The Steemit City এর বন্ধুদের নমস্কার। আমি আপনাদের সাথে আমার পুরী ভ্রমণ বৃত্তান্ত ভাগ করে নিতে চাই। আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের পছন্দ হবে।
পুরী ভারতবর্ষের একটি বিখ্যাত সমুদ্র-সৈকত। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এই শহরটি ভারতের ওড়িশা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত।
আমরা হাওড়া থেকে হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেসে করে পুরী গেছিলাম। এই ট্রেনটি রাত সাড়ে দশটায় হাওড়া থেকে ছেড়ে পরদিন সকাল সাতটায় পুরী পৌঁছয়। পুরী রেল ও সড়কপথের মাধ্যমে ভারতের সব বড়ো শহরের সঙ্গে যুক্ত। নিকটবর্তী বিমানবন্দর ভুবনেশ্বর। ভুবনেশ্বর থেকে সড়কপথে পুরী পৌঁছনো সম্ভব।
রেলস্টেশনের বাইরে অটো পাওয়া যায়। আমাদের বুকিং ছিল ওড়িশা সরকারের ওড়িশা ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের হোটেল পান্থনিবাসে। হোটেলটি একদম সমুদ্রের পাশে এবং সব ঘরের বারান্দা থেকে সমুদ্র দেখা যায়।
সমুদ্র-স্নান এবং দুপুরের খাওয়া সেরে আমরা খানিকক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। এরপর বেলাভূমি ধরে হেঁটে হেঁটে স্বর্গদ্বার পৌঁছলাম। এখানে প্রচুর দোকান - ঝিনুক, কড়ি, শঙ্খ দিয়ে তৈরী নানারকম উপহার সামগ্রী, জামাকাপড়ের দোকান, খাবার দোকান ইত্যাদি। সন্ধ্যা হওয়ার পর কস্তুরী নামে একটি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেয়ে আমরা পান্থনিবাসে ফিরে এলাম।
পরের দিন হোটেল থেকে গাড়ি ভাড়া করে আমরা কোনারক গেলাম। এটি একটি অসমাপ্ত সূর্যমন্দির। এর গায়ের শিল্পকলা অপূর্ব সুন্দর।
তৃতীয় দিন সকাল বেলা স্নান করে জগন্নাথ দেবের মন্দিরে যাওয়া হল। প্রচণ্ড ভিড় ছিল, তবে হোটেলের পাণ্ডা আমাদের ভালোভাবে দর্শন করিয়ে দিলেন। দুপুরে আমরা জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ খেলাম। মন্দির থেকে বেরিয়ে নৃসিংহ সুইটস্ থেকে আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের জন্য পুরীর বিখ্যাত ঘিয়ের খাজা নেওয়া হল।
এরপর হোটেলে ফিরে এসে প্যাকিং সেরে স্টেশন। রাত আটটার পুরী-হাওড়া এক্সপ্রেস ধরে পরদিন সকালে কলকাতা। আবার অফিস শুরু। সঙ্গে শুরু পরের ছুটির জন্য দিন গোনা..
জগন্নাথ দেবের মন্দিরে ছবি তোলা নিষিদ্ধ - তাই মন্দিরের কোনও ছবি দিতে পারলাম না। বাকি ছবি আমার নিজের মোবাইল ফোনে তোলা।
মোবাইল : হুয়ায়ই অনার ৬।
পুনশ্চ : এই ভ্রমণ কাহিনীর মতামত সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। কোনও হোটেল / রেস্টুরেন্টের প্রচার এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। এই লেখায় উল্লেখিত কোনও হোটেল / রেস্টুরেন্ট থেকে আমি কোনোরকম টাকা / পুরস্কার / ছাড় পাবো না।
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER:
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Accepting your post for the contest
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit