ডাব আমাদের জীবন প্রশান্তি দায়ক :
এনজা্ এটি সম্পূর্ণরূপে একটি প্রাকৃতিক পানীয়। এতে কোনো কৃত্রিম রং, প্রিজারভেটিভ, ফ্লেভার—এর কিছুই থাকে না। তাই বাজারে যত কৃত্রিম পানীয় আছে, তার তুলনায় ডাবের পানি সেরা। মাটির গুণাগুণের ওপর ভিত্তি করে ডাবের পানির স্বাদ বিভিন্ন রকমের হয়। ভারতের ডাবের পানি যেমন বেশ মিষ্টি হয়, তেমনি বাংলাদেশের ডাবের পানি বেশ মিষ্টি ও হালকা নোনতা স্বাদের হয়ে থাকে। এমন কি কোনো কোনো দেশের ডাবের পানি পানসে হয়।
[source](Image by allPhoto Bangkok from Pixabay)
ডাবের অবদানঃ
গরমের দাবদাহে পিপাসা আর খরতর প্রকৃতির অবস্থা । মানুষ সারাদিন ব্যস্ততারা মাঝে
পথ চলতে শরীরে ঘামের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পানি বেরিয়ে যায়। যা মানুষের শরীর নিস্তেজ হয়ে আসে। প্রখর গরমে মানুষের শরীরি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তথন একটু মানুষ প্রশান্তি দেওয়ার জন্য ঠান্ডা শীতল পানির খোঁজে ছুটাছুটি করে। এমন অবস্থায় স্বস্তি এনে দিতে পারে ডাবের পানির কোন বিকপ্ল নাই।ডাব আমাদের দেশী ফল । কারণ প্রচুর পরিমান আমাদের দেহে শুধু ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে এমনটা নয়, রোগ প্রতি রোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় গরমে এখনো সবার আগে বেছে নিই ডাবের পানিই।আমাদেদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা সহ ডাবের পানিতে আছে আরো অনেক গুণ।ডাবের পানি অত্যন্ত উপকারী ও জনপ্রিয় একটি পানীয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর এ পানীয়। ১০০ মিলি ডাবের পানিতে থাকে ১৮ ক্যালরি, ৪ মিলিগ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ২০৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২.৬ মিলিগ্রাম সুগার, ২.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৩ মিলিগ্রাম আয়রন ও ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম। ডাবের পানি খাওয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা । কারণ, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শুধু গরমকাল নয়, সারা বছর যদি নিয়ম করে ডাবের পানি খাওয়া যায়, তাহলে একাধিক রোগ শরীরের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, ডাবের পানি উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, মেঙ্গানিজ এবং জিঙ্ক বিভিন্ন ভাবে শরীরে গঠনে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
[source](Image by bipin ladani from Pixabay)
ডাবের বৈশিষ্ট্যঃ
ডাব একটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ফল
এটি একটি বিশুদ্ধ তরল পর্
মিষ্টি ও হালকা নোনতা স্বাদে ভরপুর
[source](Image by Vijaya narasimha from Pixabay)
ডাবের পানির উপকারিতা :
ডাবের পানি তাৎক্ষণিকভাবে শরীরে প্রশান্তি দেয়। শরীরে পানির অভাব পূরণ করতে ও খনিজ পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।
আমাদের দেহে কিছু ফ্রি-র্যাডিক্যাল থাকে, যা বিভিন্ন কোষকে ধ্বংস করে। ডাবের পানিতে যে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে, তা এই কোষ ধ্বংসকে প্রতিরোধ করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডাবের পানিতে যথেষ্ট পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়, যা ইনসুলিনেরর কার্যকারিতা বাড়ায়। ফলে এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা ডাবের পানি খেতে পারবেন।
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, ডাবের পানি কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ডাবের পানি কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
ডাবের পানিতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ কমাতে ও স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ডাবের পানি খেতে পারবেন।
ডাবের পানিতে অ্যান্টি-থ্রমবোটিক কার্যকারিতা থাকায় এটি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে।
ডাবের পানিতে প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে, যা পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা, যেমন ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে।
অন্যান্য ফলের রসের তুলনায় ডাবের পানিতে কম ক্যালরি ও কম সুগার থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য যাঁরা ডায়েট করছেন, তাঁরা ডাবের পানি খেতে পারবেন।
ডাবের পানিতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম ঠিক রাখে এবং হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ডাবের পানিতে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল কার্যকারিতা থাকায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
ডাবের পানিতে অ্যান্টি-এজিং প্রপার্টিস থাকে। ফলে ত্বকের দাগ ও বলিরেখা দূর করে এবং ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য সমস্যায় ডাবের পানির ব্যবহার বেশ প্রচলিত। ডাবের পানিতে আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। এছাড়া ডাবের পানি ত্বকের অতিরিক্ত তেলকে দূর করতে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে।
. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে ডাবের পানি অনেক বেশি কার্যকরী। এতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি যা ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
হাড়কে মজবুত রাখার জন্য দরকার ক্যালসিয়াম সহ আরো অনেক পুষ্টিগুণ। ডাবের পানিতে যে ক্যালসিয়াম আছে তা হাড়ের জন্য একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। এবং আছে ম্যাগনেসিয়াম, যা হাড়কে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
যাদের অ্যাকনের সমস্যা রয়েছে, তারা ডাবের পানি তুলায় ভিজিয়ে ত্বকের উপর লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত বা শুষ্ক যে কোনো ত্বকেই ব্যবহার করতে পারেন এই পানি। ডাবের পানি খেলে মুখের ত্বক আদ্র হয়। পাশপাশি বেশ তরতাজাও দেখায়। তাছাড়া ডাবের শাঁসে যে ক্যালরি রয়েছে তা কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং চেহারায় বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
অতিরিক্ত গরমের ফলে শরীরে ঘামের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পানি বেরিয়ে যায়। আবার কখনও গরমে বমির ফলেও শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। ডাবে আছে কার্বোহাইড্রেড যা শক্তি বাড়ায়। এবং শরীরে পানি শূন্যতা পূরণ করে।
ডাবের পানিতে যে প্রাকৃতিক শর্করা ও মিনারেল রয়েছে তা শরীরকে শীতল ও আর্দ্র রাখে। এজন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যোদ্ধাদের স্যালাইনের বিকল্প হিসেবে ডাবের পানি দেওয়া হতো। এর ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ফাইবার কর্মশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
[source](Image by 200 Degrees from Pixabay)
সতর্কতা:
কিডনি রোগী এবং যাঁদের রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি, তাঁরা সপ্তাহে তিন দিন এক গ্লাস করে ডাবের পানি খেতে পারেন। তবে যেদিন
ডাবের পানি খাওয়া হবে, সেদিন পটাশিয়াম আছে, এমন অন্য ফল কম পরিমাণে খাওয়া ভালো।
এই গরমে একজন সুস্থ ব্যক্তি নিয়মিত এক গ্লাস ডাবের পানি পান করতে পারেন, যা তাঁকে সুস্থ ও সতেজ থাকতে সাহায্য করবে।
যাদের জন্য ডাবের পানি মারাক্ত ক্ষতি করে থাকে:
আমাদের শরীরে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের প্রয়োজন হলে এবং নানা ধরণের অসুখে চিকিৎসকগণ ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দিয়ে
থাকেন। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের পানি ও খনিজ পদার্থের অভাব হলে এই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করতে পারে ডাবের পানি। তবে
উপকারের পাশাপাশি ডাবে অনেক ক্ষতিকর দিক রয়েছে যা আমাদের জেনে রাখা জরুরী।
কিডনি রোগীদের ডাবের পানি পান করা ঠিক নয়ঃ
কিডনি অকার্যকর হলে অতিরিক্ত পটাশিয়াম শরীর থেকে বের হয় না। তাই দেহে থাকা পটাশিয়াম ও ডাবের পানির পটাশিয়াম একত্র হয়ে
কিডনি অকার্যকর করে দেয়। এজন্য কিডনি রোগ হলে ডাব এড়িয়ে চলুন।
আপনার ওজন কমাতে প্রয়োজনঃ
ডাবের পানিতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকায় ওজন বেড়ে যায়। তাই যারা ওজন কমাতে চান তারা ডাব থেকে বিরত থাকতে হবে।
যারা ডায়বেটিস ভুগছেনঃ
ডাবের পানিতে চিনির পরিমাণ কম থাকলেও কার্বহাইড্রেট ও ক্যালোরি অধিক মাত্রায় থাকার কারণে রক্তে শর্করা বেড়ে যায়। তাই
ডায়বেটিস থাকলে ডাব খাওয়া যাবে না।
আপনার রক্তচাপ থাকলেঃ
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকায় রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ডাব এড়িয়ে চলা উচিত।
পুষ্টি উপাদান কমে যায়ঃ
অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করলে প্রসাবের সাথে শরীর থেকে পুষ্টিকর উপাদান বের হয়ে যায়। যার ফলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা
তৈরি হয়।
এলার্জি হতে পারেঃ
ডাব খেলে অনেকের শরীরের র্যাশ হয়, হাঁচি আসে, ত্বক লাল হয় ও চোখে পানি আসে। যাদের এ ধরণের এলার্জিক সমস্যা হয় তারা ডাব
এড়িয়ে চলা উত্তম।
পরিশেষে সবার জীবনে সুখী-সমবৃদ্ধ তে ভরপূর থাকে । এ কামনায় স্টিমিটের সকলকে জানায় আন্তরিক ধন্যবাদ।
আল্লাহ হাফেজ
মোঃ শাহীন রেজা
This is my Achievment varified links:
Achievment-1 varified link:https://steemit.com/hive-172186/@shahinreza/achievment-1-my-frist-post-shahinreza
Achievment-2 varified link:https://steemit.com/hive-172186/@shahinreza/achievement-02-about-basic-security-on-steemit-shahinreza
You are not following the rule of the beneficiary.
Set 10% beneficiary to the community account @beautycreativity.
Read more about setting beneficiary here
Join us on Discord
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit