আমরা সবাই জানি গাজরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ।গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ। আর গাজরের পায়েস খুবেই সুস্বাদু।
শীতকালীন সবজীর ভেতরে গাজর একটি সুপরিচিত সবজি আমাদের কাছে। গাজর সারাবছর পাওয়া যায় তবে শীতের সময় গাজর তরতাজা থাকে এবং থাকে অল্প, যা আমরা সবাই ক্রয় করতে পারি। আর গাজরের পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। প্রায় বেশিরভাগ সময় আমাদের বাসার বাচ্চারা গাজর খেতে চায়না। তাই আমরা যদি পায়েস করে রান্না করি খাওয়াই তাদের তাহলে তারা আনন্দ ও মজা করেই খেয়ে নিবে। গজর অনেক রকম করে রান্না করে খাওয়া যায়। গজর পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি সবজি আমার পরিবারের বড়ো ছোটো সকলের খুবেই পছন্দের খাবার গাজরের পায়েস । ছোটরা যেখানে গাজর খেতেই চায়না, আমি এই পায়েস রান্না করলে আমার বাসার ছোটরা খুব আনন্দ ও মজা করে খায় এই গাজরের পায়েস।
সভার এই পছন্দের খাবারটি বানাতে আমার ভিসন ভালো লাগে।
আমার রান্না করতে ভালো লাগে, আর সেই রান্না যদি সবার পছন্দ হয় তাহলে ভালোলাগা দ্বিগুন বেড়ে যায়।
ফাল্গুন চলে এসেছে এখন দিনে বেশ গরম, এই সময়ে এই রেসিপি রান্না করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে পারেন।
তাই আমি আজ আপনাদের সাথে আমার মজার গাজরের পায়েস রান্নার রেসেপি শেয়ার করবো। এই রান্নাটি সহজ ও কম সময় লাগে। আপনি চাইলে যেকোনো সময়ে এই রান্নাটি করতে পারেন। একজন মেহমান এলেও আপনি ঝটপট রান্না করে দিতে পারেন এই গাজরের পায়েস। আর এর রান্নার উপাদান থাকে আমাদের হাতের নাগালের মধ্যেই।
গাজরের পায়েস রান্না করতে আমাদের যা প্রয়োজন হবে।
উপাদানঃ
- গাজর ২ টি নিয়েছি আমি ২৫০ গ্রাম
( গাজর ধুয়ে উপরের ছোলা ফেলে দিবেন অল্প করে, উপরের ছোলা না ফেললে অনেক সময় তা আসের মতো মুখে লাগে । সবজি কুচানো দিয়ে গাজর কুচিয়ে নিবেন মিডিয়াম সাইজে গাজর গুলো আমি কুচিয়ে নিয়েছি। ২ টা গাজর কুচাইলেই অনেকগুল হবে তা থেকে আপনি ৪/৫ জনকে দিতে পারবেন। আপনার ইচ্ছেমতো আপনি গজরের পরিমান বারিয়ে কমিয়ে নিতে পারেন )
- চিনি পরিমাণমতো
( আপনি যেমন চিনি খান তেমন ভাবেই দিবেন,এটি যেহেতু মিষ্টি একটি খাবার আমি এতে চিনির পরিমান একটু বারিয়ে দিয়েছি। কারন পায়েসে একটু মিষ্টি না হলে ভালো লাগেনা খেতে। আর আমার বাসার সবাই মিষ্টি জাতীয় খাবার পছন্দ করে)
ঘী এক চামচ
লবন পরিমাপ মতো( লবন দেখে দিবেন)
সুজি চার চামচে ২ চামচ ( সুজি দিলে পায়েস ঘনো হবে খেতেও ভালো লাগবে)
কাজুবাদাম, কাঠবাদাম ( বাদাম দিলে পায়েসের স্বাদ বেরব যায়)
- দুধ ১ কেজি জ্বাল দিয়ে ৫০০ গ্রাম করে নিবেন
- এলচ ২ টি
( আমি ২ টি এলাচ থেতো করে দিয়েছি। এলাচ দিয়ে একটা ঘ্রান আসে। এবং গজরের করা ঘ্রানটাও থাকেনা এতে থাকেনা)
প্রস্তুতপ্রণালীঃ
একটি পাত্রে ঘী দিয়ে তাতে হালকা আছে ৫ মিনিট গাজর ভেজে নিন। তারপর গাজরটা তুলে রেখে দিন। তারপরে জ্বাল দেয়া দুধের ভিতর ২ টি এলাচ ও এক টুকরা দারুচিনি দিয়ে দিন। দুধে বলক চলে আসলে তাতে তুলে রাখা গাজর দিয়ে দিন ও সুজি দিয়ে দিন। সুজি একসাথে ঢেলে দিবেননা হালকা হালকা করে সুজি ছিটিয়ে দিবেন চারদিকে। তারপর ১০ মিনিট মিডিয়াম আচে নারতে থাকুন। নারা না দিলে নিচে সুজি লেগে যাবে,আর নিচে লেগে গেলে আর ভালো লাগবে না। তাই সুজি দিয়ে নারতে হবে। নামানোর আগে ভেজে রাখা বাদাম কুচি দিয়ে দিন। আপনি চাইলে আরো বাদাম ও কিসমিস দিতে পারেন।আমার কাছে কাছ বাদাম ও কাজু বাদাম ছিল তাই আমি এইগুলা ভেজে দিয়ে দিয়েছি।
নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। আপনি চাইলে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করেও খেতে পারেন। গরম ঠান্ডা দুইটার স্বাদ আলাদা। বিভিন্ন ফল,বাদাম দিয়ে পরিবেশন করুন। আমার বাসায় চেরি ছিল আমি চেরি ও বাদাম কুচি দিয়ে পরিবেশন করেছি। আপনি চাইলে বিভিন্ন রকমের ফুল দিয়ে পরিবেশন করুন যেমন,আপেল কুচি,আনার দিয়ে।
পরিবেশন ফটোসুট
রেসেপিটি ট্রাই করে দেখুন ভালো লাগবে। উপরের ছবিতে দেখতে পারছেন খাবারটি আমি সুন্দরভাবে সাজিয়েছি ।যদি কোনো আত্মীয়-স্বজন আপনার বাসাতে আসে তাহলে খাবারগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিলে দেখতে অনেক ভালো লাগে এবং আপনার আত্মীয়-স্বজন অনেক খুশি হবেন । ছবিতে দেখতে পারছে আমি সুন্দর ভাবে খাবারটি স্বাজিয়েছি। আপনারাও এভাবে পরিবেশন করতে পারেন ।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ ।আমি ভবিষ্যতে আরও ভালো ভালো পোস্ট করার চেষ্টা করব ।ধন্যবাদ সবাইকে
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit