ছবিটি তৈরি করা হয়েছে ক্যানভা দিয়ে
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই?আজকে আমি ঐতিহ্যবাহী কলসি সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য হলো কলস বা কলসি। আমরা প্রায় সবাই কলসি চিনে থাকি। কলসিতে করে সাধারণত পানি পরিবহন করা হয়।আগে গ্রাম বাংলার মহিলা মানুষদের কাছে কলসি একটি তাদের জীবনের অংশ ছিল।কারণ তখন এখনকার মতো এত টিউবওয়েল বা আধুনিক পাম্প চালিত ইঞ্জিন ছিল না।যার কারণে মানুষ কুয়ো অথবা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করতেন।আর পানি সংগ্রহ করার জন্য মহিলা মানুষেরা এই কলসি ব্যবহার করতেন।তারা বেশ বড় আকারের কলসি নিয়ে যেতেন পানি আনার জন্য। গ্রামের মহিলারা অনেক দূর থেকে পানি নিয়ে আসতেন। যারা নদী থেকে পানি নিয়ে আসতেন তারা বড় বড় কলসিতে করে ভরে অনেক দূর পাড়ি দিতেন কলসিতে করে পানি নিয়ে।
তবে বর্তমানে এই আধুনিক যুগে কলসি তেমন আর আমাদের চোখে পড়ে না। কলসির ব্যবহার যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের কাছ থেকে।মূলত শহর হোক বা গ্রাম বর্তমানে প্রায় সব জায়গাতেই উন্নতির ছোঁয়া।যার কারণে এখন আর মানুষ কলসি ব্যবহার করে না।এখন মানুষ টিউবওয়েল পাম্প চালিত ইঞ্জিন ব্যবহার করে অতি সহজেই পানি পাচ্ছে। আপনারা যে কলসিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হলো একটি ছোট কলসি। আগের সময় মানুষ মাটির তৈরি কলসি ব্যবহার করতেন। তবে সেসব কলসি ততটা মজবুত ছিল না উপর থেকে মাটিতে পড়লেই ভেঙ্গে যেত।
বেশ কয়েকদিন আগে আমি আমার বাড়িতে এই কলসিটি দেখেছিলাম। অবশ্য এই কলসিটি আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার মা কিনেছিল। আমি এই কলসিতে কোনদিন অবশ্য পানি খাইনি।আমাদের বাড়িতে আরো বড় বড় স্টিলের তৈরি কিছু কলসি ছিল। যেগুলো আমার দাদু ব্যবহার করতেন কৃষকদের জন্য পানি নিয়ে যেতেন জমিতে। বর্তমানে কলসি গ্রাম অঞ্চল থেকে হারিয়ে গিয়েছে নেই বললেই চলে। তবে পাহাড়ি অঞ্চলে এখনো এই কলসি দেখা যায়।বিশেষ করে আমাদের দেশে যারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মানুষ আছে তারা এই কলসি গুলো ব্যবহার করে। যারা পাহাড়ি অঞ্চলে থাকে তারা পাহাড় থেকে নিচে নেমে নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে, আবার পাহাড়ে ফিরে যায়।
ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের বাড়িতে একজন লোক ছিল। তিনি বড় বড় কলসিতে করে পানি নিতেন এবং কৃষকদের জন্য পানি নিয়ে যেতেন মাঠে। বড় বড় কলসিতে একসঙ্গে প্রায় ১০ থেকে ১২ জনের মতো মানুষ পানি পান করতে পারে।
আগে ফেরিওয়ালারা এসব ছোট ছোট কলসি গুলো বিক্রি করে বেড়াতো গ্রামগঞ্জে। এই কলসিগুলো সাধারণত স্টিলের তৈরি হয়ে থাকে যার কারনে খুব সহজে ভাঙ্গে না এবং অনেক মজবুত হয়ে থাকে। তবে এখন আর ফেরিওয়ালারাও নিয়ে আসে না এসব কলসি।কারণ তারা জানে কলসি তেমন চাহিদা নেই মানুষের কাছে। যার কারণে এটি বিলুপ্তির পথে।
তো এই ছিল কলসি সম্পর্কে আমার কিছু লেখালেখি।আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। |
আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম মোঃ রাহুল কাজী। আমার স্টিমিট ব্যবহারকারীর নাম @রাহুলকাজী। আমি দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার বাসিন্দা। আমি বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমি আমার পরিবার ও সমাজের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি খেতে এবং আঁকতে ভালোবাসি। আমি সত্যিই steemit কাজ উপভোগ করি।
You can also vote for @bangla.witness witnesses
ঠিকই বলেছেন গ্রাম বাংলার মহিলা মানুষের কাছে কলসি একটি তাদের জীবনের অংশ ছিল।গ্রামে সবাইকে কলসিতে পানি খেতে দেখা যেতো।তবে বর্তমানে এই আধুনিক যুগে কলসির ব্যবহার যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের কাছে থেকে।আমাদের বাসায় এমন একটি ছোট কলসি আছে।তবে কখনো পানি খাওয়া হয়নি।ঠিকই বলেছেন কলসি এখন বিলুপ্তির পথে বা বিলুপ্ত দুইটাই বলা যেতে পারে।আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।আপনার ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://twitter.com/kazirahul25804/status/1705507644411383858?t=EoJGEA6wgjiyIZ_JgSjqgg&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঐতিহ্যবাহী কলসী নিয়ে দারুণ উপস্থাপন করছেন ভাই, কলসী আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য, কলসী দিয়ে দূর দূরান্তে থেকে পানি আনা হতো, তবে এখন তেমন একটা দেখা যায় না। আগের দিনে মাটির কলসী বেশি দেখা যেতো। স্টিলের তৈরি এসব কলসির প্রচলন আসার পর থেকে মাটির তৈরি কলসি বিলুপ্ত, আমাদের বাড়িতে স্টিলের তৈরি কলসী রয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই, অনেক ভালো লাগলো। আমি অনেকদিন পর এই স্টিলের তৈরি কলসি দেখতে পেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই কলস গুলোতে পানি রেখে দিলে পানি বেশ অনেক সময় ধরে ঠান্ডা থাকে। এগুলো মূলত সিলভারের তৈরি হয়ে থাকে। এগুলো আগে প্রচুর পরিমাণে সবার বাড়িতে দেখা যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে এগুলো হারিয়ে গেছে এগুলো আর সবার বাড়িতে তেমন একটা দেখা যায় না। আমাদের বাড়িতে এমন একটি ছিল আমরা আগে এটি ব্যবহার করতাম পানি রাখার কাজে। কিন্তু এখন আর সেটি ব্যবহার করা হয় না। আপনি এই কলস নিয়ে বেশ সুন্দর কিছু তথ্য আমাদের জানিয়েছেন। কলস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের কাছে শেয়ার করেছেন। আপনি ছবিগুলো বেশ চমৎকার তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি ঐতিহ্যমূলক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঐতিহ্যবাহী কলসি নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। একটা সময় গ্রামের মহিলারা দূর দুরান্ত থেকে কলসিতে করে খাওয়ার পানি নিয়ে আসতো। এইতো এক যুগ আগেও গ্রামের মানুষ কলসিতে করে পানি সংরক্ষণ করেছে। আমাদের বাড়িতেও একটি সিলভারের কলসি ছিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আগের যুগে পানি সংগ্রহ করে রাখার একমাত্র মাধ্যম ছিল কলসি। আগের যুগে মানুষ অনেক দূর থেকে কলসি করে পানি নিয়ে আসতেন। তবে এখন যুগ পরিবর্তন হয়েছে এখন সবার বাড়িতে টিউবল নয়তো বা মডার রয়েছে। তাই আমাদের মাঝ থেকে এই কলসি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এখন তো কলসির ব্যবহার চোখেই পড়ে না। ঠিক বলেছেন ভাইয়া কলসি গুলো স্টিলের তৈরি করার কারণে অনেকদিন যাবত লাস্টিং করে। ঐতিহ্যবাহী কলসি সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামীন ঐতিহ্যের চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আপনি আজকের এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আজ থেকে ৩০ বছর আগেও মানুষ স্টিলের এই কলসি গুলোতে পানি সংরক্ষণ করে রাখতেন। তবে এখন আর কেউ কলসি তেমনভাবে ব্যবহার করে না। আপনি একদম ঠিক বলেছেন, মাটির কলসি গুলো ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকতো আর তাই এই স্টিলের কলসির আবির্ভাব ঘটে। স্টিলের এই কলসি গুলোর ওজন খুব একটা ভারি হয় না। আপনি চমৎকার ভাবে গুছিয়ে আজকের এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কলস বা কলসি নিয়ে দারুণ একটি পোস্ট লিখেছেন ভাই। কারন আগেকার সময়ে দেখা যেত টিউবওয়েল ও পাম্প বাড়ি বাড়ি না থাকায় মহিলারা পানি সংগ্রহ করে আনতো এই কসল বা কলসিতে। কিন্তু এই কলস এক সময়ে মহিলাদের জীবনের অংশ ছিল। এই কলস বা কলসি সাধারণত সিলভারের। কিন্তু আগেকার মতো মানুষ আর কলস বা কলসিতে পানি সংগ্রহ করে রাখে না। এই কলস বা কলসি বর্তমান সময়ে কোন কাজে আসে না পড়ে আছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঐতিহ্যবাহী কলস নিয়ে আপনি দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। এই কলসগুলো এখন আর দেখাই যায় না।এখন মূলত সবার বাড়িতে টিউবওয়েল আর বিদ্যুৎ চালিত পাম্প রয়েছে। আগে সবাই কুয়ো থেকে পানি সংগ্রহ করতেন। এজন্য কলসের প্রয়োজন পড়ত।আমাদের বাড়িতে এমন কোন কলস নেই তবে ভাপা পিঠা বানানোর জন্য একটি মাটির কলস রয়েছে। আপনি দারুন একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কলসি সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া আগে মানুষটা এই কলসিতে করে পানি খেত কিন্তু এখন আর এর প্রচলন বেশিটা দেখা যায় না মাঝে মাঝে কেউ কলসি ব্যবহার করে থাকে কিন্তু অনেকটাই এই কলসি বিলুপ্তর পথে চলে গিয়েছে। কেননা মানুষ এখন এসব আর পানি পান করে না তারা এখন পানি আনার জন্য জগ ব্যবহার করে থাকে। তবে আমাদের বাড়িতেও এখনো একটি কলসি রয়েছে মাঝে মাঝে পানি আনা হয় কিন্তু পুরনো না হওয়ায় এটি এখনো রেখে দিয়েছে বাসায়। ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit