কনটেস্ট- আমার জীবনের প্রথম প্রেম কাহিনী,একটি ব্যার্থ প্রেমের গল্পsteemCreated with Sketch.

in hive-157557 •  last year 

সবাইকে আদাব
আমি বিপ্লব সরকার



তারিখঃ১৮-০৯-২০২৩ ইং



প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি আজকে একটি বিশেষ বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সেটি হচ্ছে স্টিম ফর ট্রাডিশন আয়োজিত জীবনে প্রথম প্রেম এর গল্প। আমি আজকে আমার প্রথম প্রেম এর কথা আপনাদের জানাবে।



সম্পূর্ণ গল্পটি আমার নিজের জীবনের। আমার জীবনের প্রথম প্রেম, প্রথম মেয়ে তাকে নিয়ে আমার গল্প।আমি এখানে নিজের তোলা ছবি ব্যবহার করেছি।আশা করি সকলেই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।



আমার জীবনের প্রথম প্রেম

couple-955926_1280.jpg

Source



প্রেম ও ভালবাসা দুটি শব্দ একই অর্থ বহন করে। সবার জীবনে প্রেম আসে। প্রেম যখন মানুষের জীবনে আসে তখন তার জীবন পরিবর্তনশীল হয়ে যায় ।তখন সবকিছুতেই বেশ আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। আমার বেলায় এর ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। আমিও যখন নতুন প্রেমে পড়ি তখন আমার সবকিছুতেই খুব আনন্দ উপভোগ করতাম ।প্রেম হয়তো এমনই হয়, তাও আবার যদি সেটা হয় জীবনের প্রথম প্রেম,তাহলে তো আর কোনো কথাই নেই।

আমার প্রেমের শুরু যেভাবে

received_637013543509647.jpeg



বছরটি ২০১৮ ইং এর মাঝামাঝি সময় তখন আমার বয়স ২৩ বছর। তখন আমার দিনগুলো বেশ মজার ছিল সে সময় আমি বাড়িতেই থাকতাম। বাড়িতে যখন থাকতাম তখন আমি আমার এলাকার বড় ভাইদের সাথে বসে আড্ডা দিতাম। এরকম একদিন বসে আড্ডা দিচ্ছি হঠাৎ পাশের গ্রামের একটি ছেলে এসে বলল তাদের ওখানে একটি মেয়ে এসেছে সেই মেয়েটি সম্পর্কে ওর ছোট বোন হচ্ছে। সেই মেয়ে নাকি আমাদের এলাকার একটি ছেলেকে পছন্দ করেছে সেটি সে আমাদের জানায়। আমরা বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে নিলাম কেননা যে ছেলেটাকে পছন্দ করেছে সেই ছেলে আসলে সে সময়ে প্রেম ভালোবাসা এগুলো কি বুঝতো না।

balloon-991680_1280.jpg

Source

সে মোবাইল ইউজ করত না তার মাঝে প্রেমের কোন আগ্রহ ছিল না। এজন্য আমরা বিষয়টি নিয়ে একটু সবাই কথা বলি আসলেই কি তাকে পছন্দ করেছে। এভাবে কথা চলছে আমাদের মাঝে এবং সেই ছেলেটি যেহেতু ওই মেয়ের বড় ভাই দূর সম্পর্কের তার কাছে ওই মেয়ের কিছু ছবি তোলা ছিল। আমরা সে ছবিগুলো দেখলাম এবং সবাই বললাম যে না এটা কোনভাবেই সম্ভব না। এরপরে সেই মেয়ের কাছে ভালো করে শোনার জন্য ওই ছেলেটিকে পাঠালাম এবং পরে বুঝতে পারলাম যে সে এটি ফাজলামো করে বলেছিল।

InCollage_20230918_154633453.jpg

এরপরে হঠাৎ করে একদিন আমরা সবাই একসাথে হই এবং ওই ছেলে আমাদের সাথে ছিল আমরা তাকে ফাজলামো করে বলে কিরে তোর ওই বোনের কি খবর। তখন সে বলে ওই মেয়েটি খুব ভালো মেয়ে সে কারো সাথে প্রেম করে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না। সে এমন ভাবে কথাগুলো বলছিল সে একশতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলল সে কারো সাথে কখনোই প্রেম করবে না। আমার আবার চ্যালেঞ্জ নিতে ভালো লাগে। আমি তার চ্যালেঞ্জে রাজি হলাম আমি তাকে বললাম আমি তার সাথে প্রেম করে দেখাবো। এরপর সে খুব সহজে তার ফেসবুক আইডি আমাকে দিয়ে দিল কারণ সে জানে তার বোন কারো সাথে কোনদিনও প্রেম করবে না। আপনাদের একটি বিষয় বলা হয়নি আসলে ওই ছেলেটির মামাতো বোন সম্পর্কে হবে। এর পরে আমি আইডি হাতে পাওয়ার পর ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালাম।

received_793912321120583.jpegInCollage_20230918_154430758.jpg

কিছুদিন পর একসেপ্ট করল এবং আমাদের কথা শুরু হলো শুরুতে হাই, হ্যালো বলে শুরু করলাম এরপর আরো অনেক ধরনের কথা হত তখন আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে আপনার ভাই আমাকে আপনার আইডিটি দিয়েছে, যে আপনি কারো সাথে কোনদিন রিলেশন করবেন না। সেজন্য খুব সহজে আমাকে আইডি দিলো তো আমি তাকে বলেছি আমি আপনার সাথে প্রেম করেই ছাড়বো। সে সময় সে মেয়েটি ও বলে হ্যাঁ আমি কারো সাথে রিলেশনে জড়াবো না। যাই হোক আমি সময় নিলাম কথা বলা যখন শুরু হয়েছে কিছু একটা হবে। আমি কথা বলতেই থাকি প্রতিদিন আস্তে আস্তে সময় বাড়তে থাকে কথা বলার। শুরুর দিকে এসএমএসে কথা হতো। এরপর নাম্বার চেয়ে নিলাম নাম্বার দিতে প্রথমে রাজি হয়নি।

InCollage_20230918_154609459.jpg

তারপর কোন ভাবে কৌশলে নাম্বারটি নিয়ে নেই। এভাবে কথা বলতে বলতে প্রায় দুই মাস কেটে যায়। এরপর আমি সেই মেয়েটিকে প্রপোজ করলাম। আমি প্রপোজ করার পরে সে কোনভাবেই রাজি হয় না এরপর আরো একমাস কেটে গেল। এভাবে আমি তিন মাস কথা বলার পর সে আমার প্রস্তাবে রাজি হল যদিও সে শুধু সময় কাটানোর জন্য রিলেশন শুরু করেছিল। এটি আমাকে পরে বলেছিল কিন্তু সেই সময় কাটানো আস্তে আস্তে ভালোবাসায় রূপান্তরিত হয়। এভাবে আমার সেই মনের মানুষের সাথে ভালোবাসার শুরু হয়। এরপর আমি সেই ছেলেকে বলি যে তোর মামাতো বোন আমার সাথে প্রেম করতে রাজি হয়ে গেছে। সে তো অবাক হয়ে যায় আমার এই কথা শুনে সে বলল ঠিক আছে প্রেম চালিয়ে যান। আমিও চালিয়ে যাচ্ছি এখন আমি ভাবলাম ফোনে কথা বলে কিন্তু সরাসরি তো প্রপোজ করা হয়নি।

InCollage_20230918_154657177.jpg

তাই ভাবলাম সামনে পুজো সেই পুজো তাদের এলাকায় যাব এবং তাকে প্রপোজ করে আসব। আপনাদের বলা হয়নি তার বাড়ি থেকে আমার মামা বাড়ির খুব কাছে। আমি পুজোর সময় মামা বাড়িতে যাই এবং পূজোর মন্দিরে তার সাথে দেখা হয় এবং আমি সুযোগ বুঝে তাকে সরাসরি প্রপোজ করি এবং সেখান থেকে চলে আসি কারণ সেখানে আমার মামারা ছিল।এভাবে আমার প্রথম প্রেম শুরু হয়।



আমার প্রথম প্রেম যখন চরম মূহুর্তে



received_238962356694402.jpeg

কয়েক মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আমাদের প্রেম পুরো জমে গেল। আমি তখন বাড়িতেই ছিলাম আর সে দিনাজপুর সরকারি কলেজে পড়তো। আমি সময় পেলে তার সাথে দেখা করার জন্য দিনাজপুরে চলে যেতাম। সে যেদিনই বলত সেদিনই আমি তার সাথে দেখা করার জন্য দিনাজপুরে চলে যেতাম এবং তার সাথে দেখা করে আসতাম। আমরা দিনাজপুরে গেলে বেশিরভাগ সময় সিটি পার্কে সময় কাটাই। এই পার্কে সব ধরনের খাবার পাওয়া যায় আমরা এখানে কিছু খেয়ে নেই এরপর পার্কে বসে গল্প করতে থাকি। যখন প্রথম দেখা হয় পার্কে বসে, এটা সবার হয় কিনা আমি জানিনা নতুন করে কাউকে দেখলে তার চেহারা সহজে কেন যেন কেন জানি মনে রাখা যায় না।

InCollage_20230918_160858319.jpgInCollage_20230918_160834281.jpg

আমি মাঝে মাঝে ভুলে যেতাম তার চেহারা এভাবে কিছুদিন দেখা করার পর সেটি ঠিক হয়ে যায়। আমি দিনাজপুরে বিভিন্ন জায়গায় তাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াই। এভাবে আমাদের রিলেশনে প্রায় এক বছর কেটে গেল। এই সময় গুলো বেশ মজাদার ছিল এই সময়গুলো হয়তো প্রথম প্রেমে পড়লেই পাওয়া যায়। এই সময়কার অনুভূতিগুলো বলে প্রকাশ করার মত নয়। আসলে কাউকে সত্যি করে ভালবাসলে এই অনুভূতিগুলো মনে চলে আসে। আমরা তখন দিনে প্রায় সবসময় কথা বলতাম।

InCollage_20230918_160918762.jpg

মোবাইলে সে আমাকে ফোন দিয়ে আমার খোঁজ খবর নিতো। আমিও তার খোঁজ খবর নিতাম সে খেলো কিনা আমি খেলাম কিনা এসব খোঁজ খবর আমার নিতে থাকি। সময়গুলো এত সুন্দর কেটেছে যা কখনো ভোলার মত নয়। চোখ বন্ধ করলে এখনো সেগুলো মনে পড়ে।এভাবেই চলছে আমাদের প্রেম।



আমার প্রথম প্রেম যখন মাঝপথে



received_714739402378155.jpegInCollage_20230918_162745968.jpg

আমাদের রিলেশন প্রায় পাঁচ বছরের। আমাদের রিলেশনের বয়স যখন আড়াই থেকে তিন বছর তখন থেকে সে মাঝে মাঝে বলতো তার বাসা থেকে তার বিয়ে দেওয়ার কথা বলছে এবং মাঝে মাঝে তাকে দেখার জন্য ছেলে আসত। যে ছেলেগুলো আসতো সবাই মোটামুটি ভালো মানের চাকরি করতো। আমি তখন কেবল পড়াশোনা শেষ করেছি চাকরির জন্য খুব চেষ্টা করছি। আমার চাকরির জন্য সে অপেক্ষা করেছিল। আমার একটা চাকরি হলে সে আমাকে সহজে বিয়ে করতে পারবে।সে বলবে বাড়িতে সে এটি আমাকে বলেছিল। সে এজন্যই বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না। তাকে যে ছেলেগুলো দেখতে আসে তাদেরকে সে না বলে দিত। এভাবে সে অনেক বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। আমিও এই দিকে চাকরির জন্য চেষ্টা করতে থাকি। আমার চাকরিও সহজে হচ্ছে না। তবুও আমি হাল ছেড়ে দেইনি আমি চেষ্টা করতেই থাকি।

InCollage_20230918_161008407.jpgInCollage_20230918_162806843.jpg

সেও পড়াশোনার কথা বলে বিয়ে করবে না বলে বাসায় বলে দেয়। এভাবে যখন অনেক দীর্ঘ সময় কেটে যায় আমার চাকরি আর হয় না তখন তার সাথে আমার মাঝে মাঝে ঝগড়া লেগে যেত। সে আর কত আমার জন্য অপেক্ষা করবে। সে আর কতদিন বাসায় সবাইকে থামিয়ে রাখবে। এখানে একটি জিনিস বলে রাখা ভালো আমাদের হিন্দুদের বিয়ে এত সহজে হয় না। আমাদের হিন্দু সমাজে মেয়েদের বিয়ে অনেক টাকা দিয়ে দেয় সেজন্য ভালো ছেলে দেখে দেয়। তো তার ফ্যামিলি সেটাই করতে চাচ্ছিল কিন্তু সে আমাকে ভালবাসে বলে আমাকে বিয়ে করবে বলে, তার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব আসলেও সে না বলে দিত।



ভালোবাসার মাঝে যখন রাগ অভিমান চলে আসে



received_1031235093708437.jpegreceived_2091172901198519.jpeg

প্রেম ভালোবাসার মাঝে যতই ভালো সময় যাক না কেন মাঝে মাঝে খারাপ সময় চলে আসে। আসলে একজনের সাথে দীর্ঘদিন সময় কাটালে তার সাথে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অথবা যেকোনো বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগে যায়। আমার ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমাদের রিলেশন যখন প্রায় চার বছরের মাঝামাঝি তখন আমাদের মাঝে বেশ ঝগড়া হতো।

received_308963773123639.jpeg

আমরা তখন ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া করতাম মাঝে মাঝে এমন ঝগড়া হয়ে যেত আমি আমার হাত কেটে তাকে দেখাই। আবার সে তার হাত কেটে আমাকে দেখায়। কান্নাকাটি তো থাকেই। এভাবে আমাদের রিলেশন বেশ কিছুদিন। চলতেই থাকে। মাঝখানে ব্রেকআপ হয়ে যায় আবার রিলেশন চালু হয়ে যায়। আসলে এটি প্রেমের নিয়ম নীতি। নাকি আমাদের শুধু এমন হয়েছিল আমার জানা নেই।

InCollage_20230918_161041517.jpg

আমাদের দুজনের মাঝে বেশিরভাগ সময় ঝগড়া লাগতো বিয়ের ব্যাপার নিয়ে কারণ আমার তখনও চাকরি হয়নি। আর সে বারবার বিয়ের কথা বাড়িতে ফিরিয়ে দিচ্ছে সেজন্য আমার সাথে তার ঝগড়া বেশি লাগতো।এভাবে আর কত দিন সম্পর্ক টিকে থাকে। শেষ অপদি যা হওয়ার সেটাই হয়েছিল।



আমার প্রথম প্রেম এর যেভাবে ইতি ঘটে



InCollage_20230918_161133233.jpg

InCollage_20230918_161107404.jpg

আমাদের সম্পর্কের যখন বয়স পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে তখন সে তার পড়াশোনা মোটামুটি শেষ করে ফেলেছে। সে অনার্স পাস করেছে এখন সে আর পড়াশোনার দোহাই দিয়ে বাসায় বিয়ের প্রস্তাব ফিরে দিতে পারছে না। তখন সে আমাকে বলে সে কি করবে। আমি তখন তাকে বলেই দেখো আমার তো এখনো চাকরি হচ্ছে না আর এই অবস্থায় আমাকে তোমার বাবা মেনে নিবে না। আমি তবুও তাকে বলে চেষ্টা করতে যদি আমার কথা তোমার বাড়িতে বলে রাজি করাতে পারো তাহলে আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব। কিন্তু সে ভয়ে বলতে পারে না। সে তার বাবাকে প্রচুর পরিমাণে ভয় করত। সে আমার সাথে কথা বলতো এবং মাঝে মাঝে তাকে দেখার জন্য ছেলে আসতো। তার বাবা তার বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল। আমার সাথে তারা রিলেশন তার মা এবং ভাই জানতো।

InCollage_20230918_163551123.jpg

কিন্তু তারা বেকার ছেলের হাতে মেয়েকে তুলে দিতে চায় না। এভাবে ছেলে দেখতে দেখতে কোন এক সময় সে তার বাড়িতে আমার কথা বলে দেয়। এ জন্যই বলে দেয় সে সময় একটি ছেলে তাকে দেখে গিয়েছিল তার সাথে তার বিয়ের কথা প্রায় পাকাপাকি হয়ে যাচ্ছে। তখন সে আমার কথা তার বাবাকে বলে কিন্তু তার বাবা কোনভাবে রাজি হয়নি। এমনকি তার বাড়ির সদস্যরা ও রাজি হয়নি তখন সে আমাকে পালিয়ে বিয়ে করতে বলে। আমি তার সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি কারণ আমার সে সময়ে পালিয়ে বিয়ে করার মত অবস্থান ছিল না। কারণ আমাদের হিন্দুদের বিয়ের বিষয়টা খুবই সেনসিটিভ। আমি তাকে বোঝাই আমি যদি তাকে পালিয়ে বিয়ে করি তাহলে তার বাবা অনেক ঝামেলা করবে। কারণ তার বাবা অনেক রাগী লোক দেখা যাবে তার বাবা আমার পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা করে দিবে। তখন আমার জন্য আমার পরিবার অনেক কষ্ট সহ্য করবে। সেজন্য আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। আমি তাকে বারবার বলি যে আমি তোমাকে বিয়ে করতে রাজি আছি তুমি শুধু তোমার বাবাকে বলে রাজি কর। কিন্তু সে তার বাবাকে কোনভাবে রাজি করাতে পারে না। তার বাবা খুবই জেদি ছিলেন। এভাবে একপর্যায়ে তার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়। তখন সে আমার কাছে প্রচুর কান্নাকাটি করে। আমিও মাঝে মাঝে তার সাথে কান্না করতাম। এছাড়া আমার আর কোন উপায় ছিল না। বিয়ে ঠিক হওয়া পর সে আমার সাথে যোগাযোগ কমানো শুরু করে তবে যোগাযোগ একবারে বন্ধ করে দিতে পারেনি।

20230304_183539.jpg

এরপর তার বিয়ের তারিখ ঠিক হয় আমাদের হিন্দু সমাজের বিয়ে ঠিক হলে কমপক্ষে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে বিয়ে হতে। এই সময়গুলোতে সে আমার সাথে মাঝে মাঝে কথা বলতো এবং বেশ ভালই কান্নাকাটি করতো। এক পর্যায়ে এসে আর কান্না করত না এবং তার বিয়ের তারিখ কাছে চলে আসে সে বিয়ের আগে আমার সাথে একবার দেখা করতে চেয়েছিল আমি তার সেই আবদারটি রেখেছিলাম।



আমার ভালোবাসা যখন অন্য কারো হয়ে গেছে



InCollage_20230918_161229669.jpgInCollage_20230918_161158808.jpg

সবশেষে তার বিয়ের তারিখ চলে আসে এবং সে আমার সাথে বিয়ের সাত দিন আগে কথা বলা বন্ধ করে রাখে। যাতে তার বিয়ে করতে সমস্যা না হয়। কারণ আমার সাথে কথা বললে হয়তো সে সহজে বিয়েটা করতে পারবে না। তার বিয়ের দিন আমি বাড়িতেই ছিলাম। আমার বাড়িতে জানতো ব্যাপারটা তারা আমাকে তেমন কিছু বলেনি কারণ তারা জানতো আমি খারাপ কিছু করব না এবং আমি তাদেরকে আগেও বলে রেখেছিলাম যে আমি পালিয়ে বিয়ে করব না। কারণ আমার জন্য এত সমস্যায় কাউকে ফেলতে আমি চাইনি। এরপর তার বিয়ে যেদিন সেদিন আমি তার বাড়ির দিকে গিয়েছিলাম। কারণ সেখানে আমার মামা বাড়ি সেখানে কি জানি অনুষ্ঠান হচ্ছিল। আমি আমার মাকে সেখানে রাখতে গিয়েছিলাম। তখন তার বিয়ের অনুষ্ঠানের যে সাজসজ্জা তা দেখেছিলাম। কিন্তু তাকে দেখতে পায়নি কারণ তার সাথে আমার তখন যোগাযোগ হতো না।

InCollage_20230918_161319820.jpg

ওই দিন আমি বাড়িতে চলে আসি। আমি তার এক পিসিত ভাইয়ের সাথে কথা বলতাম। সে আমাকে তার বিয়ের সব তথ্যগুলো ফোনে জানিয়ে ছিল এবং বিভিন্ন ছবি তুলে আমাকে দিচ্ছিল। আমি তার কাছে চেয়েছিলাম যে আমাকে বিয়ের যেন সবকিছু তথ্য জানায়। সবকিছু ঠিক ছিল কিন্তু যখন ছেলে বিয়ের জন্য মেয়ে বাড়িতে আসে তখন কিছু ছবি আমি দেখার পর আর এগুলো দেখতে পারছিলাম না। আমার কেন জানি খুব খারাপ লাগছিল সে সময়টাতে। তাই আমি তার সেই পিসিতে ভাইকে নিষেধ করি আর এগুলো আমাকে না দেখায়।

InCollage_20230918_161340775.jpgInCollage_20230918_161254516.jpg

সবশেষে আমাকে যখন বিয়ের জন্য বর আসে সেই দৃশ্যটি দেখিয়েছিল তারপর থেকে আর আমি আর কিছু দেখিনি। আমাদের হিন্দুদের বিয়ে রাতের বেলা হয় রাতের বেলা বর এসে বিয়ে করে পরের দিন সকালবেলা বউকে নিয়ে চলে যায়। আমি ঐদিন রাতে ঠিকভাবে ঘুমোতে পারিনি আমি সারারাত জেগে ছিলাম এবং তার কথা ভাবছিলাম এভাবে আমার ভালোবাসার মানুষের বিয়ে হয়ে যায় এবং আমি একা হয়ে যাই।তারপর আমি কয়েকদিন হতাশায় নিমজ্জিত ছিলাম।পরে একটি জিনিস বুঝতে পারলাম বেকার ছেলেদের জীবনে প্রেম অনেক দুঃখ ও সাথে অনেক কষ্ট নিয়ে আসে।এভাবে আমার জীবনের প্রথম প্রেম এর সমাপ্তি ঘটে।



সে চলে যাওয়ার পর এই গানটি গাইতে ইচ্ছে করে-



"কেন মেঘ আসে হৃদয়- আকাশে,
কেন মেঘ আসে হৃদয়- আকাশে,
তোমারে দেখিতে দেয় না।"

"মোহো মেঘে তোমারে দেখিতে দেয় না,
মোহো মেঘে তোমারে অন্ধ করে রাখে,
তোমারে দেখিতে দেয় না। "

"মাঝে মাঝে তব দেখা পাই,
চিরদিন কেন পাই না।
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই,
চিরদিন কেন পাই না...।



বন্ধুরা এই ছিল আমার জীবনের প্রথম প্রেমের গল্প।আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য। আমি একজন ব্যার্থ প্রেমিক।

আমি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি
@simaroy
@Yuswadi
@etette



তথ্যবিস্তারিত
বিষয়আমার জীবনের প্রথম প্রেম
ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি এ ৫২
সম্পাদন করাহ্যাঁ
অবস্থানপার্বতীপুর,দিনাজপুর ,বাংলাদেশ
ফটোগ্রাফার@biplobsarker


ধন্যবাদ সবাইকে



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

  ·  last year (edited)

এভাবে আমাদের রিলেশন বেশ কিছুদিন। চলতেই থাকে। মাঝখানে ব্রেকআপ হয়ে যায় আবার রিলেশন চালু হয়ে যায়। আসলে এটি প্রেমের নিয়ম নীতি। নাকি আমাদের শুধু এমন হয়েছিল আমার জানা নেই।

আমিও জীবনে দুইটা প্রেম করছি। আমি প্রথমে এক হিন্দু মেয়ের সাথে রিলেশন করছি ২০১২ সালে৷ তখন ঐ ক্লাস ৬ এ পড়তো৷ ৫-৬ মাস রিলেশন করার পর ওর বাবা জেনে গেছিলো৷ পরে আমার সাথে আর কথা বলতো না৷ এরপর হঠাৎ একদিন আমাকে মেসেজ দিছিলো৷ তখন আমি ঢাকায় ভর্তি কোচিং করতে গিয়েছিলাম৷ ও আমাকে দেখতে চেয়েছিলো বলে কোচিং বাদ দিয়েই বাড়ি চলে আসছি। এভাবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রিলেশন করছি৷ রিলেশনের ৩ বছরের মাথায় ওর বাড়িতে জানাজানি হয়ে যায়৷ প্রায় ১ বছর ওর সাথে আমার কখনও কথা হয় নি৷ ও যখন ক্লাস উঠছিলো তখন একদিন হঠাৎ করে আমার সাথে কথা বলা শুরু করে৷ ওর বড় বোন প্রতিবন্ধী ছিলো। আমাকে ঐ সবসময় বলতো যে আমাদের তো বিয়ে সম্ভব না৷ তবে আমি সারাজীবন তোমার জন্য অপেক্ষা করবো বিয়ে করবো না৷ আমি ওর কথা শুনে হাসতাম৷ এভাবে ফির থাকা যায় নাকি৷ ওর সাথে আমার সপ্তাহে ২-৩ বার করে ব্রেক আপ হইতো৷ ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আমার কোন ঈদ ভালো কাটে নি৷ ঈদের আগের দিন এমন ঝগড়া লাগতো কথা হইতো না৷ ঈদ মাটি৷ তবে ঝগড়া হইতো আবার ঠিক হয়ে যাইতো৷

ও হয়তো আমাকে অনেক ভালোবাসতো৷ নাহলে ১ বছর গ্যাপ দেওয়ার পর ও আমার কাছে ফিরে আসতো না৷ ও দেখতে অসাধারণ সুন্দর ছিলো৷ আমি তার কাছে কিছুই ছিলাম না৷ ওর পিছে অনেকে ঘুরতো ও পাত্তা দেয় নাই৷ কিন্তু আমি ওকে সন্দেহ করছিলাম৷ ওকে এমন কিছু কথা বলছিলাম। যার কারণে আমাদের ব্রেক আপ হয়ে যায় ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে৷ এরপর ও কখনও আমার সাথে কন্ট্রাক্ট করে নাই৷ অনেক চেষ্টা করছি৷ কথা আর বলতে পারি নাই৷ কাওছার নামে একজন ছিলো৷ ওর বাবার পোষ্টিং এর কারণে ওরা তখন চট্টগ্রামে চলে যায়৷ ও যদি থাকতো তাহলে হয়তো তাকে আমি ফেরত পাইতাম৷ কেউ আমাকে তখন সাহায্য করার মত থাকলে হয়তো আমি তাকে ফেরত পাইতাম৷

অনেক অভিমান করে ও আমার কাছে থেকে চলে গেছে৷ ওর জন্য অনেক কাঁদছি। কিন্তু যে চলে যায় তাকে তো আর ফিরে পাওয়া যায় না৷ এটাই বাস্তবতা।

দ্বিতীয় রিলেশন করছি যে মেয়ের সাথে ও আমার থেকে ১১ বছরের ছোট ছিলো৷ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখ থেকে। কেমনে কেমনে বা রিলেশন হয়ে গেছে৷ ওর সাথেও প্রায় ৩ বছর রিলেশন ছিলো। এটা রিলেশনেও ও আমি ব্যার্থ৷ মেয়ে আমার সাথে ঝগড়া করে খালার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে এক ছেলের সাথে রিলেশন শুরু করে দিছে৷ আমাকে ইগনোর করতো৷ তখনই আমি বুঝে গেছি৷ ভালোবাসার মাঝে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে গেছে৷ আমাকে প্রচুর ইগনোর করতো৷ কিছুদিন কথা বলতো মায়া বাড়ায় চলে যেত৷ ওর উপর রাগ করে ২০২১ এর ডিসেম্বরে বিয়ে করে নিয়েছিলাম৷ তারপর ঐ আমার জন্য অনেক কাঁদছে। ও আমাকে যে পরিমাণ কষ্ট দিছিলো৷ অন্য কেউ হলে মরে যেত৷ আমি বিয়ে করে নিছি, এরপর এসে কাঁদলে কি আর করা থাকে৷

আমার প্রথম আর দ্বিতীয় রিলেশন, দুই জনের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। প্রথম জন আমাকে অনেক ভালোবাসতো তার প্রমাণ সে নিজেই৷ সে আমার জন্য দীর্ঘ ১ বছর অপেক্ষা করছে৷ এরপর ফিরে আসছে৷ ও আমার ধর্মের হলে বিয়ে হয়ে যাইতো আমার সাথে। আর দ্বিতীয় জন মাত্র ৪-৫ মাসের গ্যাপ এর মাঝে অন্য ছেলে খুঁজে নিছে৷ অথচ ওদের জীবনে প্রথম লাভ আমিই ছিলাম৷

রিলেশন করা মানে জীবন ধ্বংস করা৷ আপনার জীবনের এই কাহীনি শুনে খুব খারাপ লাগলো৷ আসলে আমাদের ভালোবাসা গুলো টাকা, চাকরি ও ধর্মের মাঝে আটকায় যায়৷ আমার জীবন অনেক সাজালো গোছালো হইতো৷ প্রথম রিলেশন ভাঙ্গার পর থেকে আমি প্রচুর হতাশায় ছিলাম৷ আমি এখন পর্যন্ত নিজেকে ভালো করতে পারি নাই৷

আসলেই ভাই প্রেম মানে কষ্ট আর ক্ষতি। আপনার জীবনের প্রেমগুলো অনেক কষ্টের।আপনি হিন্দু ধর্মের মেয়ের সাথে রিলেশন করছেন এবং সেই মেয়েটি আপনাকে এত ভালো বাসতো আমি অবাক ভাই। মেয়েটি অনেক ভালো ছিল।ধন্যবাদ ভাই।

হুম৷ ও মুসলিম হলে হয়ে যেত৷ আর দ্বিতীয়টা মুসলিম হয়েও আমি পাই নাই তাকে৷ কারণ সে আমাকে হয়তো তেমন করে ভালোবাসে নি কখনও৷ রিলেশনে কোন না কোন দিকে ভেজাল থাকেই। খালি রিলেশন করে জীবন নষ্ট করে ফেলছি৷ যারা রিলেশন করে না তারাই অনেক ভালো আছে৷ গীটার বাজায় দিন পার করতেছে 😃।

মুসলিম হলে আসলে হয়ে যেত।আমি এখন একা ভাই। অনেক ভালো আছি।

প্রেম মানেই কষ্ট, হয়তো নিয়তি আপনার ছিলো না।ভাই আপনার প্রেম এর গল্প পড়েও খারাপ লাগলো। ভালো কেউ আসুক আপনার জীবনে শুভ কামনা নিরন্তর

আপনার এই কমেন্ট পড়ে খুব খারাপ লাগলো ভাই। যেখানে শুনি সেখানেই শুধু ভালোবাসা মানে ব্যর্থতা সফলতার কথা আজকে পর্যন্ত হয়তো শুনিনি। আসলে ভাই যে থাকার সে এমনিতেই থাকবে আর যে না থাকার সে হাজারটা বাহানা করবে। তাই আমাদের উচিত এসব কিছুকে ফেলে দিয়ে সামনের দিকে এগোন।আল্লাহতালা শরণাপন্ন হন জীবনে অবশ্যই ভালো কিছু হবে হয়তো এদের থেকেও উত্তম কাউকে আল্লাহতালা আপনার জন্য রেখেছেন।শুধু আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করেন।

এমন হৃদয় বিদায়ক ঘটনা এর আগে আমি পড়িনি ভাই। অনেক কষ্ট পাইলাম আমি। ছেলেদের চোখের পানি মেয়েরা বুঝে না । আমিও একজন পছন্দ করি। প্রচন্ড ভাবে ভালোবাসি কিন্তু আমি তার সাথে কথা বলতে গেলেই আটকে যাই। ভালো থাকুক পৃথিবীতে সকল ভালোবাসা।

ধন্যবাদ ভাই

ভাই আমি পুরো ঘটনাটি অনেক মনোযোগ সহকারে পড়লাম, অনেক হৃদয় বিদায়ক ঘটনা , আপনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত ভাষা আমার নেই। হয়তো আপনার একটা চাকরি থাকলে আপনি আপনার পছন্দের মানুষটিকে ঠিকই পেয়ে যেতেন, নিষ্ঠুর নিয়তি সেটা হতে দেয় নাই।ভেঙ্গে পড়বেন না ভাই, নিজেকে নতুন ভাবে তৈরি করুন। যা হারিয়েছেন, সেটা হয়তো আপনার ছিলো না। সামনে হয়তো আপনার জীবনে ভালো কিছু আসবে, শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই দোয়া রাখবেন

আপনি বেশ হৃদয়বিদারক একটি ঘটনা শেয়ার করেছেন। এক একজনের জীবনের কাহিনী এক এক রকম। কারো কাহিনী সফলতার আবার কারো কাহিনী ব্যর্থতার। আপনার কাহিনীটি হলো ব্যর্থতার। আমি পুরো পোস্টটি খুবই মনোযোগ সহকারে পড়েছি। আর পোস্টটি পড়তেই আমার অনেক সময় লেগেছে। আসলে অনেকেই পরিবার মেনে নেবে না বলে বহুবছরের সম্পর্ক ভেঙ্গে দেয়।যে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসবে সে কোনোদিনও এভাবে ছেড়ে যেতে পারবে না।যাহোক আপনার জন্য শুভকামনা রইল। জীবনে অনেকদূর এগিয়ে যান এই কামনা করি।ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপু। দোষ আমারও ছিল মামলার ভয়ে পালায় যাই নি।

প্রথমেই একটা কথা বলতে চাই আপনার জীবনে যা হয়ে গেছে তা নিয়ে বিচার করার আমি কেউনা।ঘটনা পড়ে খারাপ লাগলো।তবে ভালোবাসায় ব্যর্থ হলে সে অনুভুতি কেমন হয় তা আমার জানা নেই।জীবনে দুর্ঘটনা ঘটে গেলে ভেঙে পরতে নেই।যা হয় ভালোর জন্য হয়।আজ বেকার আছেন কাল থাকবেননা।নিজেকে পরাজিত ভাববেননা।অনেক ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট পড়ে।ছবি গুলো নিয়ে কিছুই বললাম না।শুভ কামনা রইলো প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করার জন্য।ধন্যবাদ আমাদের সাথে আপনার প্রেমের কাহিনি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু

  ·  last year (edited)

আপনার পোস্ট বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়লাম ভাই। আসলেই ভাই যে থাকার সে থাকবে আর যে না থাকার তাকে যতই আটকে রাখার চেষ্টা করো না কেন সে থাকবে না।হয়তো সে আপনাকে সত্যিকারের ভালোবেসেছিল কিন্তু মান সম্মান টাকা-পয়সা পরিবার ইত্যাদির কাছে ভালোবাসা হেরে যায়।এটাই স্বাভাবিক বিষয় ভাই পৃথিবী এভাবেই চলতেছে।যাই হোক নতুন জীবন শুরু করেন নতুনভাবে চলার চেষ্টা করেন এটাই শুভকামনা রইল আপনার জন্য। আমার দেখা মতে সর্বশ্রেষ্ঠ একটি প্রেমের কাহিনী পড়লাম আপনার পোস্টে হয়তো সামনে আরো ভালো কিছু দেখতে পাবো।

ধন্যবাদ ভাই।

প্রথমেই আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই। আপনি আপনার জীবনের এই ব্যর্থ প্রেমের গল্প আমাদের কাছে অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন। আপনার সম্পূর্ণ ঘটনাটি পড়তে বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগলো। আসলেই বাস্তবতার কাছে অনেক নিঃস্বার্থ ভালোবাসা হেরে যায়। আপনার সাথে হয়তো তাই হয়েছে ভাই। একটা বেকার ছেলের কাছে কোন বাবা মা-ই তাদের সন্তানকে দিতে চায় না। অথচ সেই মানুষটির ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা আমরা কেউই জানিনা। হয়তো যেই চাকরি দেখে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছে ,তার থেকেও ভালো কোন পরিস্থিতি আপনার জীবনে আসতে পারে, কিন্তু তারা এ ব্যাপারটি কখনোই ভাবেননি। কিন্তু ভালোবাসা সবসময়ই সুন্দর। হয়তো সেই মেয়েটি ও আপনাকে এখনো আপনার মত করেই স্মরণ করে। এ ধরনের গল্পগুলো পড়ে যাই বলি না কেন কম হয়ে যায় ভাই। আপনার জীবনে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাই

অল্প অল্প করে সম্পূর্ণ গল্পটায় শেষ করলাম পড়ে অনেক খারাপ লাগলো যে আপনার সাথে যেটা হয়েছে সেটি ভালো হয়নি। হয়তো সৃষ্টিকর্তা এটা চাননি তাই এমনটা হয়েছে। আমি চাই যে যা হয়েছে তা ভুলে গিয়ে নতুন করে আবার শুরু করুন। অতীতের সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকলে সমস্যা বাড়বেই শুধু তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। শুভকামনা রইল আপনার প্রতি

ধন্যবাদ ভাই

এখনকার রিলেশন গুলো সাধারণ হয়তো মিমের ইনকাম আর নয়তো পরিবার এর জন্য শেষ হয়ে যায়। তবে আপনার পাঁচ রিলেশনটা ভেঙে যাওয়াতে অনেক খারাপ লাগলো। কারণ পরিবার এর জন্য আপনি আপনার প্রিয় মানুষকে পান নাই। অনেক খারাপ লাগলো ভাই। তবে আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাই।

ধন্যবাদ ভাই

হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে একটি কথাই শুধু জেনেছি আমি, পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই, প্রেম বলে কিছু নেই। তাই হিন্দু আর মুসলিম বুঝিনা। আপনার ভাগ্যে ছিলনা বলে আপনি তাকে পাননি। যদি সে আপনার ভাগ্যে থেকেই থাকতো তাহলে অবশ্যই আপনি তাকে পেতেন। আর আমার কিন্তু কি মনে হয় জানেন ভাই? প্রেমের মজা সফলতায় নয়, ব্যর্থতায়। আপনি ব্যর্থ প্রেমিক ছিলেন বিধাই তো আজ এমন সুন্দর একটি রোমান্টিক গল্প লেখতে পারলেন।