিংক প্রোটিন ও ডায়াবেটিসসহ নানা বৈশিষ্ট্যের জাতের ধান

20210414_062056.jpg

ধান গবেষণা বলছেন,এমন কিছু ধানের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে যেগুলো জিংক ও প্রোটিনসমৃদ্ধ।আবার ডায়াবেটিকস আক্রান্ত রোগীদের জন্য ধানের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে,কাদের জন্য মহাপরিচালক জানান সহায়ক চাল পাওয়া যাবে এমন ধরনের ধান এসে গেছে কিশোরদের কাছে

যেমন জিংক সমৃদ্ধ বড় ব্রি ধান 84। এই ধান থেকে পাওয়া সালের রং লালচে ও সালের আকামাধারী কোন রং এবং সাদা।গত মাসের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বলেছেন রাজধানী উচ্চমাত্রায় জিংক এবং আয়রন প্রোটিন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি মহা পরিচালক জানিয়েছেন এ পর্যন্ত পাঁচটি জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষ উদ্ভাবন করা হয়েছে। তবে এ সকল ধান কাজ করতে একটু ভোগান্তি হতে পারে এবং আবহাওয়া বৈরী হলে কিছু সংকট দেখা দিতে পারেন*

ধান কেন জনপ্রিয় ফসল

20210416_071635.jpg

**ধান বাংলাদেশের জাতীয় ফসল হিসেবে পরিচিত। আমরা বাঙালি জাতি। আর একটি প্রবাদ আছে যে মাছে ভাতে বাঙালি। সুতরাং বাঙালির ভাত ছাড়া যেন একটি সন্ধ্যা পার করা সম্ভব নয়। আমরা যেখানে যা কিছুই খায় না কেন ভাতের বিকল্প কিছু হতে পারে না। মাছ আর ভাত কিংবা সেখানে শাকসবজি হোক আর যাই হোক ভাত আমাদের থাকতেই হবে।কিছু কিছু বিপরীত সমস্যার কারণে হয়তোবা কোন কোন মানুষ দুই বেলা ভাত খাই এবং এক বেলা রুটি কিংবা অন্যান্য খাদ্য খেয়ে বেঁচে থাকে।তবে আর যাই হোক মূল কথা হচ্ছে ভাত বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য তাই ধানকে বাংলাদেশ খুব বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য হিসেবে পরিচিত। কেননা বাঙালি জাতি মাছে ভাতে বাঙালি।বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ যেখানে প্রচুর পরিমাণে মাছ আহরণ করা যায় এবং সবুজ শ্যামল এই বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে ধান চাষ করা হয়।আর যেখানে মাস এবং ভাত বাঙালির প্রধান খাদ্য সেখানেতো ধান চাষ কে জাতীয় দল হিসেবে প্রাধান্য দেওয়া যায়।

সুতরাং এই কারণে ধানকে বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচিত করা হয় এবং প্রধান ফসল হিসেবে।

ধান চাষ পদ্ধতি

প্রথম পর্যায়ে,

ধান চাষ করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের ভালো বীজ সংরক্ষণ করতে হবে।কেননা ভালবেসে আমরা ফোন করতে না পারলে সেখান থেকে ভালো মানের সারা উঠানো সম্ভব নয় এবং ভালো মানের বীজ যদি আমরা সংরক্ষণ করতে না পারি তবে সেখান থেকে কখনোই ভালো মানের ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। সুতরাং আমাদের সর্বপ্রথম ভালো মানের বীজ বপন করতে হবে।প্রথমে একটি সুন্দর বীজতলা তৈরি করে নিতে হবে এবং সেখানে উচ্চ ফলনশীল এবং ভালো মানের সবল ধানের বীজ রোপণ করতে হবে।রোপণের পর সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউরিয়া ও পটাশিয়াম এবং ফসফরাস যুক্ত সার রোপণ করতে হবে এবং এক থেকে দেড় মাস পর যখন ধান থেকে অঙ্কুরোদগম যাবে তখন সেখান থেকে পর্যাপ্ত ছোট ছোট বীজগুলো বীজ তলা থেকে সংরক্ষণ করতে হবে।

####### প্রথম পর্যায়ের কাজ এ পর্যন্তই শেষ

দ্বিতীয় পর্যায়ে সে পুনরায় লাঙ্গল দিয়ে জমি তৈরি করে নিতে হবে।ভালো ভাবে জমি তৈরি করা হলে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার প্রয়োগ করতে হবে এবং জমি পানি দিয়ে মাড়াই করে নিতে হবে।এবং সেখানে কিসের নতুন উদ্ভাবন অনুযায়ী 24 ঘন্টা জলের মধ্যে ধান রেখে দিতে হবে ফলে যথেষ্ট সময় জল ও বাঁচানো যায় এরপর জমিতে বীজ বপনের সময় একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।তারপর দ্বিতীয়তঃ ধানগুলো এক থেকে দেড় সেন্টিমিটার দূরে দূরে মাঠের ভিতরে গেঁথে দিতে হবে।

তৃতীয় পর্যায়

ধান খেতে দেওয়ার শেষ হলে দুই থেকে তিনদিন পর জমিতে হালকা পরিমাণে পানি দিতে হবে। প্রয়োজন হলে সবুজ করার জন্য পটাশিয়াম দিতে পারেন।তার বেশ কিছুদিন পর যখন ধানগুলো সবুজ বর্ণ ধারণ করবে তখন জমি পুনরায় আগাছা মুক্ত করে পুনরায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কৃষি কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী যদি প্রয়োজন হয় তাহলে সার প্রয়োগ করতে হবে।প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের কাজ যখন শেষ তখন আমাদের এবার ধান ফোর আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

চতুর্থ পর্যায়

এক থেকে দেড় মাস পর যখন ভানে ফর চলে আসবে তখন জমিতে বেশকিছু ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক পতঙ্গ জমিতে এবং ধানের পাতায় লক্ষ্য করা যেতে পারে।সুতরাং এক্ষেত্রে অবশ্যই কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে নিয়ে ছত্রাকনাশক এবং ব্যাকটেরিয়া নাশক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।আর লক্ষ রাখতে হবে যাতে ধানের গাছের এবং ঠোট ধানের শীষ বের হওয়ার স্থানে যাতে কোন ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ না করে।

পঞ্চম পর্যায়

এই পর্যায়ে এসে আমাদের একটু খুব বেশি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা এই পর্যায়ে এসে ইঁদুর সহ বিভিন্ন পোকামাকড় আপনার জমিতে আক্রমণ করতে পারে।সুতরাং পোকা মাকর হাট থেকে আপনার জমিকে রক্ষা করতে হবে এবং ডায়ান শেষ বড় না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে খেয়াল রাখতে হবে।

ষষ্ঠ পর্যায়

ধান যখন পরিপক্কতা অর্জন করবে এবং ধানগুলো যখন পাকা শুরু করবে তখন সময় হয়ে যায় আমাদের ধান ঘরে তোলার।সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ে কৃষক মজুর করে রাখতে হবে এবং প্রাকৃতিক আবহাওয়া যাতে আমাদের ক্ষতি করতে না পারে সে ক্ষেত্রে আবহাওয়া অফিসের সাথে সারাক্ষণ যোগাযোগ রাখতে হবে।

সপ্তম পর্যায়ে

ধান কাটার সময় হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে কৃষক নিয়ে খুব দ্রুত ধান কেটে নিতে হবে। কেননা আবহাওয়ার কথা তো আর বলা যায় না। যখন-তখন প্রাকৃতিক দুর্যোগে নাচ করে দিতে পারে আপনার সোনার ফসল ধান।সুতরাং এক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে এবং খুব দ্রুত ধান ঘরে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে কৃষক সংগ্রহ করে ধান কেটে আপনার জমিতে নিয়ে আসতে হবে

অষ্টম পর্যায়ে

অষ্টম পর্বের যদি আমরা লক্ষ্য করি তাহলে আমাদের অবশ্যই ধান কাটার পরে মাড়াই এর কাজ কি চলে আসে।পাকা ধান খুব দ্রুত মাড়াই করতে হবে এবং সেগুলো কে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।শুকিয়ে নেওয়ার পর ধান থেকে অপ্রয়োজনীয় চিটা গুলো বের করে দিতে হবে।এবং পরিশেষে আপনি আপনার ধানগুলো শুকানো হলে বস্তায় ভরে আপনার ঘরে যেখানে ইন্দুর কিংবা অন্যান্য তেলাপোকা মুক্ত এলাকায় সংরক্ষণ করতে পারেন।

নবপর্যায়

নবপর্যায় বলতে গেলে আমাদের ধান সিদ্ধ করা থেকে শুরু করে চাল তৈরি করা পর্যন্ত সময়টা নির্ধারণ করা হয়েছে।এবার আপনার শুকনো ধানগুলো প্রয়োজন মত বের করে কোন বড় পাতিলে করে পর্যাপ্ত পরিমাণে সেদ্ধ করে নিতে হবে।সেদ্ধ করে ধানগুলো এবার পুনরায় রোদে শুকাতে হবে এবং মাড়াই করে অপ্রয়োজনীয়' ময়লা গুলো কিংবা ধানের গুড়া গুলো আলাদা করতে হবে।সর্বপ্রথম ধান মাড়াই মেশিনের ধানগুলো থেকে আপনি পেয়ে যাবেন সঠিক সুন্দর এবং চকচকে চাউল।

দশম পর্যায়

অনেকেই হয়তো বুঝে গেছেন যে দশম পর্যায়ে এখন কি করতে হবে।দশম পর্যায়ে এসে শুধুমাত্র আপনার ধানের গুড়া গুলো এবং সাল গুলো আলাদা করে নিতে হবে এবং সে সালগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে এবং আপনি চুলার ওপর দিয়ে রান্না করলেই আপনি পেয়ে যাবেন সুন্দর এবং সুস্বাদু ভাত। যেটা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।

আর এভাবেই একটি ধান থেকে ধানের ফলন ফলানো মাড়াই এবং অন্যান্য সকল কার্যক্রম পেরিয়ে চাল তৈরি করা হয়. যা আমাদের প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে কে/এবং যেটা ছাড়া আমরা কখনই চলতে পারে না এবং আমাদের জীবন যাপন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি না।

ভাত মানুষের প্রধান খাদ্য।

কিন্তু একটি ভাত তৈরি করতে কত মানুষের পরিশ্রম এবং কত কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম জুড়ে আছে হয়তো আমরা কেউ তা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারিনা। আমরা হয়তোবা অনেকেই চাকরি করি এবং অনেক বড় বড় বিজনেস করে থাকি। দোকানে গিয়ে খুব সহজে আমরা এষার আমাদের অর্থ থেকে ব্যয় করে চাল সংরক্ষণ করতে পারি অনেক।কিন্তু এ সকল চাল তৈরি করতে একজন কৃষকের কত মেহনত করতে হয় আমরা হয়তো বা কেউ কোন সময় উপলব্ধি করি না।সুতরাং আমাদের বিশাল খরচের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিমিত ব্যবহার করতে হবে এবং অপব্যবহার থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

কেননা আমরা যে আলসার অপচয় করেছি হয়তো এটা কোন একজন মানুষের আমরা রিজিক নষ্ট করলাম।সুতরাং আমাদের অবশ্যই পরিমিত আকারে সবকিছুই ব্যবহার করতে হবে এবং কোন জিনিসই আমাদের অযথা নষ্ট করা উচিত নয়

কেননা প্রতিটি জিনিসই অমূল্য

উপদেশ

**ভাই আমি ছোট মানুষ উপদেশ দেওয়ার মতো কিছুই নাই।তবে এতটুকু বলতে চাই ফসল উৎপাদন করতে কৃষকের প্রচুর নিয়োগ করতে হয় এবং অনেক কষ্ট সহ্য করে ফসল ফলাতে হয়। সুতরাং আমাদের সকল কৃষকদের সম্মান করা উচিত এবং তাদের শ্রম এর যথার্থ মর্যাদা দেওয়া উচিত।কেননা তারা যদি বিশেষ করে কৃষকরা যদি ফসল উৎপাদন না করতো তাহলে হয়তোবা আমরা খাবার খেতে পারতাম না এবং আমাদের নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারতাম না।সুতরাং আমাদের অবশ্যই সকলের উচিত সকল কৃষক ভাইদের যথেষ্ট পরিমাণে সম্মান করা এবং কোন প্রকার খাদ্য নষ্ট না করে সঠিক খাদ্যের ব্যবহার করা এবং অপচয় রোধ করা। আর এটুকুই হলো আমার সকলের কাছে উপদেশ আদেশ এবং অনুরোধ।

ছবি সংগ্রহক্যামেরায় ছিলেনলোকেশনছবির ধরন
পাশের ধানের জমি থেকে@screenshot-boostসবুজ শ্যামল বাংলাদেশধান এবং আমাদের প্রকৃতি

20210414_062037.jpg

####এটা আমার অরিজিনাল কন্টেন। আমি সর্বপ্রথম #beautyofcreativity মডেরেটর এবং সকল এডমিন ম্যানেজারদের ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার লেভেল আপ করার জন্য এবং আমাকে এই কমিটির একজন সদস্য হিসেবে গ্রহণ করার জন্য।@blacks @photoman @curators @seo-boss @trafalgar @booming01 @booming02 @booming03 @booming04 @booming @steemingcurators @steemitcurator01 @steemitcurator07 @steemitcurator04 @upvu and all others.

Best regards,

@screenshot-boost

Steem on ,,

#bangladesh

thanks for reading

See uou

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!