হ্যালো বন্ধুরা !
আপনারা সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সবাই ভালোই আছেন। আমি @uzzal121 বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার দিনলিপি তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন শুরু করি -
আমার পোস্টে আপনাকে স্বাগতম ।
সকাল
ঘুম থেকে উঠি সকাল ৮ টার সময়।ঘুম থেকে উঠার পর ব্রাশ করতেছি এমন সময় চোখ যায় পাশেই পানিতে রাখা একটি নৌকার উপর। চারিদিকে সুন্দর রৌদ্র ছিলো। নৌকা নিয়ে কিছুটা ভালো সময় কাটালাম ঝিলের পানিতে। সব মিলিয়ে সকালটা অনেক ভালো ছিলো। তারপর ফ্রেশ হয়ে খাবার খাই।
দুপুর
খাবার খাওয়া শেষ করে প্রতিদিনের মতো বাড়ি পাশে একটা মন্দিরে যাই। আমাদের এলাকার সব যুবক মন্দিরে আড্ডা দেয়। কেউ কেউ আড্ডা দেয় আবার কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলায়। যেমনঃ লুডু গেম, ক্রাম। আমি পাশে বসে লুডু খেলাটি উপভোগ করি। মন্দিরে দুপুর ২ টা পর্যন্ত থাকি, তারপর বাড়িতে এসে স্নান করি। স্নান সম্পূর্ণ করে দুপুরের খাবার খাওয়া শেষ করি। বিকাল ৩ টার দিকে বিছানায় যাই একটু ঘুমানোর জন্য।
বিকাল
ঘুম থেকে উঠি বিকাল ৫ টায়। তারপর চলে যাই বাড়ির পাশেই কলেজ মাঠে। যেখানে এই সময়ে সবাই ফুটবল খেলে থাকে। কেউ কেউ আবার মাঠের পাশে বসে মোবাইল গেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমি মাঝে মাঝে ফুটবল খেলাই কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই মাঠের পাশে বসে খেলা উপভোগ করি।
মাঠের পাশেই থাকে একটি পরিচিত মুখরোচক খাবার। ঝালমুড়ি। আমার খুব পছন্দের খারার হওয়াতে খেলা দেখার পাশাপাশি খাবারটি খাই। মাঠের পাশে বসে খেলা উপভোগ করার পাশাপাশি অনেকেই খাবারটি খেয়ে থাকে। ঘোরাঘুরি খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে বিকালটা ভালোই কেটেছে। খেলা শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হয় যায়। সন্ধ্যা হলেই বাজারে চলে যাই।
রাত
প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা হলেই বাজারে চলে আসি কিছুটা সময় কাটানোর জন্য। বজারে আসার প্রথম কারন হলো চা খাওয়া। যা আমি প্রতিদিন সন্ধ্যায় খেয়ে থাকি। চা খাওয়ার পাশাপাশি চিপস, বিস্কুট আরো অনেককিছু খেয়ে থাকি। সন্ধ্যার খাবারটা এগুলো দিয়ে শেষ করি।
তারপর যাই বাজারে একটি জুয়েলার্সের দোকানে। সেখানে গিয়ে আড্ডা দেই, সাথে দোকানের জুয়েলারি গুলো দেখি। দোকানের মালিক জুয়েলারি গুলো একটার সাথে আরেকটা জুরে তৈরি করছিলো।আড্ডা দেয়ার পাশাপাশি কয়েকটা জুয়েলারির দাম জিগ্যেস করি।
জুয়েলারি গুলো ছিলো অনেক বড়ো এবং ভাড়ি। হাতে নিয়ে দেখি এগুলোর খুটিনাটি। তামার ডাইসের উপর অনেকগুলো পাথর দিয়ে এটি তৈরি যা দেখতে অনেক চমৎকার লাগছিলো। অনেক সময় আড্ডা দেয়ার পর যখন রাত ৯ টা বাজে তখন বাড়ির উদ্দেশ্যে যাই।
বাড়ি গিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করে নেই খাবার খাওয়ার জন্য। রাত ১০ টায় খাবার খাই। তারপর মোবাইল নিয়ে কিছুটা সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দেই।১০টা ৪৫ মিনিটে বিছানায় যাই। ৩০ মিনিটের মতো ইয়ারফোন দিয়ে গান শুনি। রাত ১১ টা ১৫ মিনিটের দিকে ঘুমিয়ে পরি।
এটাই ছিলো আমার আজকের দিনলিপি।
আশা করি আমার দিনলিপি নিয়ে পোষ্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।