Made by canva
What do you understand by the phrase "Say No to Drugs!". Why it is important?.
Made by canva
মাদক কে না বলাটা খুবই জরুরী।কারন মাদক একজন মানুষের ব্যাক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে একটি পরিবার ও সমাজ সহ গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সামাজিক মূল্যবোধ ও মানুষের নৈতিকতা ধ্বংস করে দেয় মাদক।
তাই মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে হবে। মাদকসেবীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে মাদক উৎপাদন ও ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় আনা জরুরী।একজন মাদক সেবী তার নিজের মাদকের টাকা ব্যবস্থা করার জন্যে সকল ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ ও অনৈতিকতার আশ্রয় নেয়। তাই মাদক কে না বলাটা বর্তমান সময়ে খুবই জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে।
What are the main causes of the drug addiction? And tell me about a severe case of drug addiction which lead to serious results in the end.
একজন মানুষের মাদকাসক্ত হওয়ার অনেকগুলো কারন আছে। এর মধ্যে আমি সর্ব প্রথমে স্থান দিতে চাই অল্প বয়সের কৌতুহল। অল্প বয়সের কৌতুহলকে কাজে লাগিয়ে অনেক মাদক ব্যবসায়ী তাদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলছে। হিসাব করে দেখা গেছে। বেশিরভাগ মাদক সেবী হয় তরুন বা অপ্রাপ্তবয়স্ক থেকে মাদক সেবন শুরু করে।
কারন তারা জানে না তারা কিসের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাদের পরিবারের অগোচরে খারাপ সঙ্গে পড়ে তারা কৌতুহল বসত মাদক গ্রহন শুরু করে এবং পরে তাতে আসক্ত হয়ে পড়ে।মাদকের নেশায় অনেক কিশোর অপরাধ হয়ে থাকে সারা পৃথিবীতে। এটা একটা গুরুত্বপূর্ন কারন। কিশোর বয়সের কৌতুহল ও খারাপ সঙ্গ এদুটোর মিলন খুবই খারাপ ফল বয়ে আনে।
আর আমার কাছে মাদকাসক্তের অন্যতম আরেকটি কারন হচ্ছে হতাশা। মানুষ হতাশাগ্রস্থ হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে । পৃথিবীতে এখন দম্ভ দেখানো লোকের পরিমান বেড়ে গেছে। এই কাজটা তার চারপাশের মানুষের মাঝে হতাশার সৃষ্টি করে এবং হতাশা থেকে মুক্তি পেতেই মানুষ মাদকের স্বরনাপন্ন হচ্ছে।
মাদকের পরিনতি মৃত্যু। সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে আত্বহত্যা হোক বা ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়ে হোক, কিংবা একই ইনজেকশনের সূচ কয়েকজন ব্যবহার করে এইচ আই ভি হয়ে মৃত্যু হোক। মাদকের অতিরিক্ত মাত্রাতেই মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। তাই ফলাফল একটাই মাদকের। তা হলো মৃত্যু।
What are the best ways to control the wide spread of the drug addiction? Give some suggestions.
মাদক এমন একটি বিষাক্ত অভ্যাস যা মানুষ সহজে ছাড়তে পাড়ে না। একজন সিগারেট সেবনকারী তার জীবনে যতোবার সিগারেট ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করে ততোবার বোধকরি সে প্রার্থনাও করে না। আসলে মাদকের আসক্ত হওয়া যতো সহজ তা থেকে মুক্তি পাওয়া ততোটাই কঠিন। আমার কাছে কিছু পরামর্শ আছে যে সব চিন্তাধারা আমার একান্ত নিজস্ব।
১.পারিবারিক শিক্ষা- সন্তানকে ছোট বেলা থেকেই সঠিক পারিবারিক শিক্ষা দেয়া হলে সে মাদকের প্রতি কম আসক্ত হতে পারে এবং পরিবারের বন্ধন ঠিক থাকলে তার মাদকের প্রয়োজন হবেনা।
২.সামাজিকসচেতনতা: সমাজ যদি সচেতন হয় এবং পরস্পর পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় তবে মাদক কে না বলা সহজ হয়।
৩.রাষ্ট্রীয়পদক্ষেপ: রাষ্ট্রের লক্ষ্য যদি থাকে মাদকব্যবসাকে নির্মূল করা তবেই মাদক এর বিস্তার কমবে।
৪.নৈতিকমূল্যবোধ: শিক্ষা ব্যবস্থাতে যদি নৈতিক মূল্যবোধ সঠিক ভাবে প্রয়োগমূলক ভাবে শেখানো হয় তবেও মাদককের বিস্তার কমবে
৫. ধর্মীয়অনুশাসন: ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে কখনোই মাদকের বিস্তার বাড়বে না বরং কমবে
৬. সীমান্তে সুরক্ষা: মাদক একদেশ থেকে অন্যদেশে সীমান্ত দিয়েই প্রবেশ করে তাই ওই সকল সীমান্তেও কড়া নজর রাখতে হবে সরকারকে
৭. প্রচারনা: টেলিভিশন,ইন্টারনেট,রেডিও তে মাদক বিরোধী স্লোগান বা মাদক কে না বলুন এই ধরনের বিজ্ঞাপন আকর্ষনীয় ভাবে দেখাতে হবে যাতে জনমত তৈরি হয়।
৮. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কড়া নজরদাড়ি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনুপ্রেরনাদানকারী মাদকের প্রচ্ছন্ন প্রচারনা চালাতে পারে এই বিষয়ে কড়া নজরদাড়ি রাখতে হবে
৯. সংবাদ পত্র ও সমাবেশ : মাদকের কুফল নিয়ে নিয়মিত সংবাদপত্রে প্রকাশনা করলে ও সভা সমাবেশ করলে মাদকের বিস্তার কমহবে বলে আমি বিনাবাক্য করি।
১০. মাদকসেবনকারীদের পূনর্বাসন কেন্দ্র: এই সকল প্রতিষ্ঠান বাড়িয়ে সঠিক চিকিৎসা করে মাদক এর বিস্তার রোধ করা যায়।
দিন শেষে আমি মাদককে ঘৃনা করি তবে মাদকাসক্ত আমাদের সমাজেরই অংশ, তাদের প্রতি সহানুভূতি রেখে। তাদের চিকিৎসা করে তাদের বুঝিয়ে ভালোবাসা দিয়ে ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থেকে মাদককে না বলা ও এর বিস্তার কমানো সম্ভব।
ধন্যবাদ @steemdoctor1 স্যারকে এতো সুন্দর একটা প্রতিযোগীতা আয়োজন করার জন্যে।
আমার লেখাটি পড়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ!